• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
বিএনপি নেতাকর্মীদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারণার পরও দলীয়ভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিএনপি। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, বিএনপি এখনও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরে যথাসময়ে এ বিষয়ে দলের অবস্থান বা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের যে সংকট চলছে ভারতবিরোধী ইস্যুতে তা প্রকট হয়েছে। একইসঙ্গে দলটিতে যে মতের পার্থক্য রয়েছে তা-ও স্পষ্ট হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগবিরোধী কয়েকটি দলের তৎপরতায় শুরু হয় ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। গত ২০শে মার্চ বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজের ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলে এই আন্দোলনে সংহতি জানান। গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এই ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের’ বিষয়টি নিয়ে ও আলোচনা হয়। এতে রুহুল কবির রিজভীর ওই কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জনে রিজভীর সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্য ব্যক্তিগত বলে স্থায়ী কমিটিতে জানানো হয়েছে। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, এই আন্দোলন বা কর্মসূচি বিএনপি আহ্বান করেনি। অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকে এই আহ্বান করা হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মানুষ যখন মার্কেটে যায় তারা একটা কোয়ালিটি কাপড় দেখে। সেটা মেইড ইন বাংলাদেশ, মেইড ইন ইনডিয়া নাকি চায়না এটা দেখে না। ইনডিয়ান কাপড় কেনে এমন ও না। এটার কথা স্পেসিফিক করা যাবে না। এটা একটা রাজনৈতিক আবেগ। তবে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এ বিষয়ে মঙ্গলবার থেকে দলটির আরো কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাড়া দেননি তারা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতারা কেন স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না এমন প্রশ্ন তোলেন। ভারতবিরোধী ইস্যুতে বিএনপি এখনও দলীয় সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। বরং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য নিয়ে দলের মধ্যেই যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে এই বিষয়টিকে নেতৃত্বের সংকট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের সংকট চলছে। ফলে এটি যুগ্ম মহাসচিবের ব্যক্তিগত বক্তব্য নাকি কতখানি বিএনপির সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এই কর্মসূচি নিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপির দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব আছে। রিজভীর চাদর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আরেক দল বলছে ভারতকে আমরা অসন্তুষ্ট করব না। কারণ, তাহলে ক্ষমতায় আসা যাবে না। আবার আরেকদল ভাবছে তাদের অফিসিয়াল স্ট্যান্ড গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বের জন্য ফাইট করবো। সুতরাং দলের মধ্যেই এরকম একটা দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে যে লিডারশিপের ক্রাইসিস চলছে। কে মহাসচিব হবে সেটা একটা বিষয়। আরেকটা বিষয় নির্বাচনে যেহেতু পশ্চিমা দেশের সাপোর্ট তা সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। তাই অ্যান্টি ভারত সেন্টিমেন্ট সামনে নিয়ে এসে সেটাকে কাজে লাগিয়ে তারা সাফল্য পেতে চায়।’ ভারতবিরোধী এই কর্মসূচির কোনো প্রভাব নেই বরং বিএনপি এতে যুক্ত হলে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তিনি বলেন, ‘এটার কোন ইমপ্যাক্ট নেই। স্যাংশন বা বয়কট কোন কাজে দেয় না। বরং তারাই উপকৃত হয়। এটা যেমন আওয়ামী লীগকেই হেল্প করবে।’ বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। কোনো কোনো সময় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও আবার সতর্ক অবস্থানে চলে যায় দলটি। বিএনপি বরাবরই আওয়ামী লীগকে ভারতের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে প্রচার করলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভারতের সাথে সম্পর্কন্নোয়নের বেশ চেষ্টা করেছিল। এরপর, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপিকে ভারত ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায়। পরের বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বিএনপি ভারতের সমালোচনা করে। এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফর করেছিলেন। এরপর থেকে জেলে যাওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেত্রী ভারতের বিরোধীতা বা সমালোচনা করে কোনো বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর নিয়ে বিএনপির রক্ষণশীল অবস্থান থাকলেও সে সময় এই বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়ার ব্যাপারে চুক্তির পর দলটি সতর্কভাবে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে তাদের বক্তব্য দেয়। ২০১৩ সালে ভারতের তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ঢাকা সফরের সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে দলটির সাথে ভারতের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় তার সাথে হোটেলে গিয়ে দেখা করেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিলো সেটিও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দিল্লির দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে

শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি, যার মধ্য দিয়ে প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততক্ষণ জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে ইংরেজি ভাষায় লিখিত বক্তব্যে কূটনীতিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে। কূটনীতিকদের সম্মানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ইফতার আয়োজনে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতারে অংশগ্রহণ করায় আগত কূটনীতিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন  বিএনপির মহাসচিব। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল, গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রের কৌশলেই এই সংকটের সমাধান হতে পারে। ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআইসহ ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার ও ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৪

১২ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ ১২ মার্চ, ২০২৪, মঙ্গলবার। ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলী ১৩৬৫ - ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬০৯ - বারমুডা ইংল্যান্ডের কলোনি হয়। ১৭৮৯ - আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়। ১৭৯৯ - অস্ট্রিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৮৬৭ - শেষ ফরাসি সৈন্যদল মেক্সিকো ত্যাগ করে। ১৮৯৪ - যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়। ১৮৯৬ - নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয়। ১৯০৪ - ইংল্যান্ডে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়। ১৯৩০ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতা মহাত্মা গান্ধীর (মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী) নেতৃত্বে উপনিবেশিক শক্তি বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৫৪ - ভারতের রাষ্ট্রভাষাগুলিতে রচিত সাহিত্যের উন্নতি ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভারত সরকার কর্তৃক সাহিত্য অকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ মরিশাস ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৯ - সুপারসোনিক যাত্রীবাহী বিমান কনকর্ড প্রথম উড্ডয়ন করে। ১৯৭২ - ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ। ১৯৮৯ - আজকের দিনে স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা World Wide Web (www) বৈশ্বিক তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন। জন্ম ১৪৭৯ - সম্রাট গিওলিয়ানি, ফ্লোরেন্সের সম্রাট। ১৬৮৫ - জর্জ বার্কলি, আইরিশ বিজ্ঞানী। ১৮৮১ - আধুনিক তুরস্কের স্থপতি কামাল আতাতুর্কের জন্ম। ১৮৮৪ - অতুলচন্দ্র গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী।(মৃ.১৯৬১) ১৮৮৯ - মুহাম্মদ ইদ্রিস আল-সেনুসি, লিবিয়ার বাদশাহ। ১৯১১ - আবু জাফর শামসুদ্দীন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ১৯২৪ - উৎপলা সেন, প্রখ্যাত বাঙালি গায়িকা ।(মৃ,১৩/০৫/২০০৫) ১৯২৮ - ফজলে লোহানী, বাংলাদেশের টিভিব্যক্তিত্ব। ১৯৩৫ - রেহমান সোবহান, বাংলাদেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক। ১৯৮৪ - শ্রেয়া ঘোষাল সঙ্গীত শিল্পী। ২০০৩ - নাঈম আহমেদ, বাংলাদেশের শিল্পপতি অর্থনীতিবিদ। মৃত্যু ১২৮৯ - জর্জিয়ার রাজা দ্বিতীয় দিমিত্রি। ১৯২৫ - চীনের নেতা সান ইয়াৎ সেন। ১৯৩৭ - ইংরেজ সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল। ১৯৬০ - পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক ক্ষিতিমোহন সেন।(জ.১৮৮০) ১৯৭৭ - কেয়া চক্রবর্তী প্রখ্যাত মঞ্চ অভিনেত্রী ।(জ.০৫/০৮/১৯৪২) ১৯৮৬ - বিশিষ্ট শিল্পপতি মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী। ১৯৮৮ - কথাশিল্পী সমরেশ বসু (কালকূট)।(জ.১৯২৪) ২০০৩ - স্পার্টাকাসের লেখক, বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড ফাস্ট। ২০১৩ - ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন(জ.১৯৩৭)।
১২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪১

৮ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম, মৃত্যুদিনসহ উল্লেখযোগ্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ঘটনাবলি: ১০১০ - কবি ফেরদৌসী তার বিখ্যাত গ্রন্থ শাহনামা সমাপ্ত করেন। ১০৮০ - পোপ গ্রেগরী জার্মানীর রাজা চতুর্থ হেনরীকে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাচ্যুত করেন। ১৭২২ - ইরানের সম্রাট সাফাভিদ পরাজিত হন একজন আফগান সৈন্যের দ্বারা, গুলনাবাদ যুদ্ধের সময়। ১৮১৭ - নিউ ইয়র্কের শেয়ার মার্কেটের প্রতিষ্ঠা। ১৮৩৬ - কলকাতায় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়। ১৮৬৫ - নর্থ সী ও আমস্টারডামের ভেতর সংযোগকারী খালের নির্মাণ কাজ শুরু। ১৮৭৬ - আলেকজান্ডার গ্রাহোমবেল তার প্রথম টেলিফোনের পেটেন্ট গ্রহণ করেন। ১৮৯৪ - নিউইয়র্ক শহরে সর্বপ্রথম কুকুরের লাইসেন্স প্রদান। ১৯১১ - এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্থান পায়। ১৯১৭ - জ্যাজ রেকর্ড প্রথম বাজারে বিক্রি শুরু হয়। ১৯১৭ - পেট্রো গ্রাদে রুশ বিপ্লব শুরু। ১৯৩০ - মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৪২ - ঢাকায় ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনে ছোট গল্পকার সোমেন চন্দ মিছিলে নিহত হন। ১৯৪৯ - ফ্রেন্স ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা লাভ। ১৯৫০ - সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক বোমার অধিকারত্ব দাবি করে। ১৯৫৪ - পূর্ববঙ্গ পরিষদের নির্বাচন; ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাজিত করে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৭টি ও মুসলিম লীগ ৯টি আসন পায়। ১৯৫৭ - ঘানা জাতিসংঘে যোগদান করে। জন্ম: ১৭১৪ - জার্মান সঙ্গীতস্রষ্টা কার্ল ফিলিপ এমানুয়েল বাখের জন্ম। ১৮৮৩ - পদার্থ বিজ্ঞানী অটোহান-এর জন্ম। মৃত্যু: ১৭০২ - ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের মৃত্যু। ১৮৭৪ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি মিলার্ড ফিল্‌মোর এর মৃত্যু। ১৯৩০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম রাষ্ট্রপতি ও ১০ম প্রধান বিচারপতি উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট্‌ এর মৃত্যু । ১৯৭৩ - গুড আর্থ বইয়ের লেখিকা পার্ল এস বাকের মৃত্যু। ২০০৪ - প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আবু আব্বাসের মৃত্যু। দিবস: আন্তর্জাতিক নারী দিবস  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪২

ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুই নেতৃত্বে ছিলেন : এমপি মোরশেদ আলম
‘ভাষা থেকেই স্বাধীনতা, সেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছিল। শুধু তাই নয় জাতিসঙ্ঘে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দিয়ে এ ভাষাকে আরও মর্যাদাশীল করে তুলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেনবাগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এর আগে তিনি দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলার ছাতারপাইয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। একই দিন বিকেলে উপজেলার আছিরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায় মো. আশরাফুল, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্যাহ বাহার, বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপুসহ অনেকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

‘ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখা হয়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রাখে। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে এ নিয়ে একটি লেখা পোস্ট দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।     ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। "১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।" ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে একুশের শ্রদ্ধা জানানোর একটি ছবি পোস্ট করে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ লেখেন, “১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন। "বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। সজীব ওয়াজেদ ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহের দিকে দৃষ্টিপাত করে লিখেছেন, তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। “মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন। পোস্টের শেষে সেই অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি…?’ লিখে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২১

দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে : চরমোনাই পীর
দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। কোথাও শান্তি নেই। সর্বত্র মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। মায়ের কোলের শিশুও আজ নিরাপদ নয়।’ তিনি বলেন, ‘দেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। ঘরে থাকলে খুন আর রাস্তায় বের হলে হয় গুম। ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদীরা নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে।’ তিনি  আরও বলেন, ‘আমরা একাত্তরকে ধারণ করি। অসহায়, মজলুম ও গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করি এবং এদেশের মানুষের বিশ্বাস ও ইসলাম নিঃসৃত নীতিতে নারীর উন্নয়ন ও মুক্তির জন্য আন্দোলন করি। দেশের সব ধর্মের ও বিশ্বাসের মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন রোকেয়া প্রাচী
নন্দিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। নব্বই দশক থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরব রয়েছেন। সরকার দলীয় বিভিন্ন আন্দোলনে সশরীরে মাঠে থেকে ভূমিকা রাখছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অভিনয়শিল্পী, সংগঠক ও রাজনীতিবিদ রোকেয়া প্রাচী। মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনই তিনি ফরম সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) উপস্থিত হয়ে জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য রোকেয়া প্রাচী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করছি। নারী হিসেবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করছি। একই সঙ্গে শ্রমিক নেত্রী হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশন ও তৃণমূলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছি। ছাত্রী জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যেহেতু আমার রাজনীতির ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। এলাকাসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। মনোনয়ন পেলে কাজের পরিধি আরও সুদীর্ঘ হবে। আমি আশাবাদী দল আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। মনোনয়ন না পেলেও বরাবরের মতো দলের হয়ে কাজ করব। কথা প্রসঙ্গে রোকেয়া প্রাচী জানালেন, তার বাবা আবদুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর আমলে মিরপুর-পল্লবী শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে তার বাবাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনিও ছিলেন। এদিকে, রোকেয়া প্রাচীর প্রযোজিত ও নির্মিতব্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রেণুর মুক্তিযুদ্ধ’। বেগম ফজিতুলন্নেসা মুজিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সপরিবারের মুক্তিযুদ্ধের বন্দি সময়ের সত্য কাহিনি এ সিনেমায় ফুটে উঠবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সিনেমাটি সরকারি অনুদান পেয়েছে। বর্তমানে তার অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় আছে দেশ ভাগ ও ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘যাপিত জীবন’। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

ভিসির আশ্বাসে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
দাবি পূরণে ভিসির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছে।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ১৪টি দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, শেখ রাসেল হল, মান্নান হল এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়  শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরসহ শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসি প্রফেসর ডক্টর ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনা হয়। সেখানে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দেওয়া হলে রাত ৩ টার দিকে তালা খুলে দিয়ে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।  শনিবার বিকেলে প্রথমে শেখ রাসেল হল, সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হল এবং রাত সাড়ে আটটায় মান্নন হলে তালা দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে নেওয়ায় তারা প্রশাসনিক ভবনেও তালা লাগিয়ে দেয়।  এ সময় শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে খাদ্য, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও ইন্টারনেট সেবাসহ ১৪ দফা দাবি জানান।  এদিকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিন হলের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনেও তালা দিয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু হলে ৪০০, শেখ রাসেল হলে ৫৫০ এবং মান্নান হলে ৫০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। 
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট খুলে নেওয়ার হুমকি
ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বক্তব্য দেওয়া আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করলে জনগণ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট খুলে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ হুঁশিয়ারি দেন। ‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রোমোট’ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন। তিনি বলেন, আসিফ মাহতাব স্যারকে ব্র্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা হলে আমরা ব্র্যাকের গেটে অবস্থান করব। এরপরও যদি ব্র্যাক আমাদের কথা না শুনে তাহলে দেশের জনগণ ব্র্যাকের প্রত্যেকটা ইট খুলে ফেলবে।  ফয়জুল করীম আরও বলেন, শুনলাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সরোয়ারকেও নাকি চাকরিচ্যুত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে একটি সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার একটি গল্পের (শরীফার গল্প) পাতা জনসম্মুখে ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আসিফ মাহতাব। বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ঘটনায় আসিফ মাহতাবকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, একটি গোষ্ঠী শিক্ষাক্রম নিয়ে সবসময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে এনটিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কিছু বলিনি, স্বীকৃতিও দিইনি। ইসলামে যেটি হারাম সেটাকে আমিও হারাম মনে করি এবং প্রধানমন্ত্রীও এটাকে হারাম মনে করেন। তিনি বলেন, সরকার ইতোপূর্বে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করেনি, আগামীতেও পাস করা হবে না। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডারকে অর্থাৎ ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে পরিচয় দেওয়া এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইনে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়নি।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়