• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ প্রাণহানি
ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি আতশবাজির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের হারদা জেলার বৈরাগড় এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। আতশবাজি তৈরির ওই কারখানাটির বৈধতা ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই। বিস্ফোরণের ঘটনাটির বেশ কয়েকটি ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, আতশবাজি তৈরির অবৈধ ওই কারখানাটিতে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটে এবং এর পরপরই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ওই কারখানায় দুই শতাধিক লোক কাজ করছিলেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।  স্থানীয় দমকল বাহিনী এবং রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) দল এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উদ্ধারকৃত আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।  ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এছাড়া জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৭

আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল
আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা না নেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়াত ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। স্বরাষ্ট্র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সাতজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরিবেশবাদী ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক কয়েকটি সংগঠনের রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া ‘বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪' অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের জরিপ (ক্যাপস) অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ১১৩ শতাংশ বেশি ছিল, বায়ুমান ছিল ৫০০ একিউআই পর্যন্ত, যা মানুষের সহ্যক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই রাতে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে শত শত পাখি মারা যাওয়া এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।  এসব কারণে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা না নেওয়ায় হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি পরিবেশবাদী ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং মানবাধিকার সংগঠন গণঅধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষে আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯

আতশবাজি নিয়ন্ত্রণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাণী সুরক্ষায় সারাদেশের অনিয়ন্ত্রিত আতশবাজি নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। প্রাণী অধিকারবিষয়ক সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনসহ আরও তিনটি সংগঠন এ রিট আবেদন করেছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে। রিট দায়েরকারী অন্য তিনটি সংগঠন হলো- পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্য ন্যাচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং মানবাধিকার সংগঠন গণঅধিকার ফাউন্ডেশন। এর আগে সংগঠনগুলোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ রোবাইয়েত ইসলাম জনস্বার্থে এ রিট করেন।  রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি নানান আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইন-১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্যাপসের জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ১১৩ শতাংশ বেশি ছিল, বায়ুমান ছিল ৫০০ একিউআই পর্যন্ত, যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই রাতে সহস্রাধিক পাখি মারা গেছে, সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২০০টি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়