• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আজান হওয়ার আগে নামাজ পড়া যাবে?
নামাজ ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরেই নামাজকে স্থান দেওয়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। দিনের নির্ধারিত ৫ সময়ে নামাজ পড়া ফরজ। এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময়ও নির্ধারিত। তবে মসজিদে আজান হওয়া বা আজান শোনার পর নামাজ পড়তে হবে এ রকম বাধা নেই। নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া জরুরি। ওয়াক্ত হয়ে গেলেই ওই ওয়াক্তের নামাজ পড়া যায়।  ফজরের সময় সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত  ফজর নামাজ পড়া যায়। জোহরের সময় দুপুরের সূর্য মাথার ওপর থেকে পশ্চিম আকাশে একটু হেলে পড়ার পর থেকে কোনো বস্তুর নিজস্ব ছায়ার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের নামাজ পড়া যায়। জুমার দিন জোহরের নির্ধারিত সময়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। (ইমাম আবু হানিফার রহ. মাজহাব)  আসরের সময় জোহরের সময় শেষ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আসরের নামাজ পড়া যায়। তবে সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর আসর পড়া মাকরুহ। তাই এর আগেই আসর আদায় করা উচিত। মাগরিবের সময় সূর্য ডোবার পর থেকে আকাশে বিগত সূর্যের সাদা আভা বাকি থাকা পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ পড়া যায়। ইশার সময় মাগরিবের সময় শেষ সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত ইশার নামাজ আদায় করা যায়। তবে ইশার নামাজ বিলম্ব করে রাতের তৃতীয়াংশ হওয়ার আগে আদায় করা মুসতাহাব। তবে বর্তমানে এভাবে ওয়াক্তের হিসাব করা খুব কঠিন। শহরের যান্ত্রিক জীবনে তা অসম্ভব। আর প্রযুক্তির ফলে এভাবে আর ওয়াক্তের হিসাব করা হয়না।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪১

আজান শুরু হতেই বক্তব্য বন্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে মসজিদের মাইকে আসরের আজান শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য বন্ধ করে দেন তিনি। আজানের পুরোটা সময় তিনি চুপ ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীরাও নীরবতা পালন করেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শহরের ইসদাইর এলাকায় এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা ছিল। আজান শেষ হওয়ার পর ফের বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ বছর আমরা সরকারে আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। সেবার বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্যজোট আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের মহাজোট ছিল। সেই নির্বাচনে শুধু নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি সিট। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। বাকিগুলো আমাদের যারা জোটে ছিল তারা পেয়েছিল। তারপর থেকে বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চায় না, ভয় পায়। যার জন্য তারা সন্ত্রাস করে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য তারা (বিএনপি) অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের বেশি মানুষকে তারা পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ জনমারা গেছেন। তিন হাজার আটশ’র বেশি গাড়ি পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপির একমাত্র গুণ। তারা শুধু এটাই পারে। আর কিছু পারে না। এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। সবশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়