• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আইসিসি থেকে শাস্তি পেলেন তাওহীদ হৃদয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টাইগারদের তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। বিপরীতে মেজাজ হারিয়ে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তিনি। যার ফলে আইসিসি থেকে শাস্তি পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতি দিয়ে হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২০ ধারায় বলা আছে- খেলোয়াড় বা খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন এমন কারো সঙ্গে স্পিরিট অব দ্য গেমের পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান থুসারার বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পাশাপাশি তেড়ে যেতে দেখা যায় হৃদয়কে। এমন অপরাধের জন্য হৃদয়ের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। ২৪ মাসের মধ্যে আবারও কোনো অপরাধ করলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন হৃদয়। বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার নিজের অপরাধ ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে স্বীকার করায় ও শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।   অন ফিল্ড আম্পায়ার সরফদ্দৌল্লা সৈকত, তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল শাস্তি কার্যকর করেন। লেভেল-১ ভঙ্গ করার সর্বনিম্ন শাস্তি তিরস্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অবধি জরিমানা ও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

রিজওয়ানকে সাড়ে ১৭ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো আইসিসি
আবুধাবি টি-টেন লিগে বাংলাদেশের সাবেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় কয়েক দিন আগে নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এবার একই ঘটনায় জড়িত আরেক ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদকে ১৭ বছর ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি ।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি। রিজওয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন তিনি। রিজওয়ানের বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগ গঠনের ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ক্লাবে খেলা এই ক্রিকেটারকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিজওয়ান জবাব না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে। এ অপরাধে শাস্তি দিয়েছেন আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট কমিটির প্রধান মাইকেল যে বেলোফ। রিজওয়ানের এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। আইসিসির নৈতিকতা বিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি। আইসিসির যেসব ধারা ভঙ্গ করেছে রিজওয়ান: ২.১.১- ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো দিক গড়াপেটার উদ্যোগ বা আয়োজনের অংশ থাকা (তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে)। ২.১.৩- দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে অন্য এক খেলোয়াড়কে পারিতোষিক দেওয়ার প্রস্তাব। ২.১.৪- ২.১ নম্বর ধারা ভাঙতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশনা, পটানো বা উৎসাহ দেওয়া কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়া। ২.৪.৪- ধারার অধীনে দুর্নীতিমূলক আচরণ বলে বিবেচিত কোনো কাজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিস্তারিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া। ২.৪.৬- ন্যায্য কোনো কারণ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৭

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নাসিরকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি
গত সেপ্টেম্বরে নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ আনায় তাকে দেশের ক্রিকেটে এক প্রকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এবার আইসিসি থেকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলেন নাসির।   মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। আবুধাবির টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে আইসিসির সন্দেহে আসেন নাসির।  সেখানে তিনি একটি ৭৫০ ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৫০০) একটি গিফট পেয়েছেন। কিন্তু কে তাকে এই গিফট দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা সে বিষয়টিও পরিস্কার করতে পারেননি। এছাড়া প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে অভিযোগ না দেওয়া, বিষয়টি তাদের না জানানো কিংবা তাদের কাছ থেকে গোপন করার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আইসিসির নীতিমালার ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। ফলে এই শাস্তি পেয়েছেন নাসির। আইসিসির কোডের ধারা ২.৪.৩ অনুসারে, তিনি মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে (অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে) একটি উপহারের রশিদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন। যার মূল্য ৭৫০ ডলার এর বেশি ছিল। পুরস্কারটি ছিল আইফোন ১২।   কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুসারে, প্রাপ্ত উপহার আইফোন ১২ মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, এই অভিযোগ আইসিসি দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে ভুল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুসারে, তিনি বাধ্যতামূলক যুক্তি ছাড়াই, কোডের অধীনে সম্ভাব্য দুর্নীতিমূলক অভিযোগের জন্য দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করেন নি। আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিলে এবং সকল শর্তমেনে কাজ করলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

বিসিবি ছাড়তে আইসিসি থেকে কোনো বাধা নেই পাপনের
প্রায় এক যুগ ধরে বিসিবি সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এরপরই আলোচনা শুরু হয় বিসিবি পদ কবে ছাড়ছেন পাপন। তবে তিনি ছাড়তে চাইলেও নাকি এখনই সম্ভব না। কারণ, আইসিসির বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত কোন বোর্ড সভাপতি সরকারের মন্ত্রী হলে তাতে কোন সমস্যা নেই আইসিসির। তবে কোন বোর্ড বা বোর্ড প্রধানকে সরকার চাইলেও সরাতে পারবে না। সরকার থেকে এমন কোন হস্তক্ষেপ হলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে আইসিসি। কিন্তু জানা গেছে, কোন বোর্ড সভাপতি যদি নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন তাহলে, ওই বোর্ডের পরবর্তী কার্যক্রম চলবে তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।  অর্থাৎ নাজমুল হাসান পাপন যদি মনে করেন তিনি পদত্যাগ করবেন, তাতে আইসিসির কোন সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে বিসিবিকে চলতে হবে তাদের গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে। সবশেষ ২০২২ সালের সংশোধিত বিসিবির গঠনতন্ত্রে ১৪.২ অনুচ্ছেদে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সহ-সভাপতির ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে। ১৪.২ অনুচ্ছেদের ২ উপধারায় সহ-সভাপতি অংশে লেখা আছে, 'সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতি কর্তৃক মনোনীত যে কোনো একজন সহ-সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। তবে, সভাপতি পদে আকস্মিক শূন্যতা সৃষ্টি হইলে অথবা সভাপতি কোন কারণে স্বীয় পদে দায়িত্ব পালনে অক্ষম বা অপরাগ হইলে যথা নিয়মে সভাপতি নিয়োগ না হওয়া অথবা সভাপতি পুনরায় দায়িত্ব পালন আরম্ভ না করা পর্যন্ত সভাপতি কর্তৃক মনোনীত একজন সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন। বিসিবির বর্তমান পরিষদে সহ-সভাপতির পদ ফাঁকা আছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি নেওয়ার উপায় নেই। তবে স্থায়ী সমাধান বেছে নেওয়ার পথ ঠিকই আছে। বিসিবি সভাপতি যদি স্বেচ্ছায় পদ ছেড়ে দেন, কিন্তু পরিচালক হিসেবে বহাল থাকেন তাহলে বাকি নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। যদি একাধিক প্রার্থী থাকেন তবে ভোটের মাধ্যমে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবেন। এক্ষেত্রে বাইরের কারো বোর্ডে আসার সুযোগ নেই। বিসিবি প্রধান যদি সভাপতির পাশাপাশি পরিচালক পদ থেকেও সরে যান তাহলে আছে ভিন্ন প্রক্রিয়া। নাজমুল হাসান পাপন আবাহনী লিমিটেডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন বিসিবিতে। তার পদ শূন্য হলে আবাহনীকে নতুন একজন কাউন্সিলর মনোনীত করতে হবে। ঢাকার ক্লাব কোটায় পরিচালক পদে সেক্ষেত্রে হবে নির্বাচন। নির্বাচিত নতুন পরিচালক যুক্ত হবেন বোর্ডে। তারপর পরিচালকদের সিদ্ধান্তে বেছে নেওয়া হবে নতুন সভাপতি। বিসিবির পরিচালক না হলে কাউকে বিসিবি সভাপতি করার সুযোগ নেই। আর পরিচালক হতে হলে আগে হতে হবে কাউন্সিলর। অর্থাৎ যদি বাইরের কাউকে বোর্ড সভাপতি হতে হয় তবে তাকে তার আগে যেতে হবে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। অর্থাৎ বর্তমান সভাপতি চাইলে নিজের পদ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে সভাপতি হওয়ার সুযোগ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আইসিসি বা বিসিবির গঠনতন্ত্রে কোন বাধা নেই।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়