• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফাঁকা ঢাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ফাঁকা ঢাকায় যেন ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে স্পেশাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। অন্যদিকে রেড জোন চিহ্নিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে র‍্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অন্য ঈদের ছুটির মতো এবারও রাজধানী ছেড়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এর ফলে ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা থাকবে। এ সুযোগে প্রতি বছরই অপরাধীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। তাদের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয় ফাঁকা ঢাকার ফ্ল্যাট বাসা ও রাস্তার পথচারীরা। তাই এবারের ঈদের ছুটিতে যেন এসব অপরাধ না ঘটে, সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের ছুটি মিলিয়ে এবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লম্বা ছুটি মিলছে। তাই ঈদ উদযাপনের জন্য দলে দলে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। রমজানজুড়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ বেড়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে নতুন করে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। অতীতের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, বিগত পাঁচ বছরে রাজধানীতে এক হাজারের মতো ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। অন্যদিকে চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে কয়েক হাজার। ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৯৯টি, চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৫১১টি। ২০২২ সালে ছিনতাই মামলা ৩১০টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ৬০৩টি। ২০২১ সালে ছিনতাই মামলা হয় ১৬৬টি এবং চুরি সংক্রান্ত মামলা ১ হাজার ৩৪৩টি। ২০২০ সালে ছিনতাই মামলা ১৭৬টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ২১৭টি। এ ছাড়া ছিনতাই ও চুরির অনেক ঘটনার মামলা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে ডিএমপির স্পেশাল টিম। ডিএমপির স্পেশাল টিম এলাকায় এলাকায় ঘুরে টহল দেবে এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় সন্দেহজনক কারো চলাফেরা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঈদের ছুটির সময় কাজ করে যাবে এই স্পেশাল টিম। এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির ৫০টি থানাকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনা। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মোবাইল টহল টিমের পাশাপাশি চেকপোস্ট জোরদার করা হবে। ফাঁকা ঢাকায় যেকোনো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে থাকবে স্পেশাল টিম। এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ডিএমপির প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাবও। গোয়েন্দা দল, চেকপোস্ট, রোবাস্ট পেট্রোল ও টহল টিমের পাশাপাশি কিছু এলাকার জন্য স্পেশাল টিম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রেখেছে র‍্যাব। এ ছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকাকে অপরাধের জন্য রেড জোন চিহ্নিত করে এসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‍্যাব। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে ঢাকা শহরের অনেক বাসিন্দা গ্রামে চলে যান। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমরা আমাদের পাট্রোল বৃদ্ধি করি। কোনো এলাকায় যদি কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তা আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারি আর তখন আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকাকে আমরা রেড জোন হিসেবে দেখছি। যেখানে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেশি ঘটে। এসব রেড জোনে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। এদিকে রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাবেন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাড়িতে কেউ যাতে অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সেজন্য আপনারা ফ্ল্যাট বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিয়োজিত করবেন। অনেক সময় দেখা যায়, অপরাধ সংঘটিত হলে সিসিটিভির ক্যামেরা অন্য দিকে মুখ করে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক আছে কি না এবং যেদিকে মুখ করে থাকার কথা সেদিকে আছে কি না তা আপনারা চেক করে নেবেন। যাতে করে অপরাধ সংঘটিত হলে পাহারাদার না ধরতে পারলেও আমরা যেন গিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারি। ছিনতাই নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঈদের সময় ছিনতাইকারীরা যেমন তাদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি করে তেমনি আমরাও আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। ছিনতাই নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কাজ করছি। প্রতিটি ছিনতাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ছিনতাইকারীদের আমরা আইনের আওতায় আনছি। অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০

ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী চক্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক বা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী চক্র ছাড়াও চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ছে। আরেক গ্রুপ জড়িত জাল টাকার সাথে। ঈদে এই চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। এরপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ঘটে নানা অপরাধ। ডিএমপি বলছে, রাজধানীরর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি আরও বলছে, রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি,  চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র। তবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ‌র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব। ‌ তিনি আরও বলেন, ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। ‌ র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলোও এ বিষয়ে কাজ করছে। যেকোনো জালিয়াতি প্রতিরোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে  সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।  চিঠিতে বলা হয়, দেশের সরকারি ১৮টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১৯টি ভেন্যুতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত দিনে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের নামে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়। এই কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর পরীক্ষা। এ জন্য সব কুচক্রী মহলের দিকে কড়া নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বা প্রতারণা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) নাসিয়ান ওয়াজেদ পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেউ জালিয়াতির চেষ্টা করলে বা অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেওয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তর সূত্র জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বছর পাঁচ হাজার ৩৮০টি আসনে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতবারের তুলনায় এবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এক হাজারের বেশি সিট বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট ছয় হাজার ৩৪৮ আসন রয়েছে। চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সুযোগ পাবেন। এর বাইরে আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগ রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রচলিত আইন নয়, সরকারের ইচ্ছায় কারাগারে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে বিরোধী দলগুলোর ওপর ক্রাকডাউন চালিয়েছে সরকার। অপরদিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাণিজ্য করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দেন রিজভী। আগামী শনিবার নয়াপল্টনে এ মিছিল করবে দলটি। এ জন্য ডিএমপির কাছ থেকে মৌখিক অনুমতিও পেয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রিজভী সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগ করেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

ভোলায় আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন কোস্টগার্ড মহাপরিচালক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ডের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন কোস্টগার্ড মহাপরিচালক এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার নিমিত্তে মোবাইল টিম/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় ৪৩টি ইউনিয়নের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ডের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্টগার্ড রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে তিনি কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর রয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়