• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করে তার পরিবার।  এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনও ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এবারের মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।  আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ করছে সরকার : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই। সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে, সেজন্যই সরকার একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিবাদী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। ‘মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে আইন আনা হবে’ সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এ মন্তব্য সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘অলরেডি একটি আইন আছে, যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে। অর্থাৎ নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে, সেজন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার ডামি নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এবার জুলুম নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। ডামি সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা করতে পারবে না।’ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস দশার কথা বিবেচনা না করে সম্পূর্ণ গণদুশমন আওয়ামী ডামি সরকার আবারও বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারবে সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী আইন অনুমোদন করিয়ে জনগণকে নিপীড়ন ও ফতুর করার নীতি গ্রহণ করেছে মাফিয়া সিন্ডিকেট সরকার।’ তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখনই লুটেরা সরকারের টাকায় টান পড়ছে, তখনই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে।’
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না : আইনমন্ত্রী
সরকার কোনোভাবেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে এই প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী।  আনিসুল হক বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে। সরকারের লক্ষ্য গুজব বা ভুয়া তথ্য বন্ধ করা। তবে যেভাবেই হোক সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না। তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সরকার সারাদেশে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আরও অনলাইনকে পর্যায়ক্রমে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২১৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ১৯৬টি দৈনিক সংবাদপত্র অনলাইন পোর্টাল এবং ১৭টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধনের আওতায় আনার অনুমতি দিয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১

বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আইন নিয়ে যা জানালেন আইনমন্ত্রী
নতুন করে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কোনো আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রয়োজনে বাড়ি ভাড়া আইনের বিধান পর্যালোচনা করা হবে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ভাড়াটিয়াদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য ‌‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধানসমূহ পর্যালোচনা করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারকার্যে গতিশীলতা বাড়াতে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য প্রয়োজন নির্বাহের জন্য বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি নিজেরাই নিজেদের আইনজীবী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। নাটোর আইনজীবী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। নাটোর আইনজীবী সমিতিকে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের জন্য ২০২৮-২০১৯ অর্থবছরে এক কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে লাইব্রেরি ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ লাখ টাকা এবং লিফট স্থাপনের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২

ইউনূসের মামলায় সরকারের হাত নেই : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে করা মামলায় সরকারের কোনো হাত নেই। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে ড. ইউনূসকে নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং স্বাধীন দুনীর্তি দমন কমিশন ড. ইউনূসের নামে মামলা করেছে। এতে সরকারের কোনো হাত নেই।  দেশে গণতন্ত্র আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে দেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সবাই দেখেছে। মানুষ এখন সরকারের উন্নয়ন কাজে মনোযোগী। বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে, তারা আন্দোলনের চেষ্টা করুক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুইয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩

এআইবিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সবিষয়ক (এআই) আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সেন্টার ফর এনআরবি’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কথা বিবেচনা করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সবিষয়ক (এআই) একটি আইন প্রণয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি নিয়ে প্রাথমিক আলাপ করা হচ্ছে। তবে এ আইন প্রণয়নের আগে অংশীজনদের সঙ্গে অবশ্যই আলাপ-আলোচনা করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে চায়। সে জন্যই তার সরকার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সুযোগ রেখেছে। প্রতিনিধিদলের প্রধান ‘সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপাসন এম এস সেকিল চৌধুরীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) যাতে ভাচুর্য়ালি অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। আনিসুল হক বলেন, সময়ের চাহিদার কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আদালত কতৃর্ক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন প্রণয়ন করেছে। ভাচুর্য়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্রিটিশ আমলের সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। এখন দেশি-বিদেশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছেন। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ দেননি, তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার রূপরেখা তৈরি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

ইউনূসকে অহেতুক কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেই : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অহেতুক গ্রেপ্তার বা কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, তবে আদালত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে রায় দেবেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের। এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাস সাজা স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন এবং শ্রম আপিল আদালতে ড. ইউনূসের মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তি যেন হয় হাইকোর্টে সেই আবেদনও করা হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন। ওই দিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন। আদালত সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চান। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ আপিল করেন তিনি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪

জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিএনপি-জামায়াত মদদ দিচ্ছে : আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের আখাউড়া বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনগজ ঈদগাঁহ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। আনিসুল হক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে চিনে ফেলছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবেন না। এখন বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করবে, সেটাই ম্যান্ডেট এবং সেটায় হবে। আনিসুল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি সন্ত্রাস করতে চান, তারা যদি বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চান তাহলে আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা কোনো সন্ত্রাস সহ্য করব না। আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি আমাদেরকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যারা পেছন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে তাদেরকে আমরা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শানু মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২

সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না : আইনমন্ত্রী
সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে না বলে দাবি করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে যে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো মিথ্যা এবং বলা হচ্ছে, আমরা তাকে হয়রানির জন্য এটা করছি।’ আনিসুল হক বলেন, ‘দুটো কথাই অপপ্রচার। সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানির করার জন্য কিছু করছে না, সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে না। যে মামলা হয়েছে, সেটা শ্রমিকরা করেছিল। এরপর শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অধিদপ্তর আছে, সেই ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন / সংবিধানের বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে : আইনমন্ত্রী
বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন সদস্য আছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ নিয়ে নিজে থেকে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও সবকিছুই সংবিধান মেনে হয়েছে বলে দাবি তার। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আনিসুল হকের সামনে এ সময় প্রশ্ন রাখা হয়, বলা হচ্ছে সংসদে এখন ৬৪৮ সদস্য। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আইনমন্ত্রী মনে করেন কি না, কিংবা সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।  জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।' আইনমন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক নিজে তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।' কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। কোন জায়গায় স্পষ্ট করা দরকার, সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়