• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি বন্ধ চায় নিকারাগুয়া
ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে এবং ইউএনআরডাব্লিউএ-র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে জার্মানিকে নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজেকে অনুরোধ করেছে নিকারাগুয়া৷ নিকারাগুয়ার কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে৷ ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া৷ এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে৷ এর অংশ হিসেবে সোমবার নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন নিকারাগুয়ার কূটনীতিক গোমেজ৷ মঙ্গলবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে জার্মানি৷ এর কয়েক সপ্তাহ পর আদালত রায় দিতে পারে৷ অবশ্য আইসিজে কাউকে তার রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না৷ তবে সরকারের উপর রাজনৈতিক ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করতে পারে এই আদালতের রায়৷ এর আগে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে আইসিজে বলেছিল, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য৷ হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ৷ সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে৷ এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি৷
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

কেএনএফকে অস্ত্র ছাড়ার আহ্বান
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের ওপর চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। একের পর এক সন্ত্রাসীরা আটক হচ্ছে। সঙ্গে উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে দিয়ে অস্ত্র সমর্পনে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কমিটির আহ্বায়ক, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, কমিটির সদস্যসচিব লালজার লম বম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে তারা কেএনএফ এর সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বলেছে।  ওই বিবৃতিতে বলা হয়, কেএনএফের দাবি অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এ পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ৯৬৮টি বম পরিবারের মধ্যে ১৩৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তাসহ তাদের কারান্তরীণ দুজন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা করা হয়। অবশিষ্ট কারান্তরীণ সদস্যদের মুক্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বম জনগোষ্ঠীদের সহায়তায় খাদ্যশস্য এরইমধ্যে এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে। তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানানো হয়েছে। তারপরও রুমায় অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং থানচিতে স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুটের মতো জঘন্যতম ঘটনায় জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। এসব ঘটনা সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিবৃতিদাতারা। এদিকে, দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী; শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণা হচ্ছে যে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের দমনে যা যা করা দরকার তার সবই করবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার কেএনএফই নিজেদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থ নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চল দখলই মূল উদ্দেশ্য তাদের। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পাহাড়ের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সংগঠনটি। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামনে এসেছে এমনই দাবি সংবলিত একটি পোস্ট। দেশের বিজ্ঞ মহল, বিশ্লেষক ও সাংবাদিকগণের জ্ঞাতার্থে এবং টকশোর আলোচনায় বিশেষ সুবিধার্থে পোস্টটি করা হয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)। ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে। কেএনএফের অতীতের সব হামলা ও অন্যান্য আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডকে আন্দোলন দাবি করে আরেকটি দফায় এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। পরবর্তী দফায় দাবি করা হয়েছে, যেন বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল তথা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় পালিয়ে যাওয়া খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের সুযোগ ও সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পোস্টের সবশেষ দফায় নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সুযোগ দাবি করা হয়েছে কেএনএফের পক্ষ থেকে, যার নাম হবে কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি)। ফেসবুক পোস্টটি থেকে জানা যায়, বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি আরেক দফায় উভয়পক্ষের সংলাপে বসার কথা থাকলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর। এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

‘বান্দরবানে অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক, অস্ত্র উদ্ধার’
বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি। সেনাপ্রধান বলেন, শুরুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থাকার কথা। সেগুলো ভল্ট ভেঙে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এ অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩২

‘পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেএনএফের হাতে’
পাশের দেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল তাদের অস্ত্র কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সকালে বান্দরবান গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মনে করছি তাদের (কেএনএফের সন্ত্রাসীদল) মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা।  তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যা যা করা দরকার সব করবে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাবো। কোনোক্রমেই আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেবো না। এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না।  উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ওআইসি পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি তুলেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৬ মাস ধরে হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযান ও হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও তা মানছেনই না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিপরিষদ।   এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এ সময় গাজায় সম্ভব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানায় সংস্থাটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রতীকি অর্থে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব। অন্যদিকে, গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররা। প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যেসব দেশ: বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম। প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরায়েলের পক্ষে ভোটদানকারী ছয় দেশ:  আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র। ভোটদানে বিরত থাকা ১৩ দেশ:  আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬

‘আমার কাছে দেশের সবচেয়ে দামি অস্ত্র আছে’
দেশব্যাপী আলোচিত রাজধানীর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, তার কাছে দেশের সবচেয়ে দামি অস্ত্র রয়েছে। যা এমপি-মন্ত্রীদের কাছেও নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোববার (২৪ মার্চ) রাতে খলিলের সেই ফোনালাপ ব্যাপক ভাইরাল হয়। জানা গেছে, রাজধানীর আলমগীর নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর সঙ্গে টেলিফোনে কথাগুলো বলেছিলেন খলিল। ভাইরাল অডিওতে খলিলকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশে একটা মাংস ব্যবসায়ী যেটা হলো খলিল। আমার যে আর্মস-গান, বাংলাদেশের তিনটা ব্যক্তির কাছে আছে। যেটা সবচেয়ে দামি আর্মস। একে-৪৭ মন্ত্রী-এমপির কাছেও নেই। আমার দোকানের একটা স্টাফ দুই কোটি টাকার মালিক। মাংস ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। তারা অনেক টাকার মালিক। আমার যদি কিছু না থাকত ওরা যে কত দিক দিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতাছে। কত দোষ খোঁজার চেষ্টা করতাছে, পাইতাছে না। তারা জানে, আমার সামনে এলে একটাও বাইচ্চা থাকতে পারবে না।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্টাফ অনেক। আমি ১৫ দিন পর পর আমার ফার্নিচার দোকানের ছাদে কাচ্চি, তেহারি- যা মন চায় তাগোরে খাওয়াই। আমি তো তাদের দিয়েই কামাইছি। আমার গোস্ত দোকানে একটা লোক আছে ২৫ বছর ধইরা। ৮টা লোক আছে ২০ বছর ধইরা। আর বাকিগুলো ১২-১৩ বছর ধইরা আছে। একটাও আমারে ছাইড়া যায় না।’ এদিকে ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মাংস ব্যবসায়ীকে ভয় দেখানোর জন্য আমি এসব বলেছি। ২০২১ সালে আমি অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছি। তবে আমার কাছে যে অস্ত্র আছে তা খুবই সাধারণ। একে-৪৭ আমার কাছে নেই। তিনি বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা কেউ আমার পাশে নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। এর ফলে আমি আর মাংস ব্যবসা করবো না। ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৩

রাজধানীতে বাথরুম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
রাজধানীর ভাটারা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শনিবার ভাটারার খাপাড়ার এক পাকা বাথরুম থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রকিব হোসেন মুন্না (৩২), রাশেদুজ্জামান খান রাজু (৩৫), মো. শারিকুল ইসলাম খান (৪৫), মো. আজিম পাটোয়ারী (৩৪), মো. মাহবুব খান (৩৫), মৃত আক্কাস খানের ছেলে শরীফ খান (৩৩) ও মো. সোহরাব খান (৩৩)। বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ভাটারার জোয়ারসাহারার খাপাড়া এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিক্সার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে আসামিরা মোন রুবেল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এই সময় আসামি মো. রাশেদুজ্জামান খান রাজু প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অপর অস্ত্রধারী আসামি রকিব হোসেন মুন্না হত্যার উদ্দেশ্যে মো. রুবেল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার ডান পায়ের উরুতে লেগে গুরুতর জখম হয়। পরে অস্ত্রধারী তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ঢাকা মহানগরসহ গাজীপুর জেলা, মাদারীপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থনে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাপাড়ায় একটি পারিবারিক কবরস্থানের বিপরীতে লোহার গেটের ভেতর পাকা বাথরুমের তালা ভেঙে তল্লাশি করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলভার, ১টি বিদেশি শর্টগান, ১টি পুরাতন রিভলবার যাহার যন্ত্রাংশ খোলা ও ভাঙা, ১টি ৯এমএম পিস্তল; যা পুরাতন ও ভাঙা, ৭৫ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, ৫টি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৪০গ্রাম বারুদ সদৃশ পদার্থ, ৬০ পিস বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

জিম্মি জাহাজে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে জলদস্যুরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্স (ইইউএনএভিএফওআর) যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। অন্যদিকে জলদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। সেই সঙ্গে জিম্মি জাহাজে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে তারা। এছাড়াও ইইউ জাহাজের উপস্থিতি নাবিকদের ওপর জলদস্যুদের চাপ বাড়াচ্ছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে জিম্মি এক নাবিকের পরিবার এক সদস্য গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাহাজে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় নাবিকদের পানি ব্যবহার নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। জাহাজে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকা ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র জলদস্যু নাবিকদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। বর্তমানে কেবিনে থাকতে দেওয়া হচ্ছেনা নাবিকদের। খাবারের কষ্টের পাশাপাশি সবাইকে একটি টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। দ্য ডেইলি সোমালিয়া ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জলদস্যুদের বিমান বিধ্বংসী বন্দুকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রগুলো কাপড় মুড়িয়ে সমুদ্রের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে। ইইউএনএভিএফওআর সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘অপারেশন আটলান্টা’। তার মধ্যে একটি ছবিতে ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ’র খুব কম দূরত্বকেই নির্দেশ করে। অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:২৪

ইসরায়েলকে আর অস্ত্র দেবে না কানাডা
গাজায় সংঘাতের জেরে ইসরায়েলে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম রপ্তানি করবে না কানাডা। দেশটির সরকারের একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজোল্যুশন পাস করে দেশটির পার্লামেন্ট।  রেজোল্যুশনে বলা হয়, কানাডা ইসরায়েলে সামরিক যোগাযোগ সরঞ্জাম বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে রেজোল্যুশনে। এদিকে রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরায়েলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩২ হাজার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

হিন্দি সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অস্ত্র রাখেন শিক্ষক রায়হান
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন বলেন, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন, কী কারণে অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতে গেলেন, তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানিয়েছেন, ভারতের একটি হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, রায়হান শরীফ দীর্ঘদিন ধরেই রায়হান অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তবে উপযুক্ত সোর্স না পাওয়ায় তার পরিকল্পনা সফল করতে একটু সময় লেগে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে রাজশাহী শহরে তার পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় এক অস্ত্র কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয়। রায়হান নিজেই কুষ্টিয়ায় গিয়ে প্রথমে একটি অস্ত্র কেনেন। গত ডিসেম্বরে আবার কুষ্টিয়া গিয়ে ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আরেকটি অস্ত্র কেনেন। সেখান থেকেই তিনি গুলিও কেনেন। তিনি অনলাইনে ছবি দেখে বিদেশি চাকু সংগ্রহ শুরু করেন। শখের বশে অস্ত্র, গুলি ও চাকু কিনে সংগ্রহ করতেন রায়হান শরীফ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কোনো কাজ করার ছক রায়হানের ছিল কি না, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মার্চ আদালত তার (রায়হান) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়