• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অর্থনীতি নিয়ে হতাশার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী
‘দেশের অর্থনীতি নিয়ে হতাশার কিছু নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির সবগুলো সূচকই বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। যেমন বিএনপি মহাসচিব বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। তারা তো এসব কথাই বলে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, তাই এটা ভেঙে পড়বে। তিনি এ ধরনের কথা কীভাবে বলতে পারেন? এগুলো থেকে সত্যিকারের যেটা চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান জানানো হয়েছে।   এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, আমরা সেটি ধরে এগোচ্ছি। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন। মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১

বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ : অর্থনীতি সমৃদ্ধে গুরুত্বারোপ
‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ আইন প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা থেকে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। একজন সরকার প্রধানের সময় উপযোগী এই গুরুত্বারোপ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধে কার্যকারী ভূমিকার পাথেয়।   ‘বাংলাদেশ’ ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে দক্ষিন এশিয়ার তথা বিশ্ব দরবারে রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিতর্কিত সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রায়ের (২০১২ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এবং ২০১৪ সালে ভারত বিরুদ্ধে) পর, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা দাঁড়ায় প্রায় ১১৮,৮১৩ বর্গ কিমি (মূল ভূখণ্ডের ৮১ শতাংশ পরিমাণ), সাথে আছে ৩৭,০০০ বর্গ কিমি প্রসারিত মহীসোপান যার গড় গভীরতা ৫০ মিটার পর্যন্ত। ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ ও অন্যান্য সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশের এই সমুদ্র এলাকাকে মূলত দুটি প্রধান সিস্টেম বা অঞ্চল নিয়ে গঠিত যথা উপকূলীয় ও সামুদ্রিক সেক্টর। উপকূল থেকে ৫০ মিঃ গভীরতা এবং উপকূলরেখা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ কিমি পর্যন্ত অঞ্চলকে বলা হয় উপকূলীয় অঞ্চল। অন্যদিকে ৫০ মিঃ এর অধিক গভীর থেকে গভীর সমুদ্র অঞ্চলকে ধরা হয় সামুদ্রিক সেক্টর। বাংলাদেশের উপকূলরেখা বিস্তৃত দক্ষিণ-পূর্বে জীবন্ত প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন পর্যন্ত মোট ৭১০ কিমি।  বাংলাদেশের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক পরিবেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি আশির্বাদপুষ্ট অঞ্চল- এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু বৈশিষ্ট্যযুক্ত উচ্চ বৃষ্টিপাত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ নদী প্রবাহ দ্বারা সৃষ্ট। এই অঞ্চলে রয়েছে প্রচুর মৎস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলাশয় বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ উত্পাদনশীল বাস্তুতন্ত্রের একটি। বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় রয়েছে জীবিত ও নির্জীব উভয় সম্পদের একটি সমৃদ্ধ রিজার্ভ। জীবিত সম্পদের (প্রাণী এবং উদ্ভিদ) মধ্যে মাছ, চিংড়ি, চিংড়ি, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, মলাস্ক, কচ্ছপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ, উভচর পাখি, প্লাঙ্কটন ইত্যাদি।  বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, এই সমুদ্রসীমায় রয়েছে ৪৪২ প্রজাতির সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মাছ (IUCN ২০১৫), ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৬২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সামুদ্রিক ঘাস, ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ও ১৫৬ প্রজাতির শৈবাল। নির্জীব সম্পদের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয় হাইড্রোকার্বন মজুদ। একটি ব-দ্বীপ হওয়ায় এবং একটি ছিদ্রযুক্ত এবং ভেদযোগ্য হাইড্রোকার্বন বহনযোগ্য বালির কাঠামো এবং ফাঁদের অনন্য অবস্থার কারণে বাংলাদেশ সবসময়ই একটি প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিবেচিত।  আমরা শুধু মৎস্য সম্পদের কথা বিবেচনা করি তাহলে দেখা যায়, এই বিশাল প্রজাতির মধ্যে অনেক প্রজাতি এখনও আমাদের আহরণের মধ্যে আসেনি। এমনকি, গভির সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সক্ষম উন্নত ভেসেল আমাদের নেই। আমরা জানিনা সত্যিকার আমাদের কত প্রজাতীর মৎস্য সম্পদ আছে, তাদের মজুদ কেমন। আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ এদিক থেকে অনেক আগিয়ে রয়েছে এবং সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে তারা তাদের অর্থনীতিতে গুরুতপূর্ন ভুমিকা পালন করছে। পৃথিবীর অনেক দেশ শুধু উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য চাষ করে তাদের মৎস্য উদপাদনে ভুমিকা রাখছে। সে হিসেবে আমাদের উপকূলীয় চিংড়ি চাষ ছাড়া উল্ল্যেখযোগ্য কোন মাছ চাষ নেই। সামুদ্রিক মাছ চাষের কথা বাদই দিলাম।  জনসংখ্যায় বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে বিশ্বে ৯২ তম। ৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপ ও নগররাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির  বর্তমান জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১৪০ জন)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তথ্য মতে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার। বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। মোট জনসংখ্যা ১৮ কোটি হিসেবে, মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৪৪ হেক্টরে। ২০৪১ সালে যখন জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২১ কোটিতে তখন মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ অনেক কমে যাবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিশাল জনসংখ্যার জীবন-জীবিকা নির্বাহের উৎস্য খুঁজতে হবে আমাদের। যদিও আমরা টেকনোলজি অথবা আইটি সেক্টরে আরো এগিয়ে যাব, তারপরও কৃষি নির্ভরতা আমাদের মূল চাবিকাঠি থাকবে বলে মনে করি। তাই ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে অন্যান্য খাতের সাথে তাল মিলিয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সমুদ্র সম্পদ আরোহণ, টেকসই ব্যাবস্থাপনা, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্যচাষ সহ অন্যান্য কৃষি শিল্পের দিকে। একইসাথে সমুদ্রের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ যথা তেল-গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ আরোহণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসতে পারে আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি।  সম্প্রতি আরভি মীন সন্ধানী (২০১৭-১৯) আমাদের সমুদ্রের উল্ল্যেখযোগ্য কিছু মাছের মজুদ ও আরোহণের উপর গবেষণা করেছে যদিও সঠিক ও নির্ভূল বৈজ্ঞানিক তথ্য পেতে দীর্ঘ দিনের সার্ভে দরকার। সেখানে দেখা গেছে অনেক প্রজাতির মাছ নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে অধিক ধরা হচ্ছে আবার অনেক প্রজাতি রয়েছে অধরা। আমাদের এই বিস্তৃত উপকূলীয় ও সমুদ্র জলে আমরা নতুন-নতুন প্রজাতি ও পদ্ধতি ব্যাবহার করে মৎস্য উৎপাদনকে বাড়াতে পারি অনেক গুন যেটা আমাদের একদিকে যেমন প্রানীজ আমিষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে অন্যদিকে রপ্তানী করে অর্জিত হবে বৈ্দেশীক মুদ্রা। তেমনি করে আমাদের অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ ও উত্তোলনের পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। অদ্যবদি আমরা জানিনা গভীর সমুদ্রে তেল থাকার সত্যিকারের সম্ভাবনা এবং গ্যাস রিজার্ভ কি পরিমাণ আছে কারন এখনও মূল্যায়ন করা হয়নি। সম্প্রতিক সময়ে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যেমন, সাসটেন্যাবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ যেটা বঙ্গপোসাগরের বিপুল মৎস্য সম্পদ আহরণে টেকসই মৎস্য মজুদ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা এবং উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য মৎস্য অধিদফতর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে। এরই আওতায় আমাদের উপকূলীয় জলাশয়ে নতুন-নতুন প্রজাতির বানিজ্যিক চাষের সক্ষমতা যাচাই হচ্ছে। সাথে-সাথে আমাদের গবেষণার উপর আরো জোর দিতে হবে এবং যেগুলো হচ্ছে তার প্রাপ্ত ফলাফল বা সুপারীশ রাষ্ট্রিয়ভাবে কার্যকারী করার পদক্ষেপ নিতে হবে। গবেষণা লব্দ ফলাফল যেন শুধ কাগুজে না হয়। একই সাথে খনিজ সম্পদের মজুদ ও উত্তোলনের জন্য অভিজ্ঞলব্দ জনবল নিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ব্লু ইকোনমি সেল। এটির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বুকে ও তলদেশে যাবতীয় মৎস্য, জলজ সম্পদ ও তেল-গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান এবং এসবের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে সমুদ্রসম্পদ মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে এই বিষয়ে আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। দেশের সমুদ্রসম্পদ নিয়ে যেসব ইনস্টিটিউট/গবেষণা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে তাদেরকে একটা প্লাটফরমে আনতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ আইন প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই বিষয়ের গুরুত্বারোপ একজন রাষ্ট্রনায়কের দূরদর্শীতার পরিচায়ক। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের সমুদ্রসম্পদ ব্যাবহারের সক্ষমতার উপর অনেকটা নির্ভর করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আশা করি বর্তমানে গৃহীত পদক্ষেপের সাথে আরো কার্যকারী পদক্ষেপ ও বিদেশী বিনিয়োগের সমন্বয় ঘটাতে পারলে এই বিশাল সমুদ্রসম্পদ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম পিলার হবে।      লেখক : ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২০

বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংকের এমডি
বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ঋণ পরিশোধ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে তার সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  বাংলাদেশের সমসাময়িক ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরে সংবাদকর্মীদের  তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশ্বব্যাংক কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক সুরক্ষা, এসএমই খাতের উন্নয়ন নিয়েও কথা হয়েছে। অ্যানা বেজার্ড বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ যার বাইরে না। এসবের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ডের এটি তার প্রথম  বাংলাদেশ সফর। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এই ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রথম ঋণ নেয়। যার পরিমাণ ছিল ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা নেওয়া হয় জরুরি অগ্রাধিকার খাতে। একই বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়। পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে পানি সরবরাহ খাতের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানটি। এর পর থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ নেয় বিশ্বব্যাংক থেকে। বাংলাদেশে দুটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা সেতু) এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (দুই লেন) নির্মাণসহ এ পর্যন্ত ৩০০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। এখন নতুন করে চলমান রয়েছে আরও ৫৭টি প্রকল্প।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

টেক্সটাইল ও পোশাকের বৈশ্বিক শিল্প পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে পাট ও জীবিকা নির্বাহের উপর নির্ভরশীলতা থেকে টেক্সটাইল ও পোশাকের বৈশ্বিক শিল্প পাওয়ার হাউসে পরিণত করেছে, দারিদ্র্যের হার অর্ধেক করেছে এবং মোট দেশজ উৎপাদনকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া বাজারমুখী নীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং কৌশলগত বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি ছিল। বাংলাদেশের লক্ষ্য যেহেতু তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করা এবং ভ্যালু চেইনে আরোহণ করা, তাই আফ্রিকা পোশাক শিল্পের পরবর্তী সীমানা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা একই ধরনের প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন থেকে উপকৃত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ব্লগে এমন কথাগুলো লিখেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) ম্যানুফ্যাকচারিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সাপ্লায়ার ফাইন্যান্স- এর গ্লোবাল ম্যানেজার ফেমি আকিনরেবিয়ো।  তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নয় মাসের যুদ্ধে তারা সবেমাত্র পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এটি একটি অত্যন্ত দরিদ্র, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল যা মূলত পাট উৎপাদন এবং জীবিকা নির্বাহের উপর নির্ভরশীল কিন্তু তার জনগণকে খাদ্য জোগানে অক্ষম। ১৯৭৪ সালে এটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশ। ওই সময় দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফররত বিশ্বব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ একে ‘পরমাণু হামলার পরের সকালের মতো’ বর্ণনা করেছিলেন। তারপরে, এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি সরকারী প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়েছিল এবং বাংলাদেশ এমন একটি পথে যাত্রা শুরু করেছিল যা দেশটিকে কৃষি অর্থনীতি থেকে শিল্প পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করবে। টেক্সটাইল এবং পোশাক উৎপাদন এমন একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা আজ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করে। শিল্পের বেসরকারিকরণ এবং বাণিজ্য উদারীকরণসহ বাজারমুখী নীতিতে বাংলাদেশের পরিবর্তনের ফলে পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  রেডি-টু-ওয়্যার পোশাক বৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ হয়ে ওঠে এবং সুতির টি-শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার এবং ডেনিম তার প্রিয় স্পট হয়ে ওঠে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম দেশে উন্নীত করেছে, দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে এবং লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগের দশকে অর্থনীতি বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছিল, যা প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের ট্র্যাক রেকর্ড আজ আফ্রিকার উদীয়মান অর্থনীতির ঈর্ষার কারণ। শিল্পায়নের জন্য কোনও ‘এক-আকারের-ফিট-অল’ রেসিপি নেই। তবে বৃহত্তর, স্বল্প ব্যয়বহুল কর্মীবাহিনী, পর্যাপ্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিযুক্ত দেশগুলোতে পরবর্তী প্রজন্মের টেক্সটাইল এবং পোশাক শক্তি গড়ে তুলতে যা লাগে তার বেশিরভাগই রয়েছে। আর বাংলাদেশের বিপরীতে আফ্রিকায় দেশীয় তুলার বাড়তি সুবিধা রয়েছে।  ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের রফতানি করা সুতির টি-শার্টের ২০ শতাংশ উৎপাদন করেছে, যার মূল্য ৯ বিলিয়ন ডলার, যদিও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল লাগানো তুলার ২ শতাংশেরও কম উৎপাদিত হয়েছে। এটি সম্ভবত একটি সুখকর বিশ্বাস যে, আফ্রিকার পোশাক শিল্প সম্প্রসারণে আগ্রহ একক খাতের নির্ভরতা থেকে বৈচিত্র্যময় হওয়ার বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে মিলে যায়। চূড়ান্তভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে শুধু পোশাক থেকে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ভাবে সফল শিল্পায়ন নীতির জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য, যার মধ্যে রয়েছে, রফতানি অঞ্চলগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্কমুক্ত অনুমতি দেওয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। এই কৌশল, যার জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত, একটি অত্যাধুনিক পোশাক খাত তৈরি করেছিল যা ৩ হাজার ৫০০ টিরও বেশি কারখানায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করে এবং ১৬৭টি দেশে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। পোশাক কাটা, সেলাই ও একত্রিত করা কঠিন এবং ক্লান্তিকর ও সস্তা শ্রমের উপর নির্ভর করে রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির মডেলগুলো চিরকাল স্থায়ী হয় না। অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এর পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে রয়েছে। পোশাক শিল্পে মূলত নারী শ্রমশক্তির আধিপত্য রয়েছে, যারা কারখানার ফ্লোর থেকে অনেক দূরে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে আমি সেটা প্রত্যক্ষ করেছি। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএফসি) মধ্যে একটি সহযোগিতায় বেটার ওয়ার্ক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নসের মতো কর্মসূচি কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে, লিঙ্গ বৈচিত্র্যকে উন্নত করেছে এবং নারীদের জন্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি করেছে। এই অভিন্ন সমৃদ্ধির সামাজিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশের তিন-চতুর্থাংশ নারী শিক্ষিত, তারা তাদের আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের তুলনায় শিক্ষা গ্রহণ, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং স্বাস্থ্যবান সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামান্য সহায়তায় উন্নয়নের সামাজিক ও টেকসই সুফল পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর পরবর্তী ক্লাস্টারে স্থানান্তরিত হবে। এটি এমন একটি উন্নয়নের ধারা যা আমরা আগেও দেখেছি। বাংলাদেশের সৃষ্টির গল্প শুরু হয়েছিল অনেকটা সেভাবেই। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশী কোম্পানি দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু একটি যৌথ উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। তারা স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশের সস্তা শ্রমশক্তি তাদের সাশ্রয়ী মূল্যের পোশাক ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিধি বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। ব্যবস্থাটি ছিল একটি দ্বিপাক্ষিক সফল প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের জিডিপি ১৯৮০ সালের ১৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং এটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেক্সটাইল এবং পোশাক রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। এখন, আইএফসি পরবর্তী বড় শিল্প রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করছে। এই বিবর্তন দক্ষিণ দিকে আফ্রিকার দিকে তাকায়, যেখানে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পায়নের জন্য পরিস্থিতি পরিপক্ক। আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্টের মতো কর্মসূচি ইতোমধ্যে কেনিয়া, মিশর, ঘানা, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কার এবং অন্যান্য দেশে মার্কিন বাজার ও ব্যবসায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করেছে এবং টমি হিলফিগার, ইউনিক্লো, চিলড্রেনস প্লেস, কেলভিন ক্লেইন এবং ওয়ালমার্টের সরবরাহ চেইনের অংশ হয়ে উঠেছে। মরক্কোতে, যা ইউরোপ থেকে মাত্র একটি সংক্ষিপ্ত হাব, সংস্থাগুলো ইউরোপীয় বাজারে সরবরাহ করার জন্য জারার মতো ব্র্যান্ডের জন্য উৎপাদন করছে। এই ঐতিহাসিক সাপ্লাই চেইন রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য, আইএফসি ২০২৩ সালের জুনে একটি রোড শো স্পন্সর করেছিল যা আফ্রিকান নির্মাতাদের বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় আন্তঃআঞ্চলিক উৎপাদন অংশীদারিত্বের সুযোগগুলো সন্ধান করতে নিয়ে এসেছিল। এরই মধ্যে কিছু চুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আফ্রিকা আরও অনেক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত যা টেকসই, স্থিতিস্থাপক এবং লাভজনক অর্থনৈতিক বিকাশকে চালিত করতে পারে এবং সম্ভবত গ্লোবাল সাউথে টাইগার অর্থনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।   
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩

অর্থনৈতিক সূচকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অর্থনীতির চাকা সজোরে ঘুরছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর অবস্থান পাল্টে গেছে। এর মধ্যে আছে তৈরি পোশাক খাত, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি আয়। এ ছাড়া টানা পাঁচ মাস কমেছে মূল্যস্ফীতি। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বেড়েছে ও ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।  টানা ৫ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি কমছে মূল্যস্ফীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে এখন মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। আর একই সঙ্গে কমছে জিনিসপত্রের দাম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, টানা পাঁচ মাস ধরে কমে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। ডিসেম্বরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে, যা আগের সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছেছিল, যা ছিল গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে অর্থ বিভাগের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাজারে মুদ্রা প্রবাহ কমিয়ে আনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার বেশ কয়েক দফায় বাড়িয়েছে এবং ঋণের সুদহারের বেঁধে দেওয়ার সীমাও তুলে দিয়েছে। বাড়ছে রাজস্ব আদায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ২০ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ঋণ না নিয়ে পরিশোধ করেছে সরকার  প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ঘাটতি না হয়ে বরং উদ্বৃত্ত হয়েছে। এ সময় ঘাটতি বাজেট পূরণে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ না নিয়ে পরিশোধ করা হয় ৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণ শোধ করা হয় ৬ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল ৫১ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে নতুন ঋণ না নিয়ে আগের নেওয়া ঋণ থেকে ৩৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। গত অর্থবছরের ওই সময়ে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিয়েছিল ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আগের ঋণের স্থিতি থেকে ১৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে নিয়েছিল ১১ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আগের ঋণের স্থিতি থেকে পরিশোধ করেছে ২৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। ক্রয়াদেশ বাড়ছে তৈরি পোশাক খাতে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বাড়ছে। তারা বলছেন, আগামী মাসগুলোতে আরও বেশি অর্ডার পাবেন। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র মুখপাত্র ও পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এটি সত্যি খুশির খবর যে একক মাস হিসেবে পোশাক রপ্তানিতে এই প্রথম ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই খাত। বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিকটি হলো—আমরা ধীরে ধীরে আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম হচ্ছি এবং অত্যাধুনিক আইটেমগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা আয় বৃদ্ধিতে প্রতিফলিত হচ্ছে। বেড়েছে রেমিট্যান্স আহরণ চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। একক মাস হিসেবে জানুয়ারিতে আসা রেমিট্যান্স গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের মাস ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি এবং গত জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির প্রবণতা এখনও চলমান। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ৯ দিনে প্রবাসীরা ৬৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে আসছে ৭ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। রপ্তানি আয়ে রেকর্ড রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি মূল্য সদ্য বিদায়ী জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ইপিবির হিসাবে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি— সাত মাসে রপ্তানি ছিল ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৭ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ইপিবির তথ্য থেকে জানা যায়, জানুয়ারি মাসে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের (৪.৯৭ বিলিয়ন) পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানির ইতিহাসে একক মাস হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ব্যাংকে আমানত বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতে আমানত দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা—যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণের সুদ বাড়ার কারণে আমানতের সুদ হার বেড়ে গেছে। আর আমানতের সুদ হার বাড়ার কারণে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সুদ আয়-নির্ভর আমানতকারীরা। কমেছে খেলাপি ঋণ ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আগের প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় নেমেছে। তিন মাস আগে গত সেপ্টেম্বর শেষে যা ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো আদায় জোরদার, পুনঃতফসিল, অবলোপনসহ বিভিন্ন উপায়ে খেলাপি ঋণ কমিয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, অর্থনীতিতে কিছু সংকট থাকলেও বাংলাদেশ তা কাটিয়ে উন্নয়নের পথে ফিরতে শুরু করেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি বলেন, আমরা সঠিক পথে ফিরেছি, অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর রাতারাতি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা নয়। সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৬

‘আ.লীগ সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে’
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৌচাক মোড়ে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। আর সরকারের কাছেও টাকা নেই। তিনি বলেন, এই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না। কারণ, তারাই সিন্ডিকেট। আর সিন্ডিকেটই সরকার। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। দেশের জনগণকে এই জালিম সরকারের হাত থেকে মুক্ত করেই আমরা ফিরব। ঢাকা মহানগরের সব থানা থেকে শুরু করে সারাদেশে আমরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালিয়ে যাব। পাশাপাশি সরকারের অবৈধ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার কর্মসূচিও থাকবে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সরকারের লুটপাট এবং ব্যাংক ধ্বংসের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে। আর ১৫ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ফার্মগেট, খামারবাড়িতে এবং ২৩ ও ২৪ তারিখে খিলগাঁওতে নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের কর্মসূচি থাকবে। এর মানে বার্তা পরিষ্কার, আমরা সরকারকে মানছি না, রাজপথ ছাড়ছি না। সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৯

আইএমএফের সতর্কতা / চলতি বছর চ্যালেঞ্জেরে মুখে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি
বিশ্ব অর্থনীতিতে এবার নতুন সতর্কতা দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফ বলছে, চলতি বছরে নির্বাচনের চাপে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে এ হুশিয়ারি দিলেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। জর্জিয়েভা বলেছেন, এ বছর প্রায় ৭৮টি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বিশ্বের বহু দেশে কোটি কোটি মানুষ এ বছর নির্বাচনে ভোট দেবেন। বিভিন্ন দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। জনসমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারগুলোর ওপর ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাব্য চাপ রয়েছে। জর্জিয়েভা আরও বলেছেন, আইএমএফের উদ্বেগ, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সরকার চলতি বছর নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি কমাতে খুব বেশি বাজেট বরাদ্দ করছে না। যদি আর্থিক নীতি কঠোর হয়, কিন্তু রাজস্ব নীতি প্রসারিত করা হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপটি কার্যকর হবে না। আইএমএফ প্রধান বলেন, এর ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে পারি। তবে পরিস্থিতি শিথিল করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে ধরে রেখেছে। এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ৫ দিনের এ সম্মেলন ঘিরে আইএমএফ প্রধান বলেন, চলতি বছর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত দেশগুলো বিশ্বের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।  আইএমএফের নতুন একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে, জর্জিয়েভা সতর্ক করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সারা বিশ্বে চাকরির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তিনি বলেছেন, এআই উন্নত অর্থনীতির ৬০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী প্রভাবিত করবে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এআই কম প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছেন তিনি। ফলে এই প্রযুক্তি দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যকে আরও বাড়াবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়