• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোজার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন
তাকওয়া অর্জন করতে হলে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আর মানুষকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা নবি-রাসুলদের পাঠিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদের মধ্যে স্বয়ং তোমাদের থেকেই একজন রাসুল পাঠিয়েছি, যে তোমাদেরকে আমার আয়াত পড়ে শোনায়, তোমাদের জীবন পরিশুদ্ধ করে সুসজ্জিত করে, তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় এবং এমন সব কথা তোমাদের শেখায়, যা তোমরা জানতে না।’ (আল-বাকারাহ : ১৫১) নিজেকে পরিশুদ্ধ করা সম্ভব হবে তখন, যখন নিজেকে সব পাপাচার থেকে বিরত রাখা যাবে। পাপ থেকে বিরত থাকার অন্যতম মাধ্যম হলো রোজা। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘রোজা হলো ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনদিন রোজা রাখলে তার মুখ থেকে যেন খারাপ কথা বের না হয়, সে যাতে মূর্খতাসুলভ আচরণ না করে। কেউ যদি তার সাথে বিবাদে লিপ্ত হয় কিংবা গালমন্দ করে সে যেন বলে আমি রোজাদার। নিশ্চয়ই আমি রোজাদার।’ (আবু দাউদ : ২৩৫৫) কিয়ামতের দিন রোজা বান্দার জন্য জন্য সুপারিশ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ও কুরআন রোজাদার বান্দার জন্য (আল্লাহর কাছে) কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে হে আল্লাহ! আমি এ ব্যক্তিকে দিনে খাবার ও অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে ফিরিয়ে রেখেছি, আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ (আল হাদিস) রোজাদার ব্যক্তি রাইয়ান দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতের একটি দরজা আছে যাকে বলা হয় রাইয়ান। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র রোজাদার লোকেরাই প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত অন্য কেউ এ পথে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন এই বলে ডাক দেয়া হবে- রোজাদার লোকেরা কোথায়? তারা যেন এ পথে প্রবেশ করে। এভাবে সব রোজাদার ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে। অতঃপর আর কেউ এ পথে প্রবেশ করতে পারবে না।’ ( সহিহ বুখারি : ১৭৭৫)  আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রোজার মাধ্যমে তাকওয়া ও জান্নাত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন। লেখক : প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মাদরাসাতুন নূর আল আরাবীয়া বাংলাদেশ, আফতাবনগর, ঢাকা।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

‘বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। ওই পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি লিখেছেন, ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৫৩ বছর আগের এ দিনে মধ্যরাতে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ওয়্যারলেস বার্তায় বলেছিলেন, ‘...এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।... পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন....।’ আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন এবং মাত্র ৯ মাসেই বিজয় অর্জন করেছিলেন। আজ স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু এবং সব মুক্তিযোদ্ধাকে। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৯

বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শুধু পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে একজন সেনাসদস্যের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনে ফায়ারিংয়ে দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে বলেন, যা সেনাসদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছর সেনাবাহিনীর এই ফায়ারিং প্রতিযোগিতা সেনাসদস্যদের কাঙ্ক্ষিত মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সদর দপ্তর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ফরমেশনসহ লজিস্টিকস্ এরিয়া এবং ৫টি স্বতন্ত্র ব্রিগেড এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডসহ সর্বমোট ১৭টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় ১৭ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশন রানার্সআপ হয়। শ্রেষ্ঠ নারী ফায়ারার হয়েছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক সুমাইয়া। প্রতিযোগিতায় ৭ এডি ব্রিগেডের সার্জেন্ট আখতারুল হাসান শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক জাহাঙ্গীর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার হন।   অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া ছাড়াও বিভিন্ন ফরমেশন ও সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, কুমিল্লা সেনানিবাসের সব অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

বাঙালির সব অর্জন আ.লীগের হাত ধরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বুকে আমরা যে পরিচয়টা পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি সেটা তার হাত ধরেই এসেছে। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর একটি বিজাতিও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুজিব একটি জাতির রুপকার, এই সিনেমা দেখলেও কিন্তু ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য ছিল তিনি (বঙ্গবন্ধু) আবার ভাষা আন্দোলেন কী ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে গেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত সমস্যা। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। জাতির পিতার অবদানকে খাঁটো করার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৩

৩ গুণীজনের ওয়াজেদ মিয়া স্বর্ণপদক অর্জন
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ‘ওয়াজেদ মিয়া স্বর্ণপদক-২০২৪’ পেয়েছেন তিন গুণীজন। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি, কথাসাহিত্যিক ও লোকসাহিত্য গবেষক রাজু অনার্য, ক্রীড়ায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাবেক ফুটবলার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কোচ সুজিত কুমার ব্যানার্জী (চন্দন) এবং সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী এই পদক পেয়েছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই তিন গুণীজনকে সংবর্ধনা ও পদক দেওয়া হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। পদক পাওয়া গুণীজনেরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই স্বীকৃতি তাদের কাজের গতিকে আরও বেগবান করবে। নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহ পাবেন তারা। ওয়াজেদ মিয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনায় ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি এ. কে. এম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত কুমার নন্দী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম, ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৩

আইএসও সার্টিফিকেশন অর্জন করলো সিনট্যাক্স গ্লোবাল
গুণগতমান ব্যবস্থাপনার জন্য আইএসও সার্টিফিকেশন (ISO 9000:2015)  অর্জন করেছে সিনট্যাক্স গ্লোবাল। এই মর্যাদাপূর্ণ সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে রাইস ব্রান অয়েল উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুণগতমান এবং শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিনট্যাক্স গ্লোবাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এফ এম রিয়াজউল ইসলাম শাহরিয়ারের হাতে এই সার্টিফিকেট হস্তান্তর করে আইএসও কর্তৃপক্ষ।  এ সময় তিনি বলেন, ‘এই সার্টিফিকেট আমাদের কৃতিত্বের প্রতিক, যা আমাদের সমগ্র টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং উতসর্গের ফল। গুনগত মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি, ক্রমাগত উন্নতি এবং সর্বোপরি দেশের অর্গানিক খাবারের প্রতি যে সচেতনতা শুরু হয়েছে সে পথে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতি আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।’ ISO 9000:2015 সার্টিফিকেশন হলো সিনট্যাক্স গ্লোবাল ও তার গ্রাহকদের পণ্য এবং পরিষেবা প্রদানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করবে বা গ্রাহক সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার চেয়েও বেশী করবে এমন একটি প্রমাণপত্র।  যা আইএসও কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, সিনট্যাক্স গ্লোবাল গুণগতমান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও ব্যতিক্রমী সমাধান দেওয়াকে নিশ্চিত করে। বর্তমানে রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন ও বিপণন করছে প্রাতষ্ঠানটি। এছাড়াও এগ্রো, গবাদি পশু এবং মৎস চাষ থেকে অর্গানিক কৃষি পণ্য উৎপাদন এর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬

কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্টের অনন্য অর্জন
ট্রাইটেক সরবরাহকৃত এইচভ্যাক প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্বসেরা লিড প্ল্যাটিনাম পরিবেশবান্ধব ওয়াশিং প্ল্যান্টের তালিকায় কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরি।   অত্যাধুনিক এয়ার কন্ডিশনিং ফ্যাসিলিটি, নবায়নযোগ্য এনার্জির ব্যবহার এবং অবিশুদ্ধ পানির পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে দেশীয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাইটেক বিল্ডিং সার্ভিসেস লিমিটেডের এইচভ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তায় এবং কাওয়াসাকি অ্যাবজরপসন চিলার ব্যবহার করে বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব ওয়াশিং প্ল্যান্টের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এম এন্ড জে গ্রুপের কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্ট। জাপানে প্রস্তুতকৃত কাওয়াসাকি অ্যাবজরপসন চিলার বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, দীর্ঘস্থায়ী এবং এফিশিয়েন্ট অ্যাবজরপসন চিলার। অত্যাধুনিক ম্যাটেরিয়াল গ্রেড এবং সিলিং কোয়ালিটি এর কারণে এ চিলার অন্যান্য অ্যাবজরপসন চিলার থেকে দ্বিগুণের বেশি সময় পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে সক্ষম।   ট্রাইটেক ইনস্টলকৃত কাওয়াসাকি অ্যাবজরপসন চিলার, ইনডিরেক্ট ইভাপোরেটিভ কুলিং টেকনোলজি, স্পেশাল ডাস্ট কালেকশন সিস্টেম এর মাধ্যমে কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্ট সমগ্র বিশ্বের মোট ৬৩টি লিড প্লাটিনাম পরিবেশবান্ধব ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে সমাদৃত হয়েছে। কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্টে স্থাপিত কাওয়াসাকি অ্যাবজরপসন চিলার কোনো অপারেশন খরচ ছাড়াই পরিবেশে নির্গত হওয়া অব্যবহৃত তাপ ব্যবহার করে কুলিং এনার্জি সরবরাহ করে, যা সম্পূর্ণ প্ল্যান্টের এনার্জি খরচ এবং কার্বন নিঃসরণ এর পরিমাণ কমিয়েছে বহুগুণে। কারখানাটি সম্পর্কে ট্রাইটেকের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আবু আল মোত্তালিব রাজু গণমাধ্যমকে জানান, লিড সার্টিফিকেশন অর্জনের জন্য সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে, সাশ্রয়ী এবং নবায়নযোগ্য এনার্জি সোর্স ব্যবহার করা, এনার্জি এফিশিয়েন্ট এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম স্থাপন করা, ব্যবহৃত পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বিনষ্ট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী এমন কোনো প্রযুক্তি বা উপাদান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং এর এই চর্চা, দেশের শিল্পক্ষেত্রে একটি অনুকরণীও দৃষ্টান্ত। দেশের অন্যান্য ওয়াশিং প্ল্যান্টগুলোর জন্য কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্ট একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এর আগে, ট্রাইটেক মিডিয়া ভি আর এফ এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করে একই শিল্পগোষ্ঠীর জেনেসিস ওয়াশিং প্ল্যান্টের এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজ সম্পন্ন করে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশবন্ধব ওয়াশিং প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি লিড পরিবেশবান্ধব ফ্যাক্টরি রয়েছে এবং শীর্ষ ১০০টি লিড সার্টিফাইড গ্রিন ফ্যাক্টরির বেশিরভাগই বাংলাদেশে অবস্থিত।  
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২

আমরা নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছি : কামরুল
‘গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের উদযাপন হিসেবে আজকের দিনটা আমরা পালন করছি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এই দিনে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠেই তিনি দেশগড়ার কাজে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটি অশুভ শক্তি ২৯ বছর দেশকে শাসন করেছিল। সংসদে এবং এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান করছিল। আজকের দিনে আমরা বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির অবস্থান পোক্ত হয়েছে। আমরা সংসদ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিতাড়িত করেছি। কামরুল ইসলাম বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আসুন আমরা সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শেষে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। এর আগে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে উদ্যানের চারদিকে জড়ো হন ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশ গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে লোকারণ্যে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, রাজু ভাস্কর্যসহ আশপাশের এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস এলাকা, রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ, হাকিম চত্বর, টিএসসি প্রাঙ্গণ, রোকেয়া হলের সামনেসহ কয়েকটি জায়গায় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। তাদের অনেকের হাতে বিভিন্ন নেতার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড, অনেকের হাতে বাংলাদেশের পতাকা ছিল। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়