• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।      রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে সালমানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। অভিনেতার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  এ প্রসঙ্গে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বাড়িতে গুলি চালানোর পর মুম্বাই থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃতদের মুম্বাই আনা হবে। পাশাপাশি সালমানের বাড়ির এই ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হামলা হিসেবেই অভিহিত করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই হামলার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।    এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’  এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ভাইরাল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা 
বেঞ্জামিন বসুমাতারি। ভারতের আসামের ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল)-এর একজন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প এবং গ্রামীণ চাকরি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বড় এক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তিনি। অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন এই নেতা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে বসুমাতারির। আর তাতেই ভারত জুড়ে তোলপাড়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন আসামের ওদালগুড়ি জেলার ভৈরাগুড়িতে গ্রাম পরিষদ উন্নয়ন কমিটির (ভিসিডিসি) এই চেয়ারম্যান। তার ওপর ৫০০ রুপির নোটের স্তূপ। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। এদিকে বসুমাতারির এমন কাণ্ডের দায় নিতে অস্বীকার করেছে তার দল ইউপিপিএল। বোডোল্যান্ড-ভিত্তিক দলটির প্রধান এবং বোডোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী সদস্য প্রমোদ বোরো বুধবার সকালে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেঞ্জামিন বসুমাতারি আর দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কয়েক মাস আগেই তাকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।  বিবৃতি দিয়ে প্রমোদ বোরো বলেছেন, ‘বেঞ্জামিন বসুমাতারির একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, বেঞ্জামিন বসুমাতারি আর ইউপিপিএলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাকে গত ১০ জানুয়ারি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সকল গণমাধ্যম এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করছি যে, বেঞ্জামিন বসুমাতারিকে ইউপিপিএলের সঙ্গে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন। তার ক্রিয়াকলাপের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তার নিজের। দল তার ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য দায়ী নয়।’ বিরোধীরা অবশ্য ইউপিপিএল প্রধানের এমন বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বেঞ্জামিন বসুমাতারি এখনও ইউপিপিএলে যুক্ত আছেন।   এ ব্যাপারে বেঞ্জামিন বসুমাতারির কোনও বিবৃতি পাওয়া না গেলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ভাইরাল হওয়া ছবিটি আগের; গত নির্বাচনের সময়কার। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোডোল্যান্ডের এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প এবং গ্রামীণ চাকরি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বড় আকারের একটি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত। ওদালগুড়ি উন্নয়ন অঞ্চলে বসুমাতারি ভিসিডিসির অধীনে পিএমএওয়াই এবং এমএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীন দরিদ্র সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তিনি ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।   
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণীর দায়ের করা মামলায় অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম রেজাকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  গ্রেপ্তার সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন। এরপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে না করে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান অভিযুক্ত সেলিম। শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী  ওিই তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা তরুণীকে জানিয়ে দেয় সেলিম রেজারকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি এই বাড়ি থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেলিমের পরিবার থেকে সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পাবনা র‌্যাবের একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে দলটি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

অবন্তিকার আত্মহনন : অভিযুক্ত দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার তথ্য চায় তদন্ত কমিটি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদি চেয়েছে তদন্ত কমিটি। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের সম্পৃক্ততার তথ্য চাওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, কারও নিকট কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের নিকট জামা প্রদান করে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। এর আগে রোববার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৩০ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রথম সভায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন চারটা সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে আগাবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা গলায় রশি বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। কুমিল্লা সদর হাসপাতালের রাত্রিকালীন দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জুবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুর ১০ মিনিট পূর্বে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন। বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস। এদিকে অবন্তিকার দুঃখজনক ও অকাল মৃত্যু এবং সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করছে তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার আত্মহননের পেছনে প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪

অবন্তিকার আত্মহত্যা : অভিযুক্ত আম্মান ফেসবুকে যা লিখলেন
ফেসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। সেখানে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের (আম্মান সিদ্দিকী) ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম নামের উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জবি প্রশাসন। পাশাপাশি দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার (১৬ মার্চ) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হল- ‘প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন। এবারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সকলের কাছে অনুরোধ করবো পুরো ব্যাপারটা একটা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে শুধু জাজ না করে ঘটনার আদ্যোপান্তটা জানার জন্য। ঘটনার সূত্রপাত ০৪.০৮.২০২২ সালে। একটা ফেইক আইডি থেকে আমাদের ১৪ জন শিক্ষার্থীর নামে গুজব ছড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে আমার নামেও অনেক মিথ্যা অপবাদ মূলক কথা ছিল। এমনকি অবন্তীর নিজের নামও সেই টেক্সটের মধ্যে ছিল। যখন এমন ম্যাসেজ সামনে আসলো আমি সবাইকে নিয়ে কোতোয়ালী থানায় যায়। সেখানে অবন্তী নিজেও উপস্থিত ছিলো। পরবর্তী জিডি করা হয়। এবং জিডি করে ফেরার সময় অবন্তী স্বীকার করে যে ওই ফেইক আইডিটা সে নিজে খুলেছে। এবং অন্য একটি মেয়েকে ফাঁসানোর জন্য সে এই কাজটি করেছে।  পরবর্তী দিন এসআই রুবেলকে, আইও (কোতোয়ালী থানা) আমরা জানাই যে আমাদেরই এক ফ্রেন্ড ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এস আই রুবেল আমাদের থেকে অবন্তীর আম্মুর ফোন নাম্বার নিয়ে কল করেন। কল ধরেন অবন্তীর বাবা। সেখানে এসআই রুবেল ভাই আঙ্কেলকে বলেন আপনার মেয়ের বন্ধুদের মধ্যেই যেহেতু বিষয়টি ঘটেছে সেহেতু নিজেরা বসে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে সমাধান করে ফেলেন।  আমরা সবাই যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেহেতু প্রক্টর স্যারের কাছেও আমরা ব্যাপারটা অবহিত করি যাতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে যেন  প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত থাকেন। অবন্তী এই ঘটনার আগ পর্যন্ত আমার বা আমাদের বেশ ভালো বন্ধুই ছিল। যাই হোক, প্রক্টর অফিস থেকে ওর পরিবারের কাছে চিঠি যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অবন্তীর বাবা-মা ক্যাম্পাসে আসেন। প্রক্টরিয়াল তদন্ত কমিটির সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করে অবন্তী এবং একটা মুচলেকা দেয়। সেই দিনই অবন্তীর আম্মা আমাদের সবার সাথে বাইরে এসে কথা বলেন এবং বলেন ভালোভাবে বাকী সময়টা যেন আমরা মিলে মিশে পার করি। উনি ওইদিন আমাদের সবাইকে কেকও কিনে খাওয়ান। তার পরবর্তী সময়ে আমি অবন্তীকার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। আর ফেসবুকে তার সঙ্গে আমার তারপর থেকে কোনো যোগাযোগই হয়নি। এমনকি তার সাথে আমার ওই ঘটনার পরে কোনো মাধ্যমেই যোগাযোগ হয়নি।  এবার আসি আমার জায়গা উপস্থাপনে। যারা পোস্টটি পড়ে এতরফা চিন্তা করছেন তারা একটু ঠান্ডা মাথায় এটা পড়বেন। একজন মারা গেছে তার জন্য দুঃখ পাওয়াটা অবশ্যই যৌক্তিক এবং স্বাভাবিক। আমি নিজেও ব্যথিত এবং মানতে কষ্ট হচ্ছে যে এমন একটা তুচ্ছ ঘটনাকে মাথায় রেখে ২ বছর পরে এসে এমন একটা কাজ অবন্তী করবে। তবে একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেন। এবং আমার কাছে প্রত্যেকটা বিষয়েরই ডকুমেন্টস আছে। সবাই যদি ডকুমেন্টসগুলোও স্পষ্ট করে দেখেন তাহলে হয়ত বুঝতে পারবেন। আর একটা প্রশ্ন কি আপনাদের মাথায় আসছে না যে ‌‘মেয়েটিকে যদি আমি অনলাইনে কোনোভাবে ডিস্টার্ব করতাম তবে সে সেটার স্ক্রিনশট অবশ্যই দিতে পারতো। সে সেটা কেন দিলো না? ’ আসলে ওই ঘটনার পরে ওর সাথে আমার কোনো কথাই হয়নি। না ফেসবুকে না অন্য কোনো মাধ্যমে। ওই ঘটনাতে সে আমার নামে যেসব বাজে কথা বলেছিলো তারপরে আর তার সাথে কথা কোনো কথাই বলতাম না। তাকে কোনোভাবেই ডিস্টার্ব করার মতো মানসিকতা আমার কখনোই ছিল না। এই ছিলো পুরো ঘটনা। সে আমাকে ব্লক করে রেখেছিল। তার সাথে আমি আজকে পর্যন্তও ফেসবুকে বা অন্যকোনো মাধ্যমে কথাই বলিনি। এই ছিল আমার সাইডের বাস্তবতা এবং সত্যি বিষয়টি। আমি সবগুলো তথ্যই প্রমাণসহ তুলে ধরছি। বিশ্বাস করা না করাটা একান্তই আপনাদের ওপর। তবে আমি যা বলেছি একদম সজ্ঞানে সত্যি বলেছি। উপরন্তু বলে রাখা ভালো, এই ঘটনার কয়েক মাস পরে অবন্তীকার বাবা মারা যান। হতে পারে অবন্তীকা তার মনে ক্ষোভ বেঁধে রেখেছিল যে আমাদের কারণেই তার বাবা কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। হতে পারে এই ভাবনা থেকে অবন্তীকার মনে আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তীব্র প্রতিশোধ প্রবণ চেতনা থেকেই হয়ত আজকের এই ঘটনা ঘটে তার দ্বারা। আরো বলা উচিত দ্বীন ইসলাম স্যারের সঙ্গে আমার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সালাম বিনিময় যোগ্য সম্পর্ক ততটুকুই ছিল। এর বাইরে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না যে, স্যার আমার হয়ে অবন্তীকে কয়েকটা কটু বাক্যও বলতে পারে। স্যারকে আমি ডিফেন্ড করছি ব্যাপারটা এমন না, তবে স্যারকে ক্যাম্পাসের সবাই বেশ সহজ সহরল মানুষ হিসেবেই চেনেন। পাবলিক সেন্টিমেন্ট অনেক বড় বিষয়। তাই একপাক্ষিক চিন্তা না করে পুরো বিষয়টা চিন্তা করে একটা মতামতে উপনীত হওয়ার জন্য অনুরোধ করবো সকলকেই। অবন্তীকার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি আমি এবং সবসময় তা করবো ইনশাআল্লাহ। তবে সবাই আমার দিকটাও ভাববেন। ভাববেন আমি ওর সাথে কোনো যোগাযোগ না রেখেও অযথা একটা ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হচ্ছি। আমি আজ পর্যন্তও ওর সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি কোনো মাধ্যমেই। আমি নিজেই মাথায় সার্বিক পরিস্থিতির চাপ মাথায় নিয়েই পুরোটা লিখলাম। রায়হান সিদ্দিকী আম্মান, আইন বিভাগ, জবি।’  এ ছাড়া এ সংক্রান্ত জিডির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং কিছু ম্যাসেঞ্জার বার্তার স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৬

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা / অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি, সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। উপাচার্যের নির্দেশে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানেই গৃহীত হয় এসব সিদ্ধান্ত।  বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য, যেন দোষীরা শাস্তি পায়। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অবন্তিকার সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০

শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তী আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য দুই জনকে দায়ী করেছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফাইরুজ অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।’ অবন্তিকা আরও লিখেছেন, ‘আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে " খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে?’ ‘আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না।’ ‘আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’ ‘আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।’ জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা অবন্তিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগের বিষয়ে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী বলেন, ‌‘আমি দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি। কোনো জায়গাতেই আমি তার সঙ্গে কানেক্টেড না। আমার ওপর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

হিজাব-নিকাব পরায় হেনস্থা, অভিযুক্ত রাবি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এদিন দুপুরে বিভাগের একাডেমিক কমিটির এক সভায় ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি সভা করা হয়েছে। সভায় অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এর আগে মানববন্ধনে স্টপ সারকাজম অ্যাবাউট হিজাব, শিক্ষক যদি এমন হয়, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ! মাই হিজাব, মাই রাইট, ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি, মানছি না, মানব না’, শেখ হাসিনার বাংলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ঠাঁই নাই, হিজাব আমার অধিকার, হিজাব আমার অহংকারসহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ফাতেমাতুস সানিহা নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের কাজ হচ্ছে সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখা। অথচ সেই শিক্ষক (ড. হাফিজ) ক্লাসের প্রথম দিনেই একটা কাগজ দিয়ে বাতাস করায় আমাকে দাড় করান। তিনি বলেন, পা থেকে মাথা পর্যন্ত এভাবে প্যাকেটের মতো করে এসেছো কেন? তোমার গরম তোমার কাছে রাখো। তিনি আমার সম্মানিত পোশাককে প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সংবিধানেরও অবমাননা করেছেন। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার এবং প্রত্যেকের পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, তিনি শুধু আমাকেই এমন কথা বলেননি, আমার বান্ধবীদেরও বলেছেন। আমার এক বান্ধবীর নিকাবকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘হোয়াট ইজ দিস? এ রকম লম্বা এটা কি ঝুলিয়ে এসেছো?’ এভাবে তিনি আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে হেনস্তা করেছেন। আমি চাই না, আমাদের এই শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো বোন এভাবে হেনস্তার শিকার হোক। আমি চাই না, আর কোনো বোন বুলিংয়ের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ুক। ড. হাফিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের থেকে আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই আশা করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা বহির্বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. হাফিজুর রহমানের মতো কিছু শিক্ষক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি বলেন, স্পষ্টতই এখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ছাত্রীদের ফ্লার্টিং মেসেজ করেছেন। মেসেজগুলো খুবই অরুচিপূর্ণ। এক শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এ ধরনের মেসেজ মানানসই নয়। তিনি ক্লাসের মধ্যে ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করেছেন। এটা যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও। ড. হাফিজুর রহমানকে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।  একপর্যায়ে মানববন্ধনের স্থানে আসেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। এ সময় উপ-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা বিষয়টা অবগত আছি। একটা জরুরি মিটিং ডেকেছি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে। মিটিংয়ের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। প্রয়োজনে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ফেসবুকে ইসলামিক স্টাডিজ পরিবার (রাবি) নামে একটি গ্রুপে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে হিজাব-নিকাব পরে যাওয়ায় কটাক্ষ ও হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের সঙ্গে করা আপত্তিকর কিছু কথোপকথনের স্কিনশটও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপটিতে। এরপর বিকেলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

কারাগারে বসেই এবার ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত ইমরান
কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে দেশটির এক আদালতে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবিও।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত দৈনিক ডনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। গত বছরের আগস্ট থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন পাকিস্তানের ৭১ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই অস্বীকার করেছেন তিনি। ঘুষ গ্রহণের নতুন অভিযোগটি করা হয়েছে আল-কাদির ট্রাস্ট নিয়ে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি মিলে গঠন করেছিলেন এ ট্রাস্টটি। প্রসিকিউটরদের দাবি, ট্রাস্টের নামে ইসলামাবাদের অদূরে ৬০ একরের একটি দামী জমি হাতিয়ে নিয়েছেন ইমরান ও তার স্ত্রী। এ ছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হোসেনের কাছ থেকেও একটি জমি ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন ইমরান। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপরই তার বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। এর মধ্যেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগেও কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ইমরান খানকে। যার মধ্যে তিনটি মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। একইসঙ্গে আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকেও। নির্বাচনের আগে আগে কেড়ে নেওয়া হয় পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক। এত বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনে  সর্বোচ্চ আসন লাভ করেন ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পিটিআই দাবি করেছে, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ইমরানকে আরও মামলায় অভিযুক্ত করার অর্থ হলো— শাসকরা তাকে আরও বেশি সময় কারাগারের ভেতর আটকে রাখতে চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর শিট ছেঁড়া ইস্যুতে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক
দেশের অন্যতম সমালোচিত বিষয় সদ্য সমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ। এতদিন নিজেকে আড়াল করে রেখে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলাম। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর রুমে কী ঘটেছিল তা জানিয়েছেন ডা. নাফিসা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। ডা. নাফিসা বলেন, ওই দিন ওএমআর ফরম ছিঁড়ে ফেলা কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাই অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর চেহারা আমার মনে নেই। তবে তদন্ত কমিটির সঙ্গে আবারও সেই হল পরিদর্শনে গিয়ে নিশ্চিত হয় আমি হলের ওই প্রান্তেই যায়নি। ওই খাতায় আমার স্বাক্ষরও নেই। তিনি বলেন, ওই দিন খুব স্বাভাবিক পরিবেশেই ৮২৩ নম্বর রুমে পরীক্ষা হয়। ওএমআর ছেঁড়াতো দূরের কথা, কোনো অনাকাঙিক্ষত ঘটনাই ঘটেনি। এমন অভিযোগে আমি অনেক বিচলিত।   অভিযুক্ত পরিদর্শক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ১০টা বাজলে রুম আটকে দিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গণনা করা হয়। ওই দিন হল সুপার ১০৬ জন পরীক্ষার্থী গণনা করেন। অনুপস্থিত ছিল ২ জন। পরীক্ষা শেষে খাতা গণনা করে নেওয়া হয়েছে। কোনো ডিভাইস পাওয়া বা এরকম কিছু হলে হল সুপার এ বিষয়ে সাধারণত নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানান। কিন্তু সেদিন আমার রুমে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সুন্দর মতো পরীক্ষা নিয়ে আমরা বের হয়ে আসি। আমাকে যতটুকু দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, আমি সেটাই পালন করেছি। তিনি বলেন, ওই দিন একজন শিক্ষার্থীও ভুল করেননি, ফলে ওএমআর শিটও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। তার খাতায় আমার সাইন নেই; থাকারও কথা না। কারণ, ওই সাইডে অভিযোগকারীর রোলও পড়েনি। ডা. নাফিসা বলেন, নিজেকে আমি আড়াল করিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমাকে তারা যে নম্বরে ফোন করেছেন, পরিদর্শকের তালিকায় আমার যে নম্বর ছিল, সেটা টাইপিং মিসটেকজনিত ভুল ছিল। পরে এ বিষয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত হাসপাতালেও যাচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যে বিভাগে খোঁজা হয়, আমি সেই বিভাগে ছিলাম না। আমার প্লেসমেন্ট ছিল অন্য জায়গায়। আমার নামটা সরাসরি চলে আসায় আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার নামে কিছু ছড়াতে পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করি। এদিকে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ৪ সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আশ্বাস দেওয়া হয় সঠিক তদন্তের। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তারা জানিয়েছে এমন কোনো কোনো ঘটনাই ঘটেনি এই হলে। তাহলে হুমাইরার অভিযোগ কি একেবারেই মিথ্যা?
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়