• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পাহাড়ে রাতে র‌্যাব-পুলিশের অভিযান, ১০ অপহৃত উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ১০ জনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীদের ধরতে এখনও অভিযান চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাম্মদ ওসমান গনি। তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে টেকনাফ থানা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ৫০ জন পুলিশ একযোগে টেকনাফের জাহাজপুরা পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। তিনি আরও জানান, পুলিশের পাশাপাশি অভিযানে যোগ দেয় র‌্যাব সদস্যরাও। অভিযানের এক পর্যায়ে পুরো পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। তারপর রাতে সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃত ১০ জনকে পাহাড়ে ছেড়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এরপর অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়।তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর অপহরণকারীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান চলমান রয়েছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৩

টেকনাফে অপহৃত ৫ কৃষকের ৪ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে দুর্বৃত্তরা পুলিশের অভিযানের মুখে ছেড়ে দিয়েছে। অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পশ্চিমের গহিন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।   উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। জিম্মি থাকা মোহাম্মদ নুর (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।  গত বুধবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেতে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন অপহৃত ওই পাঁচজন কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত তাদের তুলে নিয়ে যায়।  অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি তাদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে কোণঠাসা হলে দুর্বৃত্তরা চারজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।  এ সময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল না। তারা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।  ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিম্মি রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে অচিরেই সুসংবাদ পাওয়ার আশা নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করছে। আমাদের ডিপ্লোমেটিক যে চেইনগুলো আছে, সেগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ উদ্ধার করার জন্য পৃথিবীর অনেকগুলো সংস্থা ও গ্রুপ কাজ করে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অচিরেই ফল আসবে বলে আশা করা যায়। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।    নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিম্মি জাহাজের নাবিকরা এখনো নিরাপদে আছেন। তাদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকটি মাধ্যমেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। যেহেতু জিম্মিকারীদের সঙ্গে ডিল করতে হবে, উদ্ধার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।  আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নাবিকরা অনেক অভিযান করে। সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহল রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করে। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন বিভিন্ন ধরনের আলোচনা আসে।  এর আগে, রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) প্রধান কার্যালয় ফেয়ারলি হাউজে ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

চাটখিলের অপহৃত সালেহ আহমদকে ফেরত চায় পরিবার
সোমালিয়ায় দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ এর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত ছিলেন। সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। তিনি পরিবারে চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।  বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারের সবাই। স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।  জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে ২ জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামে। তিনি আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। এদিকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন।   নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছেন। গত বছর জুলাই মাসে তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সর্বশেষ চার মাস আগে তিনি পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করেন। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬

নাইজেরিয়ায় স্কুল চলাকালীন ২৮৭ শিক্ষার্থী অপহৃত
নাইজেরিয়ায় দুটি স্কুল থেকে ৩১২ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। এর মধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে ২৫ জন। পালিয়ে আসাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরিগায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল দুটিতে অ্যাসেম্বলি চলছিল ওই সময়। খবর বিবিসির।    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাসেম্বলি চলার সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। অপহৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর। কুরিগা শহরটি নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এ রাজ্যের গভর্নর উবা সানি অপহরণের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৮৭ জন ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। পরে ওই শিক্ষকসহ ২৫ জন পালিয়ে আসেন। বাকি ২৮৭ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা ওই শিক্ষক বলেন, স্থানীয় লোকজন অপহৃত শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেননি। এ সময় এক ব্যক্তি নিহতও হন। নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকশো মানুষকে অপহরণ করেছে তারা। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে কুরিগাতে দস্যু বাহিনীর হামলায় একটি স্কুলের অধ্যক্ষ নিহত হন। সেইসঙ্গে তার স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

র‍্যাবের অভিযান / গাজীপুর থেকে অপহৃত শিক্ষার্থী মেঘালয়ে উদ্ধার
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেলকে প্রায় এক মাস আগে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের মেঘালয়ে। অবশেষে অপহৃত শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেলকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জান যায়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হিমেলকে অপহরণের পর পাশবিক কায়দায় নির্যাতন ও মুক্তিপণ চাওয়া হয়। অপহরণ চক্রের মূলহোতা মালেকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪

রাঙ্গামাটিতে অপহৃত ৩ আ.লীগ কর্মীকে উদ্ধার
রাঙ্গামাটির কাউখালীতে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় অপহরণের শিকার তিন আওয়ামী লীগের কর্মীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা সেনা অভিযানের মুখে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন বলে জানা গেছে। অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন চাখিয়াই মং মারমা (৩৫), বাদো মারমা (৩৩) ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (৩৫)। তারা উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। জানা যায়, অপহরণের পরপরই রাঙ্গামাটি সদর জোন ও কাউখালী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে বিশেষ তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করে। অব্যাহত সেনা অভিযানে অপহরণকারীরা অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে কাউখালী থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা নিজেরাই কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি বিকেলে কাউখালি উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম বড় আমছড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করা হয়।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬

পাকিস্তানে অপহৃত তাজের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান কর্মসূচি
করাচিতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া বেলুচ ব্যবসায়ী তাজ মুহাম্মদ সারপারাহের পরিবার লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে পাঁচ দিনের অবস্থান শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। বেলুচিস্তান পোস্টে এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। তাজ মুহাম্মদ সারপারাহের স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়স্বজন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বেলুচ রাজনৈতিক কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। এই বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। নিখোঁজ তাজ মুহাম্মদ সারপারাহের স্ত্রী এবং বেলুচ জাতীয় নেতা বাবা খায়ের বখশ মারির ভাগ্নি সালিয়া মারি বলেছেন, তিনি গত চার বছর ধরে পাকিস্তানে তার স্বামীকে অবৈধভাবে আটক এবং জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সহায়তার অভাব এবং তার স্বামীকে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বেলুচিস্তান পোস্টের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক সহায়তা পাননি তিনি এবং তার স্বামীকেও আদালতে হাজির করা হয়নি। মারি আরও বলেন, একজন বেলুচ নাগরিক হওয়ায় তাকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো জোর পূর্বক গুম করেছে। তাছাড়া তার মতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল বেলুচিস্তানে পাকিস্তানি সহিংসতা বন্ধ এবং বেলুচিস্তানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকারকে ভূমিকা রাখার দাবি জানানো। জানা গেছে, সারপারাহ বেলুচ পরিবার রাজনৈতিক কর্মী, অন্যান্য মানবাধিকার কর্মী এবং লন্ডনের মিডিয়াকে এই অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেলুচ গণহত্যা ও গুমের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের পর এই অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। তাদের আল্টিমেটাম দিয়ে বেলুচ ইয়াকজাহতি কমিটি-কেচ জোর দিয়ে বলেছে যে, এই সপ্তাহে রাষ্ট্রকে বেলুচ জনগণকে স্পষ্ট করতে হবে যে তারা বেলুচ গণহত্যার ইস্যুটি মোকাবেলায় কতটা আন্তরিক।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়