• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংসদ অধিবেশন বসবে ২ মে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে আগামী ২ মে।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন। এর আগে, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ৩০ জানুয়ারি। শেষ হয় ৫ মার্চ। ২২টি কার্যদিবসের এই অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়।  প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪২

প্রথম দিনের সংসদ অধিবেশন মুলতবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম দিনের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাবকে সমর্থন দেন। পরে কণ্ঠ ভোটে বিষয়টি সংসদে পাস হয়। এরপরেই সংসদে বিরতি ঘোষণা করা হয়। বিরতির সময় রাষ্ট্রপতির কাছে স্পিকার হিসেবে শপথ নেন শিরীন শরামিন চৌধুরী। পরে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে নির্বাচন করেন সংসদ সদস্যরা। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য শেষে প্রথম দিনের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের শাণিত চেতনা ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এদিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ১২ ব্যক্তি ও বিভিন্ন দুর্ঘটনার জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৬

সংসদের প্রথম অধিবেশন মিস করলেন সাকিব ও মাশরাফী 
চলমান বিপিএলের ম্যাচ খেলতে সিলেটে রয়েছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসান। তাই সংসদের প্রথম অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে পারেনি এই দুই সংসদ সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সাকিব ও মাশরাফী নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে শুরু হয়েছে  জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। এ সময় কুমিল্লার বিপক্ষে ২২ গজে লড়াই করছিলেন সাকিব। অন্যদিকে সন্ধ্যার ম্যাচে মাঠে নেমেছে মাশরাফী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ও রংপুর। এই ম্যাচে সাকিবকে মাঠে দেখা যায়। ব্যাট হাতে না নামলেও বল হাতে খরুচে ছিলেন সাকিব। ৪ ওভারে ৪১ রান খরচায় অবশ্য একটি উইকেটও পেয়েছেন। তবে ৮ রানের জয়ে মাঠ ছেড়েছে সাকিবের দল। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যায় টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় মাশরাফীর সিলেট। প্রতিটি ম্যাচেই সিলেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। অধিনায়কের দায়িত্বে থাকায় শেষ পর্যন্ত আর প্রথম অধিবেশনে যোগ দেওয়া হয়নি ম্যাশের।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯

দ্বাদশ সংসদকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না : জি এম কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। তিনি বলেন, এই সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে তা আশঙ্কার বিষয়। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এবার সংসদে শতকরা ৭৫ শতাংশই সরকারদলীয় সদস্য। আর স্বতন্ত্র ২১ শতাংশ। তারাও প্রায় সরকারদলীয়। ৩-৪ শতাংশ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য। তাই সংখ্যার বিচারে দ্বাদশ সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। এই সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি ও বিরোধীদল দুই পক্ষই সংখ্যায় কাছাকাছি থাকবে। তাহলে তাদের মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে, নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। এটাই ছিল সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য। যেহেতু সেটি হয়নি, তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না। এ সময় জি এম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। আগের কয়েকজন স্পিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা দলীয় আনুগত্যে স্পিকার হলেও বাহ্যিকভাবে চেষ্টা করতেন নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করার। আশা করছি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। বিরোধীদের মতামতকে সংসদে তোলার সুযোগ দেবেন। সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

ভবিষ্যতে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত দেড় দশকে অব্যাহত গণতন্ত্র থাকায় দেশ উন্নতি ও অগ্রগতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ভবিষ্যতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু। রাষ্ট্রপতি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ  নেওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে, উচ্চ-মূল্য ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান করতে হবে যাতে দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি সম্ভব হয়। আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে ১টি করে আসন। ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। আসনটিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর টানা চতুর্থ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি সংসদ নেতাও নির্বাচিত হন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দ্বাদশ সংসদের যাত্রা শুরু
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। এদিন বিকাল ৩টায় প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্টপ্রতির ভাষণের পর সংসদ অধিবেশন মূলতবি করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী।  সাংবিধানিক ধারবাহিকতা রক্ষায় গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটিসহ ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরোধীতার মুখে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ২৯৯টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ৬২জন। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পায় ১১টি আসন। এছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পায় একটি আসন। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করে। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে ১০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা স্পিকারের কাছে শপথ নেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ উপনেতা নির্বাচন করা হয় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে।  এছাড়া সংসদের প্রধান হুইপ হিসেবে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনকে এবং সরকারি দলের হুইপ হিসেবে ছয় জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। প্রথমবারের মত সংসদে হুইপ করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকটে দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মরতুজাকে।  অপরদিকে ১১টি আসন নিয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। বিরোধীদলের উপনেতা নির্বাচিত করা হয় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ নির্বাচন করা হয় জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে।   টানা চতুর্থবারের মত জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সংসদ দলের সভায় তাকে স্পিকার হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। একইভাবে একাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের শুরুতে একাদশ সংসদের বিদায়ি ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠের পর শুরুতেই স্পিকার নির্বাচন করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর সংসদ ২০ মিনিটের জন্য মুলতবী হয়। এরপর স্পিকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে নির্বাচিত করা হয়। তাকেও শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  স্পিকার ও ডেুপটি স্পিকার নির্বাচনের পর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরপর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর প্রথম দিনের অধিবেশন মূলতবী ঘোষণা করেন স্পিকার। যেভাবে আসন বিন্যাস হলো দ্বাদশ সংসদে এবারের সংসদে সরকারি দলের আসনের প্রথম সারির প্রথম আসনটি থাকছে যথারতি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার পাশের আসনটি সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এবং তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে। এছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনটি পেয়েছেন সরকারি দলের প্রধান হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে জি এম কাদের এবং বিরোধীদলীয় উপনেতার আসন আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেওয়া হয়েছে।  প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটিতে বসেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তার পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে। বিরোধীদলীয় নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে বসেছেন বিরোধী দলের প্রধান হুইপ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এছাড়া বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের পাশে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আসন দেওয়া হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নতুন সংসদের এমপিদের নিয়ে সরকার গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।   মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় শুরু হয়েছে প্রথম সংসদ অধিবেশন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। দ্বাদশ সংসদে নতুন এমপিদের প্রথম অধিবেশনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ী ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন। এই সংসদের ২২৩টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের কথা বলেছেন দলটির এমপিরা। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬ গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। সংসদ সচিবালয় জানায়, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে অধিবেশনের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।  এর আগে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথমদিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতোমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তার বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা শেখ হাসিনা এই সংসদে পঞ্চমবারের মতো সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।  জানা গেছে, সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী আসনবিন্যাস চূড়ান্ত করেছেন। আসন বিন্যাসে একাধিকবার নির্বাচিত, রাজনৈতিক দলে অবস্থান, ভোটের ব্যবধান, জনপ্রিয়তাসহ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বারবার নির্বাচিতদের তুলনামূলক সামনের দিকে আসন দেওয়া হলেও প্রথমবার নির্বাচিত হয়েও সামনের সারিতে আসন পেয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হওয়া ২৯৯টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে ১টি করে আসন। স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৩

দ্বাদশ সংসদের যাত্রা শুরু আজ
একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে সোমবার (২৯ জানুয়ারি)। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। আজ বিকাল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন। প্রথম অধিবেশনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে সংসদ সচিবালয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো রকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের মতো এবারও স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার পদে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করেছে দলটি। সংসদে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এবারও ভোটে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুই বিজয়ী হবেন। প্রথম অধিবেশনে নির্বাচিত করা হবে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। এরপর ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এরইমধ্যে সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বিরোধী দলীয় নেতা হয়েছেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। ইতোমধ্যে নতুন সংসদের সদস্যদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত এমপিদের সংসদের কার্যক্রম বিষয়ে দুই দিনব্যাপী ওরিয়েন্টশন দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। প্রথম অধিবেশন সংসদ থেকে সরাসরি দেখার জন্য বিদেশি কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রথম দিনের কার্যসূচিতে ৫টি কাজের কথা বলা আছে। এগুলো হলো- স্পিকার নির্বাচন, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন, শোকপ্রস্তাব ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরই প্রথম দিনের বৈঠক মুলতবি করা হবে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের এটাই হবে সংসদে প্রথম ভাষণ। মন্ত্রিসভার গত বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূলত মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ভাষণই রাষ্ট্রপতি সংসদে পাঠ করেন। প্রথম দিনের বৈঠক মুলতবির পর পরবর্তী দিনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হবে। এরপর থেকে ওই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ নেতা ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী দ্বাদশ সংসদের সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে সংসদে সরকারের বিরোধীতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত দলের নেতা হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জিএম কাদের) বিরোধী দলের নেতা ও দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলীয় উপনেতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একাদশ সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীকে দ্বাদশের চিফ হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), মো. নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ- ২), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩) এবং মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে (নড়াইল-২) হুইপ নিয়োগ দিয়েছেন। সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নিয়োগের আইনত কোনো বিধান না থাকলেও অতীতের রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি তার মহাসচিব মজিবুল হককে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও দলের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ মনোনীত করেছে। সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অধিবেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংসদের আসন বন্টন হয়েছে। আমরা নতুন এমপিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। দ্বাদশ সংসদ প্রাণবন্ত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সরকারের বিরোধীতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত দলের নেতা হিসেবেই গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ীই এটা করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কোনও দলের না হওয়ায় তারা সংখ্যায় বেশি হলেও তাদের মধ্য থেকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে কাউকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি দলের প্রথম সারিতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশের আসনটি সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে। এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারি দলের চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী বসবেন। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসন জিএম কাদের এবং বিরোধীদলীয় উপনেতার আসন আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তার পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে। বিরোধী দলীয় নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মজিবুল হক চুন্নু বসবেন। এছাড়া বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের আশপাশে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আসন দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সংসদ অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক আদেশে এসব নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। আদেশে সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনও প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে। যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে—ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত এবং পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত। মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল ও রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন নবম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭

জোটে অনাগ্রহ স্বতন্ত্রদের, জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দল
নির্বাচনে ভরাডুবির পরও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসন জাতীয় পার্টির দখলেই থাকছে। ইতোমধ্যে বিরোধী শিবিরের সামনের সারিতে প্রথম আসনটি দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জন্য বরাদ্দ রেখে সংসদের অধিবেশন কক্ষের আসন বিন্যাস করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা হচ্ছেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আর দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু হচ্ছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ।  সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে দু-তিন দিনের মধ্যে আসন বিন্যাস চূড়ান্ত করা হবে। ৩০ জানুয়ারি বসতে যাচ্ছে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন।  ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে সংসদে জায়গা করে নেন ৬২ জন। আর ২২৩টি আসনে জয়ী হয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।  বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোর ইতিহাস বলছে, সংসদে বিরোধী দলে বসে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলই। শুধু ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কোনো বিরোধীদলীয় নেতা ছিল না। তাই এবারের নির্বাচনের ফলাফলের পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত প্রশ্ন ছিল, প্রধান বিরোধী দল হবে কে; স্বতন্ত্ররা জোটবদ্ধ হয়ে বিরোধী দলে বসবেন, না কি কম সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও তৃতীয়বারের মতো জাতীয় পার্টিই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে; না কি আবার '৭৩ ও '৯৬ এর মতো  বিরোধী দলশূন্য থাকবে সংসদ?  কিন্তু সব প্রশ্নের অনেকটা সমাধান হয়ে গেলো স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোট গঠনে অনাগ্রহ প্রকাশে। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোট করে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাদের নেতা বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারেন। তবে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। আর তারা বিরোধী দলে বসতে কোনো আগ্রহ দেখাননি।  জোটবদ্ধ হলে আনুপাতিক হারে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ১০টি অবশ্য তারা পাবেন। এই বিতর্কের মধ্যেই ১৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করে। দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা এবং মহাসচিব মো. মজিবুল চুন্নুকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মনোনীত করার কথা জানানো হয়। এর ২ দিন পর বিষয়টি অবহিত করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেয় জাতীয় পার্টি।  অবশ্য গত সোমবারই জাতীয় পার্টির প্রধান বিরোধী দল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, 'জাতীয় পার্টি আবারও সংসদের প্রধান বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতারা সংসদে স্বতন্ত্র হিসাবেই থাকবেন।'  প্রসঙ্গত, ভারতের সংসদে প্রধান বিরোধী দল হতে হলে কোনো দলের অন্তত ১০ শতাংশ আসনে জিতে আসতে হয়। তবে, বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী বিরোধী দল বলে কোনো কিছু না থাকলেও বিরোধীদলীয় নেতার বিষয়টি রয়েছে। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। স্পিকার যাকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন, তিনি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের নেতা হবেন।  সোমবার রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ-সদস্য জিএম কাদের বলেছিলেন, দল হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়ায় জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দল। ঘোষণা দেওয়া হোক বা না হোক জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে, নিয়ম অনুযায়ী।  আর সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি অধিবেশনের আগেই এ বিষয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপরই কার্যপ্রণালি বিধির প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। সূত্র বলছে, ১১ আসন নিয়ে জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে আবারও।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৩

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৩০ জানুয়ারি শুরু হবে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।   রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন  এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ওইদিন বিকেল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ফলে এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন সংসদের অধিবেশন বসার সুযোগ নেই। তাই ৩০ জানুয়ারি থেকে অধিবেশন বসবে। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬২ জন এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্রদের মধ্যে জয়ী হওয়া ৫৯ জনই আওয়ামী লীগই নেতা। এরপর গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর বৃহস্পতিবার শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওইদিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়