• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি
জনপ্রশাসনে ১২৭ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। প্রায় এক বছর পর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।  সোমবার (২২ এপ্রিল) পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার নিয়মিত বিসিএস ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ১৮তম ব্যাচ ছাড়াও এবার আগেরবার পদোন্নতি না হওয়া একাধিক ব্যাচের কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত বছরের মে মাসে প্রশাসনের ১১৪ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর পর এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রক্রিয়া চলছিল। নিয়মানুযায়ী পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। এখন তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেবেন। তারপর পৃথক আদেশে তাদের পদায়ন করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে উপসচিব পর্যায়েও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পদে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। উপসচিব পদে সাধারণত প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৫

এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা : মাউশি
আগামী ৩০ জুন চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু।এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এই ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে শিক্ষা প্রশাসন। শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিলেই প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাউশির উপপরিচালক (কলেজ-২) হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ অধ্যক্ষদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাউশি। চিঠিতে আরও বলা হয়, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না' মর্মে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৮

শিশুখাদ্যে অতিরিক্ত চিনির বিষয়টি ব্যাখ্যা দিলো নেসলে
শিশুখাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত চিনি ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নেসলে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের Infant Cereal (ইনফ্যান্ট সিরিয়াল) পণ্যগুলো শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠার জন্য যেসব পুষ্টিকর উপাদানগুলো প্রয়োজন (যেমন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও অন্যান্য) তার যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করে। আমরা কখনই আমাদের পণ্যের পুষ্টির মানের সঙ্গে আপস করি না এবং করব না। আমরা ক্রমাগত আমাদের বিস্তৃত নেসলের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টারকে ব্যবহার করে শিশুদের পুষ্টিচাহিদা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য ব্যপক হারে কাজ করে যাচ্ছি। নেসলে বাংলাদেশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- কমপ্লায়েন্স এবং এটা নিয়ে নেসলে কখনই আপস করেনি এবং করবেও না।  ‘নেসলে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক CODEX (WHO এবং FAO দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি কমিশন) এবং বাংলাদেশের মান নিয়ন্ত্রক (যেমন বিএসটিআই)- এর নির্ধারিত প্রতিটি মান কঠোরভাবে মেনে চলে এবং বিশেষভাবে স্থানীয় চাহিদা অনুসারে (প্রয়োজনীয়) শর্করাসহ (চিনি) সমস্ত পুষ্টির প্রয়োজনীয় এবং সম্পর্কিত উপাদানসমূহ সংযুক্ত করে থাকে।’ বিজ্ঞপ্তিতে নেসলে আরও জানায়, শিশু খাদ্যে সংযুক্ত শর্করা (চিনি) হ্রাস করা নেসলে বাংলাদেশের একটি মূল লক্ষ্য। গত ৫ বছরে নেসলে বিভিন্ন প্রকারের পণ্যের সংযুক্ত শর্করা (চিনি) ৩০ শতাংশের অধিক হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা নিয়মিত আমাদের পণ্যের মান পর্যালোচনা করি এবং যুক্ত শর্করার (চিনি) মাত্রা আরও কমাতে আমাদের পণ্যগুলো উদ্ভাবন এবং সংস্কার করে থাকি। এই প্রক্রিয়ায় নেসলে কোনো প্রকার পুষ্টি, গুণমান, খাদ্যের নিরাপত্তা এবং স্বাদের সাথে আপস করে না। ‘নেসলে বাংলাদেশ সর্বদা সর্বোত্তম পুষ্টি সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা কন্স্যুমারদের জন্য আমাদের খাদ্যপণ্যগুলোর পুষ্টি, গুণমান এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’ এর আগে, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিক্রি করা নেসলের শিশুখাদ্যে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি ব্যবহার না করলেও বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বাড়তি চিনি যুক্ত করছে। যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। সবগুলো পণ্যতেই বাড়তি চিনি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

হিলিতে অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
দিনাজপুরের হিলিসহ সারাদেশই প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। ছোট-বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই দূষিত পানি ঢুকে যাচ্ছে পেটে, আর দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া। বিশেষ করে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।  হাকিমপুর (হিলি) হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন।  চিকিৎসা নিতে আসা মনোতোষ কুমার শাহ বলেন, আমার মায়ের হঠাৎ মাথাব্যথা ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে মা’কে নিয়ে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি এবং ডাইরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করালাম। ডাক্তার প্রথম অবস্থাতে স্যালাইন দিয়েছে। আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা আরজেনা বেগম বলেন, মেয়েকে নিয়ে গত দুদিন আগে দিনাজপুর বাবার বাসা থেকে হিলিতে শ্বশুরবাড়িতে আসছি। অতিরিক্ত গরমের কারণে মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখন পর্যন্ত তিনটি স্যালাইন দিয়েছে। আগের থেকে মেয়ে এখন সুস্থ।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, সারা দেশ প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে রয়েছে। ছোট থেকে বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। আর তাতে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে পানির মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই শিশু। ঈদের দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। কেউ কেউ হাসপাতালেই ভর্তি হচ্ছেন, আবার কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।  এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। তবে বুধবার এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস কোনো বার্তা দেয়নি। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলেই ব্যবস্থা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে (সকল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’ মর্মে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৯

পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য গ্রাহকরা আগামী তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করবেন। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় করতে বৃহস্পতিবার ‘ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ এবং ‘কে-ইলেক্ট্রিকের’ গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২.৭৪৯২ রুপি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে নেপ্রা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাসিক জ্বালানি চার্জ সামঞ্জস্যের কারণ হিসেবে ‘ডিসকোস’ পিটিশনে প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেটি কার্যকর হলে ‘ডিসকোসের’ ভোক্তাদের প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ দিতে হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক সমন্বয়ের জন্য প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি কেটে রাখা হবে। এর মানে এপ্রিল মাসে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য ডিস্কোর গ্রাহকদের কাঁধে প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ৭.৭৪ রুপির বোঝা পড়বে এবং মে ও জুন মাসে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি গুনতে হবে। একইভাবে কে-ইলেক্ট্রিকের গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয়ে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৫ রুপি দিতে হবে। কিউটিএ’র প্রভাবে ডিসকোস ও কেই এর গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৮৫.২ বিলিয়ন রুপি গুনতে হবে। ফেব্রুয়ারির এফসি’র জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত আরো ৪০ বিলিয়ন রুপি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

যানজট না থাকলেও পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ভোগে যাত্রীরা
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রায় আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় কয়েকগুণ বেশি দেখা যায়। যদিও এবার ঈদযাত্রায় এখনও যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও বাড়তি ভাড়া আদায়, ইচ্ছামতো টিকিটের দাম হাঁকাসহ অতিরিক্ত গরমের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কপথের যাত্রীদের। যাত্রীরা বলছেন, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাসে অর্ধেক যাত্রায়ও সংশ্লিষ্ট রুটের শেষ গন্তব্যের টিকিটের মূল্য পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে। রয়েছে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন কাউন্টারের সেলসম্যান ও স্থানীয় কিছু দালালচক্র সিন্ডিকেট করে টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন রুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। তবুও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে চিটাগাংরোড পরিবহন কাউন্টার মালিকদের সংগঠন।  নারায়ণগঞ্জের কালিবাজার, সাইনবোর্ড, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর ও গাউছিয়া এলাকার বিভিন্ন জেলার বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাসে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যাত্রীদের ভাষ্য, বিশৃঙ্খল পরিবেশে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা একপ্রকার জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষকে পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়াবৃদ্ধি ও সময়মত বাস আসা নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। শিমরাইল মোড়ে একুশে পরিবহনের বাস যাত্রী শায়েলা হক বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় যাত্রীদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও নোয়াখালীর একুশে পরিবহনে যে টিকিট ৪০০-৫০০ টাকা ছিল; সে টিকিট এখন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য পরিবহনেরও একই অবস্থা। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে শিমরাইল মোড়ে একুশে কাউন্টারের এক টিকিট বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটা গাড়ি যখন ঢাকার বাইরে যায়, সেই গাড়ি তিনজন যাত্রী হলে ঢাকায় ফিরে। তখন আমাদের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই ব্যয় পূরণ করতে কিছু সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। এর বেশি কিছু আর বলতে পারব না। শিমরাইল মোড়ে পরিবহনের কাউন্টার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর আজিজ বলেন, হ্যাঁ আসলে ঈদ আসলে একশ্রেণি দালাল চক্র ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে হুটহাট করে টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে। বেশির ভাগ কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা জড়িত এ সকল অপকর্মের সঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মহাসড়কে যাতে যাত্রী পরিবহনে কোনোপ্রকার বিড়ম্বনা ও জোর জবরদস্তি করা যাবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টিম আমাদের রয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

শেষ মুহূর্তে ট্রেনে অতিরিক্ত চাপ, ছাদে চড়েই ঢাকা ছাড়ছেন অনেক যাত্রী
ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তে ট্রেনগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। স্টেশনে রাত থেকেই অপেক্ষা করতে গেছে ঘরমুখো মানুষদের। ট্রেনের ভেতরে চড়তে না পেরে অসংখ্য মানুষ ছাদে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করছেন। যেকোনো মূল্যেই তাদের বাড়িতে যেতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। বাড়ির উদ্দেশে তাই নারী, পুরুষ, শিশুসহ ছাদে উঠেই ঘরমুখো যাত্রীরা ঢাকা ছাড়ছেন।  অতিরিক্তি যাত্রীর কারণে টিকিট কাটার পরও অনেকে নিজ সিটে বসতে পারেননি। ট্রেনের ভেতরে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ট্রেনের ছাদে চড়া এক যাত্রী বলেন, বাড়ি তো যেতে হবে। টিকিট নেই। দেশের জনগণের তুলনায় ট্রেনের সক্ষমতা খুবই কম। বাসে গেলে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সেজন্য ঝুঁকি জেনেও ট্রেনের ছাদে করেই গ্রামে যেতে হচ্ছে। আরেকজন যাত্রী জানান, তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। টিকিট না পাওয়ায় এবং ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তিনি ছাদে চড়ে রওনা দিয়েছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ, অতিরিক্ত নিরাপত্তা
ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। টার্মিনাল ও মহাসড়কে বেড়েছে ভিড়। ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ট্রেন এলেই দ্রুত উঠে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। তবে কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠাচ্ছেন পুলিশ ও স্কাউটসের কর্মীরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামাল দিতে ট্রেন না বাড়ালে কোচ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।   সকাল ৬টা থেকে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ২০টি ট্রেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) আন্তঃনগর ৪২, লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন ও ২টি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা অঞ্চলের তিন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ দু-একটি ট্রেন কিছু সময়ের জন্য দেরি হচ্ছে কিন্তু কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২০টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তিনি বলেন, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। এবার ঈদে যাত্রীচাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

দেশে ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা
সিসার সংস্পর্শে আসার ফলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তার অবনতি ঘটছে। বাংলাদেশে ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ মিলিয়ন আইকিউ পয়েন্ট। বুধবার (৩ এপ্রিল) এসডো এবং ইউনিসেফ-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের সিসা বিষক্রিয়া মোকাবিলা শীর্ষক ইন্সেপশন ওয়ার্কশপে কিছু গবেষণার বরাত দিয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শিশু স্বাস্থ্যের ওপর সিসা বিষক্রিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব এবং সমস্যাটির সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ওয়ার্কশপে এ বিষয়ে একটি থিমাটিক প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, সিসা দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে শিশুরা এই সিসা বিষক্রিয়া দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এটি তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, শারীরিক বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ দূষণ মোকাবিলায় দেশে নানান প্রচেষ্টা চলমান থাকা সত্ত্বেও, শিল্প কারখানা থেকে নিঃসৃত দূষিত পানি এবং সীসাযুক্ত রং দ্বারা শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে।  পরিসংখ্যান বলছে, এর কারণে বাংলাদেশ আনুমানিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে যা কি না ২০১৯ সালের দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৩.৫ শতাংশের সমান। অতএব, সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়