• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল ১২ ফলের দোকান
বগুড়ার সাতমাথায় অগ্নিকাণ্ডে ১২টি ফলের দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। খবর পেয়ে বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকার বিআরটিসি মার্কেট সংলগ্ন ফল মার্কেটে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। ফল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের সাতমাথা এলাকার সপ্তপদী মার্কেটের পশ্চিমে ১২টি ফলের দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই বিভিন্ন ধরনের ফল মজুত ছিল। রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন দোকানগুলো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না আসলে আগুনের সূত্রপাত হলো কীভাবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও এই মুহূর্তে নিরুপণ করা যায়নি। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অভিনেত্রীর বিলাসবহুল বাড়ি
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে কারও দোকান পুড়ে যাচ্ছে তো কারও বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এবার আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বৃটিশ মডেল-অভিনেত্রী কারা ডেলেভিনের বিলাসবহুল বাড়ি।  গত ১৪ মার্চ সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত কারা ডেলেভিনের  বিলাসবহুল বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।  যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণমাধ্যমে জানায়, বাড়িটির পেছনে প্রচন্ড আগুনের শিখা দেখতে পান ফায়ারকর্মীরা। দুতলা বাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯৪ জন কর্মী ২ ঘণ্টা কাজ করেন। কিন্তু ততক্ষণে কারা ডেলেভিনের বাড়ির ছাদের পুরো অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেসময় যুক্তরাজ্যে ছিলেন এই অভিনেত্রী।    ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কারা ডেলেভিন লেখেন, ‘আজ আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমি এটি বিশ্বাস করি না। চোখের পলকে মানুষের জীবন বদলে যায়।’      স্টুডিও সিটিতে অবস্থিত কারা ডেলেভিনের বিলাসবহুল এই বাড়িটি। ২০১৯ সালে বাড়িটি কেনেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পেজ সিক্স জানায়, বাড়িটির মূল্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  প্রসঙ্গত, মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও দক্ষ কারা ডেলেভিন। আলোচিত সুপারহিরো সিনেমা ‘সুইসাইড স্কোয়াড’ অভিনয় করেছেন তিনি। প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক লুক বেসোঁর সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে।  সূত্র : সিএনএন    
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১

পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ১২ দোকান পুড়ে ছাই
বরগুনার পাথরঘাটায় হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে ১২টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যগুদাম রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হোসাইন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।   স্থানীয়রা জানান, ভোর রাতে সেহরি খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে সকালে কয়েকজন দেখতে পান ইদ্রিস এর দোকানে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ১২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান জানান, আগুন লেগে অনেকগুলো ঘর পুড়ে গেছে। আমরা তালিকার কাজ শুরু করেছি। তালিকা শেষে সরকারী অনুদান ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়ার ব্যবস্থা করবো। ইতোমধ্যে এমপি মহোদয় তার ব্যক্তিগত পক্ষথেকে সহায়তা করেছেন।  এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস-পাথরঘাটা স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আগুনের খবর পাওয়ার সাথেই আমাদের টিম আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ছুটে এসেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি, ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে।  সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা জানান, ঘটনা শোনার পরেই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো দেখে এসেছি। আমার পক্ষ থেকে সকলকেই সহায়তা করেছি এবং সরকারী ভাবেও সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:২৪

যেভাবে অগ্নিকাণ্ডে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন
আগুন এ যেন এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যেকোনো অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যতটা মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ধোঁয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে। আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের অবহেলা জনিত কারণে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে। তাই অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে এখন সবার আগে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের সচেতনতা।  চলুন জেনে নিই আগুন লাগলে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে- কোথাও আগুন লাগলে প্রথমেই সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে যেতে চেষ্টা করুন। আগুন লাগা ভবনে ইমারজেন্সি ডোর থাকলে সেটা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামুন। ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না। আতঙ্কিত হওয়া চলবে না :  আগুন লাগলে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে গেলে হার্টবিট বেড়ে যায়। যা থেকে হার্টফেল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য দিকে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার ফলে আগুন থেকে বর্জিত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আমাদের নিশ্বাসে অতিরিক্ত মাত্রায় মিশে যায়। যা থেকে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধোঁয়া থেকে দূরে যেতে হবে :  আগুনের ধোঁয়ার ভেতরে আটকা পড়লে মুখ না ঢেকে বের হতে যাবেন না। আবার হেঁটেও বের হবেন না। ধোঁয়ার ভেতর থেকে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে কিংবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে। তা না হলে ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাস চোখে-মুখে গিয়ে বিপদ বাড়াতে পারে। আগুনের ধোঁয়া থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস বিষাক্ত তাই যতটা সম্ভব ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এটি চোখে মুখে গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। ভেজা কাপড়ে মুখ ঢাকতে হবে : আগুনে আটকা পড়লে শুধু নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন। মুখ দিয়ে শ্বাস নেবেন না। এ সময় কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। প্রয়োজনে তোয়ালে দাঁত ও ঠোঁট দিয়ে চেপে রাখুন। এটি আপনাকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। জানালা খুলে দিন :  ধোঁয়া দেখা গেলে জানালা ভেঙ্গে দেবেন না। যদি দেখেন জানালার দিকে আগুন বা ধোঁয়া নেই তাহলে তা খুলে তাজা বাতাস নেয়ার চেষ্টা করুন শ্বাস নেওয়ার জন্য। কাপড়ে আগুন লেগে গেলে করণীয়: এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার মেঝেতে সারা শরীর গড়াগড়ি করতে থাকুন যতক্ষণ না আগুন নিভে যায়। এরকম করলে আগুন দ্রুত নিভে যাবে। গড়াগড়ি খাওয়ার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেবেন যেন আগুনের আভা মুখে এসে না লাগে। আগুন লাগলে লাফালাফি করবেন না। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। রুমের দরজা বন্ধ রাখতে হবে :  আগুনের ধোঁয়া রুমে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না সেজন্য রুমের দরজা বন্ধ করে দিন। দরজার নিচে ও উপরে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে দরজার ফাঁকা অংশ বন্ধ করে দিন।   হামাগুড়ি দিতে হবে :  বের হওয়ার কোনো পথ পেলে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুন। এতে মেঝের সতেজ বাতাস আপনাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। দরজা খোলার আগে হাত দিয়ে তা ধরে দেখুন। গরম লাগলে খুলবেন না। বুঝবেন দরজার ওপাশে আগুন আছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ভোলার চার জন
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অন্তত চার জনের বাড়ি ভোলা জেলায় বলে জানা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চার তরুণের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। বেইলি রোডে নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হলেন জুনায়েদ। তিনি ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএভিএস সড়কের বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি 'ল' কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শোকে পাথর হয়ে গেছে জুনায়েদের পরিবারও। স্বজন হারিয়ে দিশেহারা তারা। জুনায়েদের বাড়ি ভোলা হলেও তারা পরিবারসহ ঢাকায় থাকতেন। তবে তার মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে বিষাদে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস।   নিহতদের আরেকজন নয়ন। ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চর কুমুরিয়া গ্রামে দিনমজুর সিরাজ উদ্দিনের ছেলে তিনি। দুর্ঘটনা কবলিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করতেন তিনি। নিহত নয়নের পরিবারের সদস্যরা জানান, পাঁচ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা গিয়েছিলেন। তিন দিন আগে চাকরি পান তিনি। ভাগ্যের নির্মমতায় এই কর্মস্থলেই তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। নয়নের মা নাজমা বেগম জানান, ছেলে ফোনে জানিয়েছি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার তো আর ফেরা হলো না। তার চাচি জুয়েনা আক্তার বলেন, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কাজের জন্য ঢাকা গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে অভাবের কারণে আর পড়া হয়নি নয়নের। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করেছিল। তার মর্মান্তিক এমন মৃত্যুতে শোকে স্তব্দ পুরো পরিবার। বেইলি রোডের আগুনে ভোলার আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন দোলা ও মাহী। তাদের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গুপ্তগঞ্জ বাজারে। তবে তারা ২০ বছর আগে ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ঢাকার গাজীপুরে তারা বসবাস করে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। যে কোনও প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর ৪ জনের মৃত্যু, মা ও দুই ছেলের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক মা ও তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে।   শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা কন্ট্রাক্টর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা ও দুই ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  নিহতরা হলেন, একই বাড়ির ছায়েক আহমেদ আশিকের স্ত্রী নাফিসা আক্তার (২৮) ও তার দুই শিশু ছেলে আরহান (৭), আদিয়াত (৩)। অপরদিকে, সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের মঈশা গ্রামের আশিক (৩০) নামে এক যুবকও একই অগ্নিকাণ্ডে মারা যায়।   জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। ওই সময় নাফিসা আক্তার তার বড় ছেলে আরহানের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দুই ছেলেকে নিয়ে কাচ্চি ভাইতে খেতে যায়। একই সময়ে তার স্বামীও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত তার স্বামী ভাগ্যক্রমে সেখানে না যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান। ওই অগ্নিকাণ্ডে মা তার দুই ছেলে শ্বাসকষ্টে মারা যায়।     নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল বারী আলমগীর জানান, একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর জানাজা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।   বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে বান্ধবীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী নাদিয়া
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের তালিকায় আছে অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়ার বান্ধবী। সামাজিকমাধ্যমে নাদিয়া নিজেই জানিয়েছেন এ খবর। নিজের ফেসবুকে নাদিয়া লিখেছেন, বেইলি রোডের আগুনে আমার বান্ধবী দোলা ও তার বোন ইন্তেকাল করেছে। বান্ধবীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি প্রকাশ করে নাদিয়া অন্য এক পোস্টে লিখেছেন, এ বছর আর চাঁদ রাতে আমাদের দেখা হবে নারে দোলা। এ ছবিটা যেখানে তুলেছিলাম আমরা বেইলি রোডে। কাল রাতে সেখানেই নিষ্ঠুর আগুনের গ্রাসে তোকে হারাতে হলো আমাদের। আরও লেখেন, তোর হাসিমাখা সহজ-সরল মুখটা বোন আজীবন আমাদের কাঁদাবে। অনেক ঘুমাতে ভালোবাসতি আজকেও দেখলাম নিষ্পাপ শিশুর মতো ঘুমাচ্ছিস। আল্লাহ্ তোদের পরিবারকে দুই বোনের এই মৃত্যু শোক সহ্য করার ধৈর্য শক্তি দিক। তোদের জান্নাতবাসী করুন। আমাদের ক্ষমা করে দিস তোদের বাঁচাতে পারলাম না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে একসঙ্গে প্রাণ গেল ৭ বান্ধবীর
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪১ লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ৩৮ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  নিহতদের মধ্যে ৭ জন বান্ধবীও আছেন বলে জানা গেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ছাত্রী। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ নিতে এসে বিলাপ করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বিলাপ করছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই এই ৭ জন বান্ধবীর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।    
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:১২

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫) মারা গেছেন। নিহতের ভাগনে তারেক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আতাউর রহমান রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভবনটিতে কফি খেতে গিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে সময় অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসরোধ হয়ে ওনার মৃত্যু হয়। অ্যাডভোকেট শামীম ও নূরুল আলম বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে একসঙ্গে ওই ভবেন কফি খেতে যান। ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করলেও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে কিছু না দেখতে পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে থাকেন। এ সময় ভিড়ের মাঝে আতাউর রহমান শামীম নিখোঁজ হয়ে গেলেও তার সঙ্গে থাকা নূরুল আলম হেলিপ্যাডের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যান। পরে অ্যাডভোকেট শামীমের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা এবং বাদ মাগরিব ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুরে পারিবারিক কবরস্থান মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু 
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একজন শিক্ষার্থীও আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সন্ধ্যাকালীন কোর্সে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের পর নিহতদের লাশ ও দগ্ধদের নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। এ সময় নুরুল ইসলামের মানিব্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া যায়।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সকালে খবর পেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি। যেহেতু সে আমাদের রেগুলার শিক্ষার্থী না, তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ কিছুটা কম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা যথাসাধ্য নিহতের পরিবারের পাশে থাকবো।   বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়