• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বগুড়ায় তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বগুড়ার শিবগঞ্জে তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মোকামতলা ইউনিয়নের মাটিরঘর এলাকায় উত্তরা ট্রেডার্সে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আগুন লাগা দোকানটির ব্যবস্থাপক এনামুল হক জানান, বিকালে মেঘনা গ্রুপের একটি ট্যাংক লরি থেকে তেল নামানোর সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে ট্যাংক লরিটি ভস্মীভূত হয়। এরপর দোকানে থাকা অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। এ সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে বসত বাড়িতে। এতে বসত বাড়ির কয়েকটি ঘর, ৫টি গরু, কয়েকশ ব্যারেল তেল আগুনে পুড়ে গেছে। বিস্ফোরিত হয় অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার শামছুল আলম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে শিবগঞ্জ, সোনাতলা, গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়া সদর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করেছে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ করা হচ্ছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৮

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ
যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চকবাজার এলাকায় মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরু হলে দ্বিতীয় রাকাতে সময় হঠাৎ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ইমামের রুমে থাকা এসি বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদে কাল ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়। পরে মুসল্লিরা নামাজ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। এতে কোনো মুসল্লি হতাহত হয়নি। তবে সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, খবর পেয়ে তাদের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে মসজিদের মুসল্লিদের মাধ্যমে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে মূল কারণ জানা যাবে।   
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড : ‘কমিশনার ভবনটি’ ভরা ছিল কেমিক্যালে
রাজধানীর চকবাজারে ইসলামবাগ এলাকায় অবস্থিত কমিশনার বিল্ডিংয়ের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয়েছে। এ জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিটের সময় লেগেছে ৭ ঘণ্টারও বেশি। ভবনটি জুড়ে কেমিক্যালের স্তূপ থাকায় আগুন নেভানোর কাজটি বেশ কষ্টসাধ্য ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ ফয়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে আশপাশে অসংখ্য লাগোয়া ভবন ও বাড়ি ছিল। যদি এই আগুন ছড়িয়ে পড়তো তাহলে ভয়াবহ একটি অবস্থা তৈরি হতো। এখানে দুটি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার রয়েছে। একটিও যদি বিস্ফোরণ হতো তাহলে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হতো। তবে, এই মুহূর্তে আর ঝুঁকি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। এই মুহূর্তে আর কোনো ঝুঁকি নেই। ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এটি একটি কেমিক্যাল এবং প্লাস্টিক রিসাইকেল প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন প্লাস্টিক কণা ও কেমিক্যাল দ্রব্যাদি স্তূপ করা ছিল। যার কারণে আমাদের এখানে প্রবেশ করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে ভেতরের আগুন কমিয়ে ধোঁয়া বের করেছি। পরে ভেতরে প্রবেশ করেছি। আগুন যেন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে আমাদের শুরু থেকেই নজর ছিল। আমরা সফল হয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গেছি। কোনো হতাহতের খবর আমরা পাইনি। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। তবে এখানকার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই অপরিকল্পিতভাবে স্টক আকারে কেমিক্যাল এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এরপর আবার আমাদের পানি এবং রাস্তার সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এদিকে আগুন নেভানোর পরও থেমে থেমে ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া ও পানি বের হতে দেখা গেছে। এছাড়া প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের পুরো এলাকায়।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৪

বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা মনে আছে তো? থাকারই কথা। যে ঘটনা পুড়িয়ে মেরেছে প্রায় ৪৬টি তাজা প্রাণ, তা কি ভোলা যায়! ২৯ ফেব্রুয়ারির সেই ভয়াবহ ঘটনা এবার উঠতে চলেছে টেলিভিশনের পর্দায়। অর্থাৎ, ঘটনাটি নিয়ে নাটক নির্মিত হয়েছে। নাম ‘একটি খোলা চিঠি’। ঈদের জন্য নাটকটি রচনা ও নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা রেজানুর রহমান। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। তাকে সাংবাদিক চরিত্রে দেখা হবে। তবে সেটা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিক অভিশ্রতি শাস্ত্রীর চরিত্র কি না সেটি নিশ্চিত করেননি তিনি। ভাবনা গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। নাটকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে ওই্ অগ্নিকাণ্ডে তো অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন। তাদের বেদনাই তুলে ধরা হয়েছে। এরইমধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক রেজানুর রহমান। নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ছোট্ট একটি পরিবার। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের প্রধান ব্যক্তি একজন স্কুল শিক্ষক। নীতিবান মানুষ। তার বড় মেয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধি। ঢাকায় বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষের অসহায় মৃত্যু স্কুল শিক্ষক আলাল উদ্দিনকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। তার মতে এটি অগ্নিকাণ্ড নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। এমনই এক অস্থির মুহূর্তে এলাকার চেয়ারম্যান আলাল মাস্টারকে তলব করেন। চেয়ারম্যান একজন সংবাদকর্মীকে খুন করেছেন। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আলাল মাস্টার। বেইলি রোডের ঘটনায় আলাল মাস্টার মামলা করবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজে যে খুন করেছেন সেই মামলার সাক্ষী না হতে আলাল মাস্টারকে হুমকি দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আলাল মাস্টার অনঢ়। সত্যের পক্ষেই থাকবেন তিনি। চেয়ারম্যান এবার আলাল মাস্টারের মেয়ে সংবাদকর্মী গুলনাহারকে অপহরণ করেন। এভাবেই এগিয়ে যাবে নাটকটির গল্প। ভাবনা ছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রওনক বিশাখা শ্যামলী, ফারুক হোসেন, মিন্টু সরদার, সুকর্ন হাসান, মনি কানচনসহ বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী। নাটকটি ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিট একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৫

সেই সাংবাদিকের মরদেহ নিয়ে যা জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। কুষ্টিয়ার মুসলিম ঘরে জন্ম নেওয়া ওই সাংবাদিকের নাম ছিল বৃষ্টি খাতুন কিন্তু ঢাকায় এসে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে সাংবাদিকতা করতেন। নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। ফলে তার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।  এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। সেখান থেকে বাছাই করে একটি উত্তর তুলে ধরা হলো। মাসুম আহমেদ নামে একজন প্রশ্ন করেছেন, নিহত নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন মুসলিম ঘরের সন্তান ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিতেন, মন্দিরে পুজা করতো। তার মরদেহ দাফন নাকি সৎকার হওয়া উচিত? উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই, কেউ যদি মন্দিরে যায়, পুজা করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে থাকে, নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়, তাহলে তাকে মুসলিম গণ্য করার কোনো সুযোগ নেই। বাবা-মার খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হলো, সন্তান-সন্ততি যখন ছোট বেলা থেকে পর্যাপ্ত দ্বীনি শিক্ষা না পায় এবং পরিবার থেকে দ্বীনের চর্চার ঘাটতি থাকে, তখন নানাভাবে তারা বিপথগামিতার পথে চলে যান। সে দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো মানুষ যদি এমন কোনো কাজ করে, যার ফলে সে ইসলাম থেকে খারিজ (বাহির) হয়ে যায়, যেমন সে শিরকে লিপ্ত হলো প্রকাশ্যে তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না।’ তিনি বলেন, ‘আর এ অবস্থায় যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে তাকে মুসলমানদের কবরে দাফন নয় বরং হিন্দুদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সৎকার করবে। তবে মেয়েটির বাবা-মার সঙ্গে মন্দিরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গদের যে বিতর্ক হয়েছে, সেখানে মা-বাবার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা খুব দুঃখজনক। এখানে অনেক মা-বাবার জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে যে, ছেলে মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষার নামে তাদেরকে যেখানে সেখানে পাঠাচ্ছেন। দ্বীন ধ্বংস করছেন। সে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে এভাবে মারা যাবে তাদের মা-বাবা কেউ চিন্তা করেনি। এখানে সমাজের একটি বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমাদের সন্তানদের দ্বীনদারিতার ক্ষেত্রে যদি আমরা গাফলতি করি, তাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমাদের অজান্তে আমাদের সন্তান নষ্ট হয়ে গেলে, এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা আছে। অতএব, শিক্ষার নামে তাদেরকে দিয়ে দিলাম আর তারা যা খুশি করলো, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’  
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের জন্য দায়ী সরকারি ৭ সংস্থা
ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের জন্য অনুমোদন প্রদানকারী ৭টি সংস্থাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। আর এ ধরনের ঘটনায় অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ভবন মালিকদের ‘অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের’ আসামি করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিদুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ উল্লেখসহ এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা)। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। প্রবন্ধে বলা হয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশে নগরায়ণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-১১ অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাত–সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার কথা বলেছে। কিন্তু এখনো আমরা একটি নিরাপদ এবং অভিঘাত–সহনশীল নগরী গড়ে তুলতে পারিনি। নগরে সংঘটিত অগ্নিদুর্যোগ আজ বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে গত ৯ বছরে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৬৭টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ হাজার ৫১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৬ জন। ঢাকাসহ সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হচ্ছে অনুমোদনহীন অবৈধ ভবন, অবৈধ ভূমি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকির অভাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি রেস্তোরাঁ স্থাপনে ১০টি সংস্থার প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন। এগুলো হলো- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেস্তোরাঁ লাইসেন্স, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের লাইসেন্স নিবন্ধন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দোকান লাইসেন্স, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ই-ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ার লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত ছাড়পত্র। বক্তারা বলেন, এসব ছাড়পত্র যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তদারকি ছাড়াই প্রদান করা অথবা ছাড়পত্রহীনভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিরুদ্বেগ থাকার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় এবং তদারকির অভাবে ক্রমাগত ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো অর্থাৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা (ওয়াসা, তিতাস, ডিপিডিসি/ডেসা), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সর্বোপরি ভবনমালিক দায়ী। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিহীনতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বক্তারা। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় গত পাঁচ বছরে হওয়া অন্তত ৯টি বড় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে ‘দায়মুক্তি’ নেওয়ার চেষ্টা করছে। হাতে গোনা দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনো নজির নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজন যেসব সতর্কতা
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আকালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। আগুন সর্বগ্রাসী। তাই আগুন প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা আর সতর্কতা। আগুন থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককে যে যার জায়গা থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সেটা হোক বাসা, অফিস কিংবা যে কোনো স্থান। আগুন যাতে না লাগে সেজন্য সবার প্রথমে আমাদের এ বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত। আর যদি আগুন লেগেই যায় তা হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন  করতে হবে। সবার আগে আগুন লাগলে দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মানতে হবে। যেমন- রান্নার পর সম্পূর্ণভাবে চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে চুলা। চুলা জ্বালানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে জানালা দরজা খুলে দিতে হবে রান্নাঘরের। চুলা জ্বালানোর আগে কোনো লিকেজ আছে কিনা আগে পরীক্ষা করতে হবে। খোলা আগুন দিয়ে অনেকে পরীক্ষা করেন, এটা করবেন না। সাবানের ফেনা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ভেজা জামাকাপড় চুলার ওপর শুকাতে দেওয়া যাবে না। বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাস লাইন কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করতে হবে। এসি চালুর আগে পরীক্ষা করতে হবে ঠিক আছে কিনা, দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর অবশ্যই সার্ভিসিং করিয়ে নিতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই তার মেয়াদ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি তিন বছর পরপর সিলিন্ডারের হাইড্রোলিক প্রেসার টেস্ট করা হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হবে।  ভারী যন্ত্র চালাতে নির্দিষ্ট সকেট ও প্লাগ ব্যবহার করুন এবং অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এছাড়া অভিজ্ঞ লোক দিয়ে বাসার কিংবা অফিসের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : তদন্তে দুটি কমিটি গঠন
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ঢাকার নিউ বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজউকের সদস্যকে (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) আহ্বায়ক করে এই কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।   কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন), প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রধান নগর স্থপতি, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১), পরিচালক (জোন-৬) এবং অথরাইজড অফিসার (জোন-৬/১)। এই কমিটি ভবনটির নকশা ও এর অনুমোদন প্রক্রিয়া পরীক্ষা করে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তা শনাক্ত করবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে। অনুমোদিত নকশা এবং চিহ্নিত ভবনের মধ্যে কোনো বিচ্যুতি আছে কি না তা সরেজমিনে পরীক্ষা করে দেখবে। কমিটি প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে অথবা কোনো কর্মকর্তা/ পেশাজীবীকে সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করতে পারবে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টরকে রাখা হয়েছে। 
০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১১

বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ড : আটক ৩
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আটকরা হলেন-চায়ের চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন। পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা খাবার চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‌ভবন মালিক থেকে শুরু করে আগুনের ঘটনায় যাদের দায় পাওয়া যাবে সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয় জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় ডিএমপি ও সিআইডি ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছে। গতকালের ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সবধরনের সহযোগিতা করা হয়। এ ভবনে এতগুলো গ্যাস সিলিন্ডার কোথা থেকে এলো এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো এসব অনেক ধরনের প্রশ্ন সামনে আসে। সেসব প্রশ্নের জবাব ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে আপনারা (সাংবাদিকরা) জেনেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত ও মামলা রুজুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যাদের এ ধরনের ব্যবসা কিংবা রেস্টুরেন্ট রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. মহিদ উদ্দিন বলেন, শুধু ব্যবসার কথা চিন্তা করবেন না। জীবনের নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করবেন। বাইরের দেশগুলোতে দেখেছেন জরুরি বের হওয়ার জন্য আলাদা সিঁড়ি রয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড : ৪০ মরদেহ হস্তান্তর, ডিএনএ টেস্ট হবে ৩ জনের
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৫টায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসনের পিআইও আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ৬ জনের মরদেহ রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৩ জনের মরদেহ দাবি করা স্বজনরা ঢাকায় আসছেন। তাদের যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুজনকে দেখতে গেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন সবকিছু নিশ্চিত করা হবে। এদিকে আগুন লাগা ভবনটির কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।
০১ মার্চ ২০২৪, ২১:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়