বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে পাঠালো বিশ্বের সর্বাধুনিক রকেট
‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটকে মহাকাশে নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্সের সব থেকে আধুনিক মডেলের শক্তিশালী রকেট। রকেটটি ফ্যালকন ৯ এর নতুন মিনটেড ব্লক-৫ সংস্করণ। বঙ্গবন্ধু-১কে আকাশে নেয়ার মাধ্যমে সফলভাবে নিজের সক্ষমতার জানান দিয়েছে রকেটটি। খবর এএফপি।
বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে গত শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে দেশের ইতিহাসের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপিত হয়।
এএফপির এক প্রতিবেদনে এই রকেটিকে স্পেসএক্সের বানানো এখন পর্যন্ত সব থেকে শক্তিশালী রকেট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নাসার বিজ্ঞানীদের মহাকাশে যাওয়ার জন্য নির্মিত হয়েছে বিশেষ ধরনের এই রকেট যা ফ্যালকন ৯ এর ব্লক-৫ নামে পরিচিত।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আজ ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা
-------------------------------------------------------
স্পেসএক্সের মহাকাশযান সিরিজের নাম ড্রাগন এবং রকেট সিরিজের নাম ফ্যালকন। ফ্যালকন সিরিজের সর্বশেষ প্রযুক্তির ভার্সন-৫ এর রকেট ফ্যালকন-৯। ফ্যালকন ৯ যানের নতুন এই মিনটেড ব্লক-৫ সংস্করণে এর আগের সংস্করণ (ব্লক-৪) থেকে নিরাপত্তা ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য শতাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সফলভাবে পরীক্ষিত হলো এই রকেটটি।
শুক্রবার উড্ডয়নের কিছু সময় পর রকেটটির প্রধান স্টেজ বুস্টার প্রশান্ত মহাসাগরের ভাসমানযানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসে অবতরণ করে। রকেটের সবচেয়ে দামি অংশ বুস্টার, রকেটকে মহাকাশ অভিমুখে পাঠিয়ে দেয়ার পর এর সাহায্যে রকেট আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে। স্পেসএক্সেরই আবিষ্কার এই প্রযুক্তি।
এর আগে গত ৪ মে ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এ রকেটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও ফ্লোরিডার প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে কয়েক দফা পেছানো হয়েছিলো।
সর্বশেষ ১০ মে (বৃহস্পতিবার) উৎক্ষেপণের মাত্র ৪২ সেকেন্ড আগে স্থগিত করা হয় উৎক্ষেপণ। এরপর শুক্রবার (১১ মে) দিনগত রাত বাংলাদেশ সময় ২টা ১৪ মিনিটে বিশ্বের সকল বাংলাদেশিকে উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে মহাকাশে উড়ে ‘বঙ্গবন্ধু-১’।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ডের। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে তরঙ্গ (ফ্রিকোয়েন্সি) বরাদ্দ সরবরাহ পাওয়া যাবে। এ হিসেবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হবে ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ।
আরও পড়ুন :
পি
মন্তব্য করুন