• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরমে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের কর্মসূচি জামায়াতের
‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে আমি যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট বীর বিক্রম ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। শনিবার (২০ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অলি আহমদ বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। আমি একজন বীর বিক্রম তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনাদের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‌‘খালেদা জিয়ার মতো এতো গুনে গুণান্বিত একজন নারী এবং সর্বজনীন গণতন্ত্রের রূপকার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিনা দোষে কারাগারে রেখে যে অন্যায় করতেছেন, একদিন আল্লাহর কাছে কী জবাব দিবেন?’ অনুষ্ঠানে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, এড. কে কিউ স্যাকলায়েন, সাবেক ডিসি হামিদুর রহমান খান, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক এড. আবুল হাসেম, প্রচার সম্পাদক, এড. নিলু, ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মাদ্রাজি, আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এড. নূরে আলম, কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিম এবং সাংস্কৃতিক দলের মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
‘রোজার পর সরকারের পতন আন্দোলন জোরদার করতে হবে’
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব চাইল ইসি
যে প্রস্তাব ছিল সাকিবের, জানালেন মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান।  নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।   যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি সেটি। জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘটেছে এ ঘটনা। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। ঘটনা প্রসঙ্গে মেজর হাফিজের দাবি, এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাব নিয়ে সেদিন তার বাসায় গিয়েছিলেন সাকিব, তবে তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।  এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকব। এটা থেকেই সাকিব এসেছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখাইনি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এইসব পুরোনো জিনিসে কী আছে? মন চাইলে নিউজ করেন, না চাইলে না করেন। এদিকে বিএনএম সূত্র জানিয়েছে, দলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বনানীর বাসায় সাকিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ দলের চেয়ারম্যান এবং সাকিব আল হাসান কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। তারা পরে সুবিধাজনক সময়ে যোগ দেবেন এই আশ্বাস দেওয়ায় দলটির কমিটি গঠনের সময় ওই দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে থেকেই হাফিজ উদ্দিন দলটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ না মেলায় দুজনের কেউই নতুন দলে যোগদান করেননি। তারা বিএনএমে যোগ না দেওয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।  
লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আর এই লড়াইয়ে জনগণ বিজয়ী হবেই বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে, সরকার চাইলে আমরা নাম দেবো। বিএনপির কারা কারা আছে যদি পারেন তাহলে আপনারা (সরকার) নাম দেন। এ সময় দেশের অতিদরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে অন্তত এক হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবিও জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ সিন্ডিকেটকারীরা সরকারের ভিতরে আছে এবং তারা সংসদ দখল করে নিয়েছে। কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
দল থেকে বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদেই ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৮ নেতা। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ভোট করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও লড়ছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এটিই তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচন না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নানাভাবে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। এজন্য দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নেতাদের সব অনুরোধ উপেক্ষা করে অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পদধারী নেতা। ১১ জন দল থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত কিংবা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক নেতা। এ ছাড়া বাকি ৯ জন বিএনপি নেতাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা এলাকায় বিএনপির লোক হিসেবে পরিচিত। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা জানান, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অনেকের পূর্বপুরুষ কিংবা পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘকাল নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা নির্বাচন করছেন। তারা আরও জানান, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক কারণে আপাতত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ধারাবাহিকভাবে বর্জন করতে থাকলে তৃণমূলে দলীয় নেতাদের প্রভাব কমে যাবে। এতে ব্যক্তির পাশাপাশি দলও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় সবার জন্যই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তারা। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির আহ্বায়ক রমিজ উদ্দীন (লন্ডনি) বলেন, আমি জেনে-বুঝেই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। রাজনীতি করতে করতে বুড়ো হয়ে গেছি। আমার এমপি হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনে না গেলে তৃণমূল নেতাকর্মীকে কীভাবে ধরে রাখব? চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে তো নেতাকর্মীরা কিছুটা সুবিধা ও স্বস্তি পাবেন। তাদের স্বার্থেই নির্বাচন করছি। আমি জয়ী হলে তাদের জন্য হবে বিরাট সান্ত্বনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস বলেন, এলাকার জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিজয়ী হয়ে তাদের আশা পূরণ করব। তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে নেতাকর্মীরা দলছাড়া হয়ে পড়ে। আশা করি, দল পরিস্থিতি বুঝে আমাদের বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শেই স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা দলের বিষয়। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনের কথা বুঝতে পারছে না। এজন্য তাদের নির্দেশ মানছেন না বেশিরভাগ নেতা। এটি বুঝতে ভুল করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব  অচিরেই টের পাবে রাজনীতিতে কতটা সংকুচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও তারা নির্বাচন করছেন।
‘ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জনতা বসে থাকবে না’
ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। রোববার (১৭ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। চরমোনাই পীর বলেন, কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগ আছে, সেখানে আরবি চর্চা হলে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। ইসলাম চর্চা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশি মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রমজানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে মজুদদারি করে, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।  রেজাউল করীম বলেন, যারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে।  
‘আমদানি করা পণ্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি’
আমদানি করা পণ্য কয়েকজন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, তাদের হাত থেকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।  ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে সব কিছুতেই হরিলুট লেগেছে। যেখানে হাত দেবেন, হাত পুড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন দুর্বিষহ অবস্থা। সাধারণ মানুষের আহাজাড়িতে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ সরকার। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানি ও সুনির্দিষ্ট দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান দিতে হবে।  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চলমান একদলীয় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া এসব লুটেরাদের পরাস্ত করা যাবে না। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দরকার।  এ সময় দেশের পাচার করা টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ আদায়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ইউনুছ আহমাদ।
মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়। হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব। বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের মতো বাংলাদেশকে দখল করেছে আ.লীগ’
সোমালিয়ান জলদস্যুদের মতো আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। শুক্রবার (১৫ মার্চ) আমার বাংলাদেশ পার্টি, এবি পার্টি আয়োজিত এক গণইফতারে তিনি এ কথা বলেন। সাইফুল হক বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশের একটি জাহাজ দখল করে নাবিকদের জিম্মি করেছে। আওয়ামী লীগও তাদের মতো বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছে, এরা হচ্ছে দখলদার সরকার। তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট চলছে। সরকারি কর্মকর্তারাও দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত। এই সরকার এখন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দায় চাপাচ্ছে। এ সময় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ অধিকারহারা। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। আপনারা সচেতন হলে, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে বুঝতে পারলে কেউ আপনাদের অধিকার হরণ করতে পারবে না। গণইফতারে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।