• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভোটের হাওয়া: রাজশাহী-২

এগিয়ে মহাজোট, খালেদার মুক্তির অপেক্ষায় বিএনপি

আমির ফয়সাল, রাজশাহী

  ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৮

পদ্মার কোল ঘেঁষে অবস্থিত নগরীর ১২টি থানা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ সংসদীয় আসন। এ আসনে ক্ষমতাসীন মহাজোটের এমপি থাকায় নির্বাচন সামনে রেখে খুব বেশি তৎপরতা নেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। আর মাঠে থাকা বিএনপি নেতারা বলছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনরায় মেনে নেবেন তারা। তবে আগামী নির্বাচনে উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছেন জাতীয় পার্টি।

এ আসনটি বিভাগীয় শহর ও মেট্রোপলিটন সিটি হওয়ার সুবাদে সরকারি, আধা-সরকারিসহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে এ আসনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এ আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। জোটগতভাবে নির্বাচন হওয়ায় রাজশাহী-২ আসনে পরপর দুইবার জয়ী বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

এবারও উন্নয়ন কার্যক্রম সামনে রেখে পুরনো অবস্থান ধরে রাখতে চান ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী বিজয়ের ব্যাপারে। চূড়ান্তভাবে মতামত ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ দেবেন।

তিনি বলেন, আমি রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। রাজশাহীর ৯৯ ভাগ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছি। এ শহরের উন্নয়নের জন্য আমার ভূমিকা রয়েছে। রাজশাহী হলো রেশম নগরী কিন্তু বিএনপি-জামাতের আমলে চলমান রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে এ কারখানাটি পরীক্ষামূলকভাবে ফের চালু হয়েছে।

তিনি আরও বলন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কাজ চলমান রয়েছে। বিএনপি আমলে বন্ধ করা বিমানবন্দর আবারও চালু করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এ বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আমি আশাবাদী জোটগতভাবে এ আসনে আমিই মনোনয়ন পাবো।

এদিকে সদ্য নির্বাচিত মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, কেন্দ্র দলের ভেতর থেকে নাম চাইলে আমরা দলীয় গণতান্ত্রিক নিয়ম মাফিক নাম পাঠাবো। তবে দল বা ১৪ দলের যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন দলের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবাই মিলে বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবো।

অন্যদিকে এরশাদের আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারাও।

রাজশাহী মহানগর জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম জানান, জনসমর্থন হারিয়েছেন সদর আসনের বর্তমান এমপি। এরশাদের সময় রাজশাহী মূল উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে এবার দল ও জনসমর্থন নিয়ে বিজয়ের আশা জানান জাতীয় পার্টি এ স্থানীয় নেতা।

তিনি জানান, বিমানবন্দরের কথা সবাই বলে কিন্তু এ বিমান বন্দরটি রাজশাহীবাসীর জন্য এরশাদের উপহার। সেসময় রাস্তা-ঘাট বিদ্যুতায়নসহ আধুনিক রাজশাহী গড়ে ছিলেন এরশাদ। তাই পার্টির প্রধান যাকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন দেবেন আমরা সবাই তার জন্য কাজ করবো।

এদিকে, শোনা যাচ্ছে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এবারও মনোনয়ন পেতে পারেন সাবেক এমপি, মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

মিনু বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তাকে নিয়েই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে অতীতের মতো বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। আমার সে সময়কালে আমি রাজশাহীর যে উন্নয়ন করেছি তা ছিল রাজশাহী জনগণের কাছে দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, আমার কর্মের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করেছি। আমি আশা করছি মনোনয়ন পেলে এখানে ধানের শীষের বিজয় হবে।

তবে যে রাজশাহী ও রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন, দলমত নির্বিশেষে এমন প্রার্থীকেই প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান স্থানীয়রা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
X
Fresh