• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জয়পুরহাট-১

আওয়ামী লীগ চায় ধরে রাখতে, বিএনপি চায় পুনরুদ্ধার

মো. রাশেদুজ্জামান, জয়পুরহাট

  ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩১

আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ৩৪ নম্বর আসন জয়পুরহাট-১। বর্তমানে জয়পুরহাট-১ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ৯৮ হ্জার পাঁচশ ৩৬। সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এরইমধ্যে উঠান বৈঠক, গ্রামে গ্রামে মসজিদে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মোটরসাইকেল শোডাউনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন।

এদিকে বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছা দিলেও কোনও পোস্টার বা বিলবোর্ড টাঙাতে এখন পর্যন্ত কোথাও দেখা যায়নি। এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করা। সেক্ষেত্রে গণসংযোগে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আর জাতীয়পার্টি গত নির্বাচনে মহাজোটের পক্ষ থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেলেও তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে। এবারও মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার আশায় মাঠে গণসংযোগ করছেন তাদের একক প্রার্থী। জামায়াতের একক প্রার্থী বিভিন্ন জানাজা, দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান ও ঈদের শুভেচ্ছার পোস্টারের মাধ্যমে নিজের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী বিভিন্ন মসজিদ, পাড়া-মহল্লায় গিয়ে তার মনোনয়নের কথা বলছেন।

দশম জাতীয় সংসদ ও ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচন বাদ দিলে জয়পুরহাট-১ আসন বিএনপি প্রার্থীদের দখলেই ছিল। সে কারণে এ আসনটিকে বিএনপির ঘাঁটি বলা চলে। বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করায় এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় আগামী নির্বাচনে তারা জিতবে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বরাবরই এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা আসনটি পুনরুদ্ধার করব।