• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিক্ষার্থীরা জনগণের টাকায় পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থে নয়: ছাত্র ইউনিয়ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

  ১৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪২

সংসদে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ টাকা সিটভাড়া আর ৩৮ টাকায় খাবার নিয়ে বক্তব্যকে বিদ্বেষমূলক, তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও দাম্ভিকতায় ভরা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে সংগঠনটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা জনগণের টাকায় পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত টাকায় নয়।

শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন সংগঠনটির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতৃবৃন্দ।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সরকার চাইলে কোটা সংস্কার সম্ভব: মওদুদ
--------------------------------------------------------

বৃহস্পতিবার দশম সংসদের একুশতম অধিবেশনে সমাপনী আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ টাকা সিটভাড়া আর ৩৮ টাকায় খাবার। কোথায় আছে পৃথিবীর? নতুন নতুন হল বানিয়েছি। ১৫ টাকা সিটভাড়া আর ৩০ টাকায় খাবার খেয়ে তারা লাফালাফি করে। তাহলে সিটভাড়া আর খাবারে বাজারদর যা রয়েছে, সেগুলো দিতে হবে তাদের। সেটা তারা দিক।


এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজীর আমিন চৌধুরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের যে বরাদ্দ, সেটা সরকারি কোষাগারে জনগণের দেয়া করের টাকা, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থ নয়। সারা পৃথিবীতেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো হলেও দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের দেশের দায়িত্বশীলরা একে ভর্তুকি হিসেবে দেখাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। সাম্প্রতিক বক্তব্যটা এসেছে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী বিভাগের প্রধান কর্তাব্যক্তি শেখ হাসিনার কাছ থেকে। মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় অতীতের বিভিন্ন স্বৈরশাসকদের। আইয়ূব খান থেকে শুরু করে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সময়ে শিক্ষার্থী বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত বাংলার শিক্ষার্থীরা সহ্য করেনি। শেখ হাসিনা সরকারও সেই স্বৈরশাসকদের পদাংক অনুসরণ করছে, একই সুরে কথা বলছে; জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষণ তাই প্রমাণ করে।

প্রধানমন্ত্রীর এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতীতের পতিত শাসকদের শেষ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি এই ধরনের গণ-বিরোধী বক্তব্য দেয়া থেকে সরে না আসেন, তবে ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষার্থীরা যাদের প্রতিনিধিত্ব করে, শিক্ষার্থীরা যাদের সন্তান; সেই কৃষক, শ্রমিক তথা দেশের আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এইরূপ বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে বলেও হুশিয়ারী দেন নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন :

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকায় কাতারের আমির, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আজ
‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’
জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
X
Fresh