• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশের নয় জেলা বন্যা কবলিত: ত্রাণমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩০

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন- সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টিতে দেশের নয়টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মৌলভীবাজার ও নীলফামারী ছাড়া বাকি ৭ জেলা হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলীর (এসওডি) হালনাগাদকৃত খসড়া এবং বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বন্যা কবলিত নয়টি জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। এই জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র করেছিলাম, সেখানে কিন্তু বেশি লোক আশ্রয় নেয়নি। একমাত্র মৌলভীবাজারেই তিন থেকে পাঁচদিন পানি ছিল। সেখানে আমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ দুইদিন অবস্থান করে বন্যার পানি ও মানুষের কষ্ট সব দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও ৩৫টি জেলায় ৭৫ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট আমরা ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ জেলাগুলোতে শুকনো খাবার এজন্য দিয়েছি যে এ জায়গায় পানি হতে পারে। এজন্য আগাম শুকনো খাবার রেখেছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, গত ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় এক কোটি ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে ৫ হাজার টন জিআর চাল দেয়া হয়েছে। বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে তা মেরামত ও তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে ৫০ হাজার বান্ডিল টিন ও ১৫ কোটি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে যেখানে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করা যায়।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এক হাজার টন চাল ও ২ কোটি টাকা নগদ রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রয়োজন মনে করলে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় ১৫০-২০০ টন চাল মজুদ রয়েছে এবং ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতে রয়েছে। বন্যার সময় ও বন্যার পরবর্তী সময়ে যাতে মানুষের কষ্ট না হয়।

আগামীতে বড় ধরনের বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

পাহাড় ধ্বসের কারণে প্রাণহানি কেন রোধ করা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওখানকার লোকজন বাড়ি থেকে সরতে চায় না। দুর্যোগের সময় জেলা প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বলে। অনেক সময় জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে এনে রাখাও হয়। এরপরও অনেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পালিয়ে চলে যায়। এখন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আমরা তাদের পুনর্বাসন করছি। আশা করি এ কষ্ট বেশি দিন থাকবে না।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে ৪ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন করতে মানা
প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ইসি আলমগীর
X
Fresh