প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা : রিজভী
খুলনায় অর্ধেকেরও কম ভোটার কেন্দ্রে যেতে পারেনি। কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেননি হাজারো মানুষ। অথচ খুলনা সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবী করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার এ বক্তব্য খুলনার ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে তাদের তিনি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার গণভবনে খুলনার নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা শুভেচ্ছা জানাতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন খুলনা সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। এতো সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? তারপরও যারা এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তাদের আমি এই জবাব দিতে চাই না। বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যে খেলা, সীল মারা, ভোটের বাক্স চুরি করাসহ যত অপকর্ম হয়েছে তা শুরু করে গেছেন জিয়াউর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে জবাব দিতে সোমবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
--------------------------------------------------------
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনও হবে খুলনা মডেলে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রমাণ করলেন তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা হবে বিরোধী দলগুলোর জন্য আত্মঘাতী।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনে পছন্দের লোকজন ঢুকিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন। ফলে খুলনাতে ইসিকে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না- প্রধানমন্ত্রীর এর বক্তব্য সঠিক নয়। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রভাবিত করতে টঙ্গিতে স্থানীয় এমপির বাসায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এমপি-মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে।’
ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরীসহ মন্ত্রী এমপিরা। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে নির্যাতনের জন্য আবারো রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন