• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঞ্জু

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৩ মে ২০১৮, ১৩:১৬

পুলিশের অতি উৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনকে ত্বরান্বিত করেছে। ওরা ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে।

বললেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

রোববার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সরকার কেসিসির ভবিষ্যৎ নগর পিতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে। কেসিসি নির্বাচন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতোমধ্যেই তারা ফেল করেছে।

মঞ্জু বলেন, সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। জনগণ ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনাও ছিল। নগরবাসীরও স্বপ্ন ছিল ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার।

কিন্তু ইতোমধ্যেই নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, টুটপাড়া, লবণচরা ও বানিয়াখামারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চরমপন্থি-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা এসব এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ধরে রাখা, ভোটের আগের রাতে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের ওপর আরও কঠিন আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা মহানায়কের ভূমিকা পালন করছে। সরকার বিএনপিকে বাইরে রেখে এক দলীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ: মোরশেদ আলম
--------------------------------------------------------

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে এখনই সব ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করুন।

একইসঙ্গে তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অবস্থান করে অতদ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনি নিজেও শঙ্কামুক্ত নন। সাতদিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। শনিবার রাতেও হাজার হাজার কর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। নতুন করে আরও ১১ জনসহ দু’ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজেন্ট এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতাদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতে গোটা নগরীতে আতঙ্ক ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নগরবাসী সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারপরও নগরবাসী ধানের শীষে ভোট দিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের সাড়ে নয় বছরের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

মঞ্জু বলেন, ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ বাড়িতে পাঠিয়ে নেতাকর্মীদের পরিবারের নারী সদস্যদের ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এজন্য সরকার, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কেউ দায় এড়াতে পারবে না।

আরও পড়ুন :

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
X
Fresh