খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না: রিজভী
৭৩ বছর বয়স্ক বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা কি তা আমরা জানি না। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তার মুক্তি নিয়ে যে টালবাহানা শুরু করেছেন তা বন্ধ করুন। খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন এদেশে হবে না। এটাই শেষ কথা।
বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান খালেদা জিয়ার ওপর সর্বোচ্চ জুলুম করছে সরকার। কারাগারে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করছে। তার জামিন অধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে তিলে তিলে কষ্ট দিচ্ছে সরকার।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের দুদক তলবে সরকারে হস্তক্ষেপ নেই: কাদের
--------------------------------------------------------
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন, সরকার প্রধানের নির্দেশে সে জামিন স্থগিত করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জেলখানায় তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এ স্বৈরাচার সরকার।
রিজভী বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারি ঘোষণা চাপাবাজি। রাজকোষ কেলেঙ্কারিসহ সমস্ত ব্যাংক লুট করে ফোকলা করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেনেও তার প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিদেশি রেমিট্যান্সে ধস নেমেছে। দুঃশাসনের কবলে পড়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করছে এমনকি রপ্তানি আয় কমছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে উন্নয়নের নামে দেশজুড়ে হরিলুট চলছে।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি বিরাট দুর্নীতি ও চুরির মহাবিদ্যালয় স্বীকৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের শিক্ষা দেয়া হয়। চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা তা একমাত্র আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে। আর এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা জালিয়াতির নথির মাধ্যমে বানোয়াট মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে। কিন্তু এতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
গ্লোবাল কম্পোজিটিভ ইনডেক্সের তথ্য জানিয়ে রিজভী বলেন, এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে এশিয়ার মধ্যে নেপালের পরেই সবচেয়ে খারাপ সড়ক ব্যবস্থা বাংলাদেশে। তারপরও তারা জিডিপির প্রবৃদ্ধির নামে চাপাবাজি করছে।
আরও পড়ুন:
এমসি/পি
মন্তব্য করুন