রিজভী মানসিক বিকারগ্রস্ত, পরীক্ষা দরকার : হাছান মাহমুদ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একজন বিকারগ্রস্ত ও ভারসাম্যহীন মানুষ। রিজভী দীর্ঘদিন পরিবার ছেড়ে পার্টি অফিসে থাকায় তার মানসিক সুস্থতা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা পরীক্ষা করার দরকার। বললেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ বিএনপি বলছে, বাংলাদেশ অন্ধকার টানেল। তাদের এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই নয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: খালেদা মুক্তি পেলে অরাজকতা সৃষ্টি করবে: হাছান মাহমুদ
--------------------------------------------------------
বিএনপি নেতাদের এসব বক্তব্যকে অশোভন দাবি করে রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, অশোভন বক্তব্য না রেখে অবশ্যই শোভনভাবে সমালোচনা করবেন। দয়া করে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশোভন সমালোচনা করবেন না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ওবায়দুল কাদের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের আশাবাদের কথা বলেছেন। এটাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।
গেল ১৬ মার্চ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উন্নয়ন-অর্জন করে আমাদের কর্ম দিয়ে আমরা ভয়কে জয় করে ফেলেছি। নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলীয় সাধারণ সম্পাদক দলের মুখপাত্র হিসেবেই দলীয় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সম্প্রতি তিনি (ওবায়দুল কাদের) দেশের বিগত নয় বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্যকে বিকৃত করে নানা ধরণের কথা বলছেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা চাই না, আগামী নির্বাচনে বিএনপির মুখে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যে বক্তব্য তা তাদের গলায় ফুটুক। তাই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তো চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে। এমনকি তারা তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনেও সমাবেশ করেছে। সেখানে তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টাও করেছে। আর সমাবেশের অনুমতি দেয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। নিশ্চয় কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এসময় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুননাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন