• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বরগুনা-২: বাড়ছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

ফেরদৌস খান ইমন

  ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৫:২৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বরগুনা-২ আসনের রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ততই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান সংসদ সদস্য জনগণের কাছে তুলে ধরছেন তার সময়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড। আর অন্যরা মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হলে কি কি উন্নয়ন করবেন তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।

স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী এই তিন উপজেলা নিয়ে এই আসনটি ঘটিত। যে কারণে এই আসানের রাজনৈতিক হিসেব অনেকটা জটিল।

আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও অনেক দিন ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের আধিপত্য এখন একচেটিয়া।

এই আসনে বর্তমানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত আসানুর রহমান রিমন, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বামনা উপজেলার সুভাষ চন্দ্র হালদার ও পৌর মেয়র শাহাদাৎ হোসেন।

এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুর রহমান রিমন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। সেইসঙ্গে সমুদ্র জলদস্যু মুক্ত করায় জেলেরা শান্তিতে মাছ ধরতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি শান্তিপূর্ণ রাজনীতি পছন্দ করি। আমাদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু প্রতিহিংসা নেই।

নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারজানা সবুর রুমকি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার কোনো ভাই নেই। আমরা তিনটা বোন। বাবা মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে বাবার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাজনীতিতে নামি। আমার বাবা একজন সৎ সংসদ সদস্য ছিলেন। আশা করি এই আসন থেকে মনোনয়ন পাব এবং নির্বাচিত হয়ে উপকূলীয় মানুষের জন্য উন্নয়নে কাজ করতে পারব।

বরগুনা পৌর মেয়র শাহাদাৎ হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই বামনা, বেতাগী ও পাথরঘাটার মানুষদের সহযোগিতা করে আসছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

সুভাষ চন্দ্র হালদার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, মানুষকে সাহায্য করার মতো সামর্থ্য আমার আছে। দলের স্বার্থে নিজ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারব।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হন গোলাম সবুর টুলু। কিন্তু হারানো আসনটি পুনরুদ্ধারে মাঠে নেমেছে বিএনপি। হামলা-মামলা ও জেল জুলুমকে উপেক্ষা করে তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য নরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট লিয়ন।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. ফারুক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমারা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি বিএনপি নির্বাচন গেলে তিনি মনোনয়ন পাবেন।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এর আগেও আমি বিএনপি থেকে নির্বাচন করেছি। আবার মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো এবং আমি জয় লাভ করবো।

নরুল ইসলাম এলাকায় এলাকায় বেশি না এলেও তার সমর্থকরা মনে করেন তিনি ঢাকায় বসে লবিং করছেন। তিনিই মনোনয়ন পাবেন।

১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম সরোয়ার হিরু। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিরুও নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাঁদপুরে তিন উপজেলার ২৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৪ 
গৌরীপুরে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
সেনবাগে সাইফুল আলম দিপুসহ চেয়ারম্যান পদে ১০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
দ্বিতীয় ধাপে ২০৫৫ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
X
Fresh