• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সাকিব ও আমাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ করা হচ্ছে : মেজর হাফিজ
যে প্রস্তাব ছিল সাকিবের, জানালেন মেজর হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান।  নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।   যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি সেটি। জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘটেছে এ ঘটনা। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। ঘটনা প্রসঙ্গে মেজর হাফিজের দাবি, এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাব নিয়ে সেদিন তার বাসায় গিয়েছিলেন সাকিব, তবে তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।  এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকব। এটা থেকেই সাকিব এসেছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখাইনি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এইসব পুরোনো জিনিসে কী আছে? মন চাইলে নিউজ করেন, না চাইলে না করেন। এদিকে বিএনএম সূত্র জানিয়েছে, দলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বনানীর বাসায় সাকিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ দলের চেয়ারম্যান এবং সাকিব আল হাসান কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। তারা পরে সুবিধাজনক সময়ে যোগ দেবেন এই আশ্বাস দেওয়ায় দলটির কমিটি গঠনের সময় ওই দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে থেকেই হাফিজ উদ্দিন দলটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ না মেলায় দুজনের কেউই নতুন দলে যোগদান করেননি। তারা বিএনএমে যোগ না দেওয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।  
অবশেষে সাকিব ইস্যুতে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে রদবদল
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
‘ফুলের মালা কখনও কখনও ফাঁসির দড়িও হতে পারে’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করে তার পরিবার।  এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনও ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এবারের মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।  আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আর এই লড়াইয়ে জনগণ বিজয়ী হবেই বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে, সরকার চাইলে আমরা নাম দেবো। বিএনপির কারা কারা আছে যদি পারেন তাহলে আপনারা (সরকার) নাম দেন। এ সময় দেশের অতিদরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে অন্তত এক হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবিও জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ সিন্ডিকেটকারীরা সরকারের ভিতরে আছে এবং তারা সংসদ দখল করে নিয়েছে। কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
জয়ের নেতৃত্বে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে বাংলাদেশে : কাদের
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে নিরবে-নিঃশব্দে দেশে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেছেন, আজকে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে আসে, আবার চলে যায়। নিরবে আসে, নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ টেরও পায় না। কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সভার সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরে যখন ফিরে যাই, জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে, সেই লাশ দুই দিন পর আনা হয় টুঙ্গিপাড়ায়। ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় ব্যবহৃত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দাফনে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল! আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সততার প্রতীক। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডবোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
আওয়ামী লীগের আলোচনাসভা আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ আলোচনাসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন ক্ষমতাসীন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দিবসটিকে ঘিরে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও শিশু সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান।    
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর আন্দোলনে যাবে জাপা
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাধ্য করতে প্রয়োজনে ঈদের পর আন্দোলন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তাতে সায় দিয়ে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এগুলো (দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা। জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে, জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না। রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বরে জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তরের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন জাপা নেতারা। চুন্নু বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ রমজানে যাতে দিনানিপাত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতারণামূলক কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। সরকার যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনতে পারে, তাহলে চেয়ারম্যানকে বলবো ঈদের পরে মানুষের পক্ষে আন্দোলন করা প্রয়োজন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এসবের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করে সরকারকে বাধ্য করা উচিত, যাতে সরকার জিনিসপত্রের দাম কমায়। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকারের অনেক ধরনের আশ্বাস আমরা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই, সাধারণ মানুষের নামে দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গুটিকয়েক মানুষকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ভালো দেখা আমাদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা এগুলো করার জন্য। প্রস্তুতি নিতে হবে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না। সংগঠন করতে হলে জনসমর্থন দরকার। জনসমর্থনের জন্য সেই রাজনীতি দরকার যেটা জনগণ চায়। সেই রাজনীতি করার প্রস্তুতি নিতে হবে। জিএম কাদের আরও বলেন, সরকারের কাজকর্ম ও খরচাখরচ দেখে মনে হয় না দেশের মানুষ কষ্টে আছে। ধুমধাম চলছে সবখানে। সরকারি কর্মকাণ্ডে চাকচিক্য চলছে। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে, সাধারণ মানুষের টাকায় এগুলো করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।  
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কাদার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন বলে রোববার (১৭ মার্চ) জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। তবে আবেদনের ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার জীবন রক্ষায় দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার। এর আগেও খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে কয়েক বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সবশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে প্রতিবারই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে তা নাকচ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে তার। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বেশ কয়েক বার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
‘ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জনতা বসে থাকবে না’
ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। রোববার (১৭ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। চরমোনাই পীর বলেন, কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগ আছে, সেখানে আরবি চর্চা হলে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। ইসলাম চর্চা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশি মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রমজানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে মজুদদারি করে, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।  রেজাউল করীম বলেন, যারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে।