ইউটিউবের বিরুদ্ধে শিশুদের অনলাইন গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ
শিশুদের অনলাইন গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনের জন্য টার্গেট করার অভিযোগ উঠেছে ইউটিউবের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একদল শিশু অধিকার আইনজীবী এবং কয়েকটি ভোক্তা অধিকার গ্রুপ ফেডারেল ট্রেড কমিশনে এ অভিযোগটি দায়ের করেন। খবর টাইম ম্যাগাজিন।
সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির পরিচালক জেফ চেষ্টার ইউটিউবের প্যারেন্ট কোম্পানিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গুগল শিশুদের অনুষ্ঠানগুলোর দর্শক টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ লভ্যাংশ তুলে নিচ্ছে। এটি করতে গিয়ে তারা শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্লেষকরা বলেন, শিশুদের কার্টুন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের সময় বিভিন্ন টেলিভিশনও শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন চালিয়ে থাকে। কিন্তু ইউটিউবের সাথে এটার পার্থক্য হচ্ছে, ইউটিউব শিশুদের নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের জন্য টার্গেট করার জন্য শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : তথ্য ফাঁসের দায়ভার নিলেন ফেসবুকের কর্ণধার
--------------------------------------------------------
ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে আছে আইপি এড্রেস, সার্চ হিস্টোরি, মোবাইল ডিভাইস চিহ্নিতকরণ, লোকেশন এবং অন্যান্য ব্যাক্তিগত তথ্য যার মাধ্যমে শিশুর আকর্ষণ কিসে, সেটা বুঝা যায়। কিন্তু ১৯৯৮ সালের এক ফেডারেল আইন অনুসারে, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ।
এবার দেখার পালা এ নিয়ে ফেডারেল কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়।
আপনার শিশুকে ইউটিউবে কার্টুন, ছড়া, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং খেলনার ভিডিও দেখার আগে পড়ে নিয়েছেন কী ইউটিউব ব্যবহারের নীতিমালা? নীতিমালা পড়ে আর কয়জনই বা ব্যবহার করেন ইউটিউব।
নীতিমালা পড়ুন আর নাই পড়ুন, আপনার ছোট্ট শিশুটি আর নিরাপদ নয় ইউটিউবে। ইউটিউবের নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে, আপনি যদি ১৩ বছর বয়সী হন, তাহলে ইউটিউব ব্যবহার করবেন না, আপনার জন্য আরও ভালো ভালো ওয়েবসাইট আছে।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/এমকে
মন্তব্য করুন