মরক্কোর সৈকতে ইফতার
রমজানে সারা বিশ্বের মতো মরক্কোর মুসলমানেরা প্রার্থনার জন্য পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে একত্রিত হয়।
তার সঙ্গে সেহরি ও ইফতারও ভাগ করে নেয়।
আফ্রিকান এ দেশটির রাজধানী বাত, অন্যতম বৃহৎ শহর কাসাব্ল্যাংকা এবং মারাক্কেশ খাবারের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ।
রাজতন্ত্র থাকায় তাদের রয়েছে আতিথেয়তার সোনালি ঐতিহ্য।
সেই সঙ্গে রয়েছে সেরা শাহী রান্নার খ্যাতি।
রাবাত অথবা কাসাব্ল্যাংকার সৈকতে।
অথবা মারাক্কেশ শহরের পর্যটন কেন্দ্র জেমা এল-ফেন’র স্ট্রিটফুড ইফতার বা সেহেরির জন্য ভিন্ন আমেজ।
কাসাব্ল্যাংকায় সৈকতে পেয়ে যাবেন খাবারের বিশাল আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী থেকে সি ফুড সব কিছুই আছে এখানে।
শহরে বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলের ফুড কোর্ট তো আছেই। পার্পেল ফেজ বিস্ট্রো, রিক’স ক্যাফে, ক্যাফে সিনাদ, রেস্ট্রো জাইনা অন্যতম জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট।
হারিরা স্যুপ : ইফতারের জন্য দেশটির হারিরা স্যুপ বেশ বিখ্যাত। ইফতার শুরুর আগের এ স্যুপ প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই থাকে। মসূর ও টমেটু দিয়ে তৈরি হয় এ স্যুপটি।
সেবাকিয়া হালুয়া : সেবাকিয়া হালুয়া নামে এ খাবারটি ফুলের মতো দেখতে। তিল দিয়ে তৈরি পিঠা জাতীয় এ খবারটির ভেতরের অংশে মধু থাকে। ইফতার সেহরিসহ বিশেষ আয়োজনে এ খাবারটি তৈরি করা হয়।
মুসামেন পরাটা : মুসামেন পরাটা দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। চারকোণা শেপের পরাটাটি বাইরে ক্রিস্পি আর ভেতরের নরম।
মরক্কান কেফতা কাবাব : ইফতার বা সেহরির জন্য অন্যতম জনপ্রিয় খাবার মুসামেন পরাটার সঙ্গে এ কেফতা কাবাব খেয়ে থাকেন স্থানীয়রা।
তাজিন : মরক্কানদের অন্যতম খাবার হলো তাজিন। সাধারণত প্লাম ফল আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় এটি। তাজিন দেখতে যেমন চমৎকার, তেমনি ঘ্রাণে ও স্বাদেও অসাধারণ। মরক্কোর মানুষ তাজিন খেয়ে থাকে ডালিয়া অথবা এমন গোল গোল রুটি দিয়ে। এই রুটি তৈরির কাজ অবশ্য যার তার কাজ নয়!
মিন্ট টি : ইফতার বা সেহেরি নয়, মরক্কোর যে কোন আয়োজনের জন্য মিন্ট টি (পুদিনা চা) ব্যবহার হয়।
বিশ্ব প্রসিদ্ধ এ চা ছাড়া যেনো মরক্কোর খাবারের খাওয়াই বৃথা।
ওয়াই/আরকে
মন্তব্য করুন