শর্ট প্যান্ট বা শর্ট গেঞ্জি পরে কি নামাজ হবে?
সমাজে ধর্মীয় কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়ে থাকে। আসলে যার কোনো ভিত্তি নেই অথবা ইসলাম ওই বিষয়গুলো সমর্থনও করে না। কিন্তু না জানা থাকার কারণে সাধারণ মানুষ বিষয়গুলো নিয়ে ভুল করে থাকে। এরকম কয়েকটি বিষয়ে আজকের প্রশ্নোত্তর।
প্রশ্ন. অনেক সময় মসজিদে কিছু মুসল্লিদের দেখা যায় তারা এমন খাটো শার্ট, প্যান্ট বা গেঞ্জি-ট্রাউজার পরে নামাজ পড়তে আসে যে, তারা যখন রুকু-সিজদায় যায় তখন তাদের পেছনের দিকের কাপড় সরে গিয়ে শরীর দেখা যায়। এমনকি ফরজ তরকও হয়ে যায়। এতে তার পেছনের নামাজিদের বিব্রত হতে হয়। এমন পোশাক পড়া জায়েজ আছে কিনা? এই পোশাক বা এ অবস্থায় নামাজ হবে কিনা?
উত্তর. যে কাপড় পরলে সতর খুলে যায় এমন পোশাক ব্যবহার করা জায়েজ নয় এবং এ ধরনের পোশাকে নামাজ আদায় করাও নাজায়েজ। আর নামাজে যদি সতরের কোনো অঙ্গের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ খুলে যায় এবং তা এক রুকুন (অর্থাৎ তিন তাসবীহ)পরিমাণ সময় খোলা থাকে তাহলে সে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ ধরনের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে নামাজে এ ধরনের পোশাক পড়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৪০৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৭৩; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫৮)
প্রশ্ন. জামাতে পরে শরীক হওয়া ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের সাথে দরুদ ও দুআ মাসূরা পড়বে নাকি শুধু তাশাহুদ পড়বে?
উত্তর. এ ব্যাপারে সঠিক পদ্ধতি হলো এই যে, মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়বে। আর তাশাহহুদ পড়ার সময় ধীরে ধীরে পড়ার চেষ্টা করবে। যেন তা ইমামের সালাম ফেরানো পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। তবে কোনো কোনো ফকীহগণ বলেন, মাসবুকের জন্য তাশাহহুদের সাথে দরুদ ও দুআ মাসূরাও পড়ার অবকাশ আছে। তাই কেউ পড়ে ফেললে তাতেও সমস্যা হবে না। (আলবাহরুর রায়েক ১/৩২৮; রদ্দুল মুহতার ১/৫১১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৬৫)
আরও পড়ুন :
- বাকশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হেফাজত সৎ মানুষের গুণ
- আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিহাব তৃতীয়
এমকে
মন্তব্য করুন