• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কদরের রাতের গুরুত্ব

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৮ জুন ২০১৮, ১৮:১৯

পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশকে শুরু হয়েছে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুযোগের সময়। জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য মুমিনের হৃদয় এখন আকুল হয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। সফল নামাজ ও তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে মুমিনরা। কারণ, রমজান পেয়েও ক্ষমা না পাওয়া সত্যি হতভাগা হওয়া। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, যারা রমজান মাস পেয়েও নিজেকে পাপমুক্ত করতে পারল না, তারা ধ্বংস প্রাপ্ত।’

পবিত্র এ মাসের শেষ দশকেই রয়েছে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। যে রাতে বান্দার গুনাহ ক্ষমা করানোর অপার সুযোগ রয়েছে। এ রাত সারা বছরের সমস্ত রাত অপেক্ষা সর্বাধিক মর্যাদাশীল, বৈশিষ্ঠ্যমণ্ডিত ও মহিমান্বিত বলে এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল ক্বদর।

লাইলাতুর কদরে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য :

১. এ রাতে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারিম অবর্তীর্ণ হয়েছে।

২. এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

৩. এ রাতে হজরত জিবরাইল (আঃ) এক দলসহ জমীনে অবতরণ করেন। এছাড়াও এ রাতটিই ভাগ্য রজনী। যে রাতের কথা সুরা দুখানে বর্ণনা করা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ রাতে ইবাদত করবে আল্লাহ তায়ালা তার অতীতের সব (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াব লাভের খাঁটি আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়ামুল্লাইলে (তাহাজ্জুদে) অতিবাহিত করবে আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

তওবার মাধ্যমে কবিরা গুনাহও মাফ করিয়ে নেবার এক অনন্য সুযোগ লাইলাতুল কদর।

লাইলাতুল কদর কোন রাত তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। এ মহা মূল্যবান রাতকে আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ হেকমতের কারণেই অনির্দিষ্ট রেখেছেন। তবে তা অনির্দিষ্ট হলেও আমাদের জন্য অনেকটাই নির্দিষ্ট। কেননা লাইলাতুল ক্বদর সাধারণত রমাজান মাসেই হয়েই থাকে। তা হলে বাকি এগারো মাস থেকে নির্দিষ্ট হয়ে গেল একমাস। একমাসের মধ্যে আবার শেষ দশকেই হওয়া নির্দিষ্ট। তা হলে আরও সীমাবদ্ধ হয়ে গেল । এরপর এ দশ দিনের মধ্যে আমার বেজোড় রাত্রে হওয়া নির্দিষ্ট।

এই সম্পর্কে রাসূল(সাঃ) বলেন, তোমরা রমাজানের শেষ দশকে বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করো। (বুখারি)।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
--------------------------------------------------------

তাই রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোই লাইলাতুল কদরের সম্ভাবনার রাত। প্রতিটি মুমিনের উচিত সে রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করা।

লাইলাতুল কদরে পড়ার মতো একটি বিশেষ দুআর কথাও হাদিসে এসেছে। হজরত আয়শা (রা.) রাসুলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা যদি লাইলাতুল কদর পাই তাহলে কি করবো? উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, বলবে আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি। অর্থাৎ হে আল্লাহ তুমি পরম ক্ষমাশীল ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ কর,কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও'। (তিরমিযি)।

বুখারি শরিফের হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমাজানের শেষ দশদিন এলে লুঙ্গি মজবুত করে বেঁধে নিতেন এবং রাত্রি জাগরণ করতেন। অর্থাৎ ইবাদত বন্দেগীতে কাটাতেন এবং পরিবারের লোকদেরকেও জাগাতেন। (বুখারি)

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও ফজিলত
রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
কমছে পেঁয়াজের দাম, নেমেছে অর্ধেকে
প্রথম রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
X
Fresh