• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাপ মুক্তির মাস রমজান

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ২৮ মে ২০১৮, ১৮:১০

আল্লাহ তাআলা পবিত্র রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম অংশ রহমত; অর্থাৎ এ অংশে আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত বান্দার প্রতি নাজিল হয়। দ্বিতীয় অংশ মাগফেরাত; অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদেরকে বেশি বেশি ক্ষমা করতে থাকেন। তৃতীয় অংশ হলো নাজাত; অর্থাৎ জাহান্নামীদেরকে মুক্তি দেন।

এ মাসেই মানুষ ও জিন জাতির মুক্তির সনদ কুরআন মাজিদ একত্রে লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে বাইতুল ইজ্জতে অবর্তীণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, রমজান মাসই হলো সেই মাস যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশক। (সুরা রাকাহ, আয়াতঃ ১৮৫)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারের সময় এমন দশ লক্ষ লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করেন যাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। অতপর যখন রমজানের শেষ দিন আসে তখন প্রথম রমজান হতে শেষ পর্যন্ত যত লোক জাহান্নাম হতে মুক্তি পেয়েছে তাদের সকলের সমপরিমাণ লোককে একদিনে জাহান্নাম হতে মুক্ত করা হয়। (তারগীব; বাইহাকী শরীফ; ও সহি ইবনে হিব্বান)

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রোজার প্রয়োজনীয় কয়েকটি মাসআলা
--------------------------------------------------------

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও স্বীয় গুনাহসমূহ ক্ষমা করাতে পারল না সে অভিশপ্ত। তাই জীবনের গুনাহের কথা স্বরণ করে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করা এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা চাওয়া।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতকে রমজান শরীফের ব্যাপারে পাঁচটি জিনিস বিশেষভাবে দান করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী উম্মতগণকে দান করা হয় নাই।

(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চাইতেও অধিক প্রিয়।

(২) তাদের জন্য নদীর মাছও দোয়া করে এবং ইফতার পর্যন্ত করতে থাকে।

(৩) অতপর আল্লাহ তাআলা বলেন, অতিসত্ত্বর আমার নেক বান্দারা নিজেদের উপর হতে (দুনিয়ার) কষ্ট ক্লেশ দূর করে আমার কাছে আসবে।

(৪) এই মাসে দুষ্ট ও অবাধ্য শয়তানকে আবদ্ধ করা হয়। ফলে অন্যান্য মাসে তারা যে সমস্ত খারাপ কাজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারত এই মাসে সেই পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।

(৫) রমজানের সর্বশেষ রাত্রে রোজাদারগণকে মাফ করে দেওয়া হয়। সাহাবায়ে কেরাম আনহুম আজমাইনগণ আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সেই রাত্র কি শবে কদর? উত্তরে বললেন, না বরং নিয়ম হলো কাজ শেষ হলে মজদুরকে তার মজুরী দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ ও বাইহাকী শরীফ)

অন্য এক হাদিসে আছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই রোজাদারের মুখের (পাহানার বর্জনজনিত) গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধি অপেক্ষা উত্তম। (বুখারী শরীফ, হাদিস-১৯০৪)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে কবুল করুন।

(আমিন)

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh