• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের পাপকাজ থেকে বিরত রাখা রোজার অন্যতম শর্ত

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৬ মে ২০১৮, ১০:১৪

রোজা রেখেও যারা অশ্লীল ও গর্হিত কাজ ছাড়তে পারেন না তাদের ক্ষুধা ও পিপাসার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। আল্লাহর কাছে এর প্রতিদানস্বরুপ তারা কিছুই পাবে না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় কথা ও কাজ পরিত্যাগ করে না তার খাদ্য পানীয় পরিত্যাগে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (বুখারি)

সুতরাং রোজা রেখে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে পাপকাজ থেকে রক্ষা করা আবশ্যক। চোখকে বেগানা নারী ও অশ্লীল নাটক-সিনেমাসহ সকল অবৈধ জিনিস দেখা থেকে হেফাজত করতে হবে। জিহ্বা দ্বারা অনর্থক ও অন্যায় কথা যেন বের না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কান দ্বারা অশ্লীল কথাবার্তা ও গীবত শোনা থেকে দূরে থাকতে হবে। হাতকে কোন অন্যায় কাজে ব্যবহার করা হতে বিরত রাখতে হবে। পা দ্বারা অন্যায় পথে চলা যাবে না। মনকে সকল প্রকার কুচিন্তা হতে পবিত্র রাখতে হবে। শুধু তাই নয় সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা নেকীর কাজও বেশি বেশি করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় যে, রোজার হক সঠিকভাবে আদায় হবে এবং সওয়াব পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ভুলে যেসব কাজ করলে রোজা ভাঙ্গে না
--------------------------------------------------------

রোজা অবস্থায় কেউ গালি দিলেও তার জবাবে গালি দেয়া যাবে না। কেউ মারামারি কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে চাইলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে আমাদেরকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ কোনদিন রোজা অবস্থায় সকালে উপনীত হয় তখন যেন সে অশ্লীল কাজ ও জাহেলি আচরণ না করে। এমনকি কেউ যদি গালিগালাজ করে কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে উদ্যত হয় তখন সে যেন বলে আমি রোজাদার। (মুসলিম)

রোজা অবস্থায় পাপ কাজ করা তো অনেক দূরের কথা অনর্থক কথা ও কাজে লিপ্ত হওয়াও কোন মুসলমানের জন্য উচিত নয়। পবিত্র কুরআনের সুরা মু’মিনুনে বর্ণিত সফলকাম মু’মিনের অন্যতম গুণ হচ্ছে অনর্থক কথা ও কাজ হতে বিমূখ থাকা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে অনর্থক কথা ও কাজ পরিত্যাগ করা। (তিরমিজি) আমাদের প্রতিটি কথাবার্তা ফেরেশতা লিপিবদ্ধ করে রাখেন। মুখ থেকে অনর্থক কোন কথা বের হলে এজন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে জবাবদিহী করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য অতন্দ্র প্রহরী ফেরেশতা নিয়োজিত আছে। (সুরা কাফ: ১৮)

তাই রোজা অবস্থায় অনর্থক কথা ও কাজ পরিত্যাগ করে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত এবং অন্যান্য নেক আমল করা উচিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এ তাওফিক দান করুন।

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh