• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মুসলমান ও খ্রিষ্টানের মাঝে বিয়ে কী জায়েজ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  ২৭ এপ্রিল ২০১৮, ১১:৫৮

আরটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয় ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন। এ অনুষ্ঠানে কুরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

প্রশ্ন: একজন কোরআনের হাফেজ কি একজন আলেমের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান? দুইজনের উপস্থিতিতে কে ইমামতি করবেন?

উত্তর: কুরআনের হাফেজের সত্যিকারের অর্থ হল যিনি কুরআনের সম্পূর্ণ অর্থ বোঝেন। তার মানে একজন হাফেজ হলেন অনেক বড় আলেম। কিন্তু আমাদের সমাজে কুরআন থেকে কুরআনের অর্থ আলাদা হয়ে যাওয়ায় হাফেজরা সাধারণত মাসলা মাসায়েল বা দীনের এইসব জরুরি বিষয়গুলো জানার সুযোগ পান না। কাজেই এযুগে হাফেজদের সাধারণত তারাবীতে ডাকা হয়। আর আলেমদের দিয়ে ইমামতি করানো হয়। ইমাম তিরমিজি তে একটা হাদিস আছে, ইমামতি করবেন তিনি যিনি কুরআন সুন্নাহর বেশি বড় আলেম। কাজেই একজন অর্থ না জানা হাফেজের চেয়ে একজন অর্থ জানা আলেম ইমামতির জন্য বেশি হকদার।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গিবতকারী জানে না তার পরিণতি কতো ভয়াবহ
--------------------------------------------------------

প্রশ্ন: মুসলমান এবং খ্রিষ্টানের বিয়ে ইসলামে কতটুকু অনুমোদনযোগ্য?

উত্তর: মুসলিম পুরুষরা দুই জাতির মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। ইহুদি জাতি এবং খ্রিস্টান জাতি, আর কোনো জাতি না। এই দুই জাতির মেয়েকে মুসলমানরা বিয়ে করতে পারবে কারণ এই দুই জাতির আসমানী কিতাব আছে। সুরা আল মায়িদা’র পাঁচ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমাদের পূর্বে কিতাবপ্রাপ্ত যে জাতি তাদের সৎ চরিত্রা মেয়েদের তোমরা বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু ইহুদি খ্রিষ্টান পুরুষরা মুসলিম নারীদের বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু এখানে আমার পরামর্শ হল, তিনি যদি খ্রিষ্টান নারীদের বিয়ে করতে চান তাহলে তাকে আগে মুসলিম বানান, ইসলাম কবুল করান। তাহলে ভবিষ্যতে সন্তানের ধর্ম নিয়ে যে সমস্য হতে পারে সে নিয়ে আর কোন জটিলতা থাকবে না।

আরও পড়ুন :

কেএইচ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh