• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জগতের সবার কাছে প্রশংসিত বলেই তাঁর নাম হয় মুহাম্মাদ

মাওলানা নাসির উদ্দিন

  ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৮:৫৯

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেকগুলো গুণবাচক নাম রয়েছে। তাবে তার ব্যক্তি নাম দুইটি। মুহাম্মাদ ও আহমাদ। উভয় নামের মূল শব্দ এক ‘হামদ’ । যার অর্থ প্রশংসা, সম্মান, শোকর ইত্যাদি।

আল্লাহ তায়ালার পাক নাম হামিদ থেকে মুহাম্মাদ ও আহমাদ নাম এসেছে। মুহাম্মাদ অর্থ অতি প্রশংসিত। আর আহমাদ অর্থ দুটি। এক অর্থ মুহাম্মদের সমার্থক অর্থ্যাৎ অতি প্রশংসিত। আর দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে সার্বাধিক প্রশংসাকারী।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুহাম্মাদ কেন তা জানা প্রয়োজন। তার নাম মুহাম্মাদ এজন্য যে, তিনি আল্লাহর কাছে প্রশংসিত, ফেরেশতাদের কাছে প্রশংসিত, পৃথিবীবাসীর কাছে প্রশংসিত যারা তার প্রতি ইমান এনেছে তাদের কাছে প্রশংসিত। এমনকি যারা তার প্রতি ইমান আনেননি তাদের কাছেও তিনি তার গুণ ও মাহাত্মের, চরিত্র ও তার মহানুভবতার কারণে প্রশংসিত। সৃষ্টির মধ্যে যার প্রশংসা সবচেয়ে বেশি করা হয়েছে।

আর জগৎ সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত যার প্রশংসা আব্যাহত রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তিনিই হলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগে আরব ভূখন্ডের কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে কারো নাম আহমাদ ছিল না। মুহাম্মাদ নামটিও তার আগমণের আগে প্রসিদ্ধ ছিল না। তার আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে তার আগমণের ভবিষৎবাণীর ভিত্তিতে কেউ কেউ তাদের সন্তানের নাম মুহাম্মাদ রেখেছিল। এদের সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ থেকে সাত জন। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এটি শুধু একটি নাম নয় বরং কল্যাণ ও রহমতের অফুরন্ত ঝর্ণা ধারা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ ও তার ফেরেস্তাগণ নবীর প্রতি সালাম বর্ষণ করেন। নামাজ প্রার্থনা করেন। হে মুমিনগণ তোমরাও নবীর প্রতি রহমতের তরে দোয়া কর এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ কর। (সুরা আহজব,আয়াত:৫৬) ।

আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণের পর প্রিয় নবীর প্রতি দরুদ পাঠের আমন্ত্রণ পেয়েছি আমরা ইমানদাররাই। এ সৌভাগ্য কোথায় রাখি।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষণ করবেন। (মুসলিম শরীফ)

অন্য হাদিসে আছে যে,আমার প্রতি যত বেশি দরুদ পাঠ করবে কেয়ামতের দিন সে আমার শাফায়েতের তত বেশি হকদার বলে বিবেচিত হবে। (তিরমিযি শরীফ)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে নবীর প্রেমে প্রেমিক হওয়ার তাওফিক দান করুন। (আমিন)।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh