• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা ইমানের দাবি

মাওলানা নাসির উদ্দিন

  ০৭ মার্চ ২০১৮, ১৮:১৪

পেশার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে কাজ সুন্দর হতে বাধ্য। কিন্তু এই বিষয়টির বড় অভাব দেখা যায়। পেশা হলো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে রিজিক লাভের একটি উসিলা মাত্র। এই উসিলা লাভের আদেশ আল্লাহ তায়ালাই করেছেন। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কিছু পাওয়ার মাধ্যম বা উসিলাই হলো পেশা। তাই কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আন্তরিক থাকা ইমানের দাবি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ খোঁজ কর ও আল্লাহকে অধিক স্বরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আল জুম আহ আয়াত : ৯।

উল্লেখিত আয়াতে বলা হয়েছে , নামাজ শেষে তোমরা জমিতে ছড়িয়ে পড়, অথ্যাৎ যার যে যোগ্যতা আছে, সে অনুযায়ী হালাল রুজি উপার্জনের চেষ্টা করবে। আর আল্লাহ তায়ালা তার চেষ্টা অনুযায়ী তাকে উত্তম রিজিক দেবেন। এটা আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা।

রিজিক আল্লাহ তায়ালার বড় নেয়ামত।আর পেশা যখন অমূল্য নেয়ামতের মাধ্যম হয় তখন নিয়ামতের মর্যাদায় পেশাও মর্যাদার বিষয় হয়ে যায়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো সরকারি চাকরিতে ১০১০ কওমি আলেম
--------------------------------------------------------

নবী কারিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কর্মের মাধ্যমে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে অন্য কোন পবিত্র খাদ্য নেই। (বুখারী শরীফ)

হাত দিয়ে কাজের মাধ্যমে উপার্জনের চেয়ে ভালো কোন উপার্জন নেই। আল্লাহর নবী হজরত দাউদ (আ.) নিজের হাতে উর্পাজন করে খেতেন। (বুখারী ও মুসলীম) ।

অন্য হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী কারিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন লৌহবর্ম প্রস্তুতকারক। হজরত আদম (আ.) ছিলেন চাষি। হজরত নুহ (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। হজরত ইদরিস (আ.) ছিলেন দরজি। আর হজরত মুসা ( আ.) ছিলেন রাখাল

( মুস্তাদরাকে হাকিম) ।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, মানুষের কাছে হাত পাতা, কেউ দান করুক বা না করুক তা অপেক্ষা রশি নিয়ে লাকড়ির আটি পিঠে করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে রোজগার করা অধিক সম্মানজনক।(বুখারী শরীফ) ।

উপরের হাদিসগুলোতে এ কথাই স্পষ্ট বুঝা যাচেছ যে, মানুষকে তার রিজিক অন্নেষণের জন্য বৈধ উপায় অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এজন্য দেখা যায়, যেসকল লোক ইসলাম সঠিক ভাবে মেনে চলে, তারা কর্ম ক্ষেত্রে কখানো কোন কর্মকে তুচ্ছ বা অহংকারের দৃষ্টিতে দেখে না। তারা তাদের যোগ্যতা অনুসারে নিজ নিজ কর্মকে শ্রদ্ধার সাথে দেখে এবং তাতে তারা খুবই আন্তরিক থাকে।

আরও পড়ুন:

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh