• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি হবে কী?

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৪২

আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন।’ এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।

প্রশ্নঃ মৃত মানুষের নামে কোরবানি হবে কী?

উত্তরঃ মৃত মানুষের নামে কোরবানি করা মুস্তাহাব। করলে ভালো, উনি সওয়াব পাবেন। এছাড়াও নবীর নামে, আল্লাহর নামে, কোনো নেতার নামে কেউ চাইলে কোরবানি দিতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটা দিতে হবে উনাদের পক্ষ থেকে, উনাদের নামে কোরবানি দেয়া যাবে না। নবীর নামে, আল্লাহর নামে, পিতামাতার নামে, এই নাম শব্দটা ব্যবহার করা যাবে না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলতে হবে উনাদের পক্ষ থেকে। কোরবানি শুধুমাত্র আল্লাহর নামে হতে হবে, অন্য যে কারো নামেই হোক সেটা হারাম হয়ে যাবে।

প্রশ্নঃ অনেক সময় ঝগড়া করে স্বামী স্ত্রী তিন তালাক পর্যন্ত দিয়ে দেয়, ওইটা কি তালাক হয়ে যায়? আর যদি হয়ে যায় তাহলে কিভাবে জায়েজ করা সম্ভব?

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: আকিকা না করে কোরবানি দেয়া জায়েজ কী?
--------------------------------------------------------

উত্তরঃ তিনটা বিষয় যদি কেউ ইচ্ছা করে বলে, ঠাট্টাচ্ছলে বলে, রাগ করে বলে তাহলে এই বিষয়গুলা কার্যকরী হয়ে যাবে। যদিও অনেক মিডিয়ায় প্রচারিত হয় যে রাগের বশত তালাক দিলে তালাক হবে না, সেটা ঠিক নয়, তালাক হয়েই যাবে। তবে, তালাকটা এক তালাক হবে, না দুই তালাক হবে না তিন তালাক হবে এটা নিকটস্থ নির্ভরযোগ্য আলেমের কাছে লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় কিছু নীতিমালা আছে।

প্রশ্নঃ কেউ কেউ বলে থাকেন, আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা.) কোন মাজহাবের অনুসারী ছিলেন? আর মাজহাবটা আসলে কি? কেন মানবো আমরা?

উত্তরঃ মাজহাব মানে হলো তাদের জন্য যারা সরাসরি হাদিসটা বুঝে না বা হাদিসের অর্থটা জানে না, এক্ষেত্রে যেকোন ইমামের কাছে তাকে ব্যাখ্যার জন্য যেতে হবে। যেমন ধরুনঃ আপনি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ঢুকলেন, ইমাম সাহেব নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন, এখন রুকু তে আছেন। এ বিষয়ে বলা আছে, ইমাম সাহেব রুকুতে থাকলে তুমিও রুকুতে যাও, আরেক রেওয়াতে আছে যে, কেরাত না পড়লে নামাজ হবে না।

এখন এই লোকটা কি রুকুতে যাবে না দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহা পড়বে? এটা তো আমি সমাধান দিতে পারবো না। কারণ এক্ষেত্রে তো দুইটা হাদিস আছে। তাই যিনি হাদিসগুলো সম্পর্কে ভালভাবে জানেন তিনি আমাকে একটি ব্যাখ্যা দিবেন, বলবেন, তুমি যদি একা নামাজ পড় তাহলে কেরাত আর সুরা ফাতেহা ছাড়া হবে না, আর তুমি যদি জামাতের সাথে পড়তে যাও তাহলে তুমি সরাসরি রুকুতে যাও এর আগের বাকীগুলা করতে হবে না।

বিভিন্ন মাজহাবের ইমামদের আমরা অনুসরণ করি উনাদের বিজ্ঞতার জন্য। আর মাজহাব মানে কিন্তু ইমামদের দ্বারা উদ্ভাবিত কোনো নতুন পদ্ধতি নয়। মাজহাব হচ্ছে আল্লাহ রাসুল (সা.) এর দেখানো পথ, মত গবেষণা করে একটি মূলনীতি যেটা আমরা আমাদের স্বীমাবদ্ধ বুদ্ধি দিয়ে বের করতে পারি না।

আরও পড়ুন:

কেএইচ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh