আকিকা না করে কোরবানি দেয়া জায়েজ কী?
আরটিভির সরাসরি ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরমূলক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শরিফ মেটাল প্রশ্ন করুন।’ এ অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এবারের পর্বে উত্তর দিয়েছেন মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।
প্রশ্নঃ আমি একজন ডাক্তার, পেশাগত কারণে আমাকে অনেক মহিলা রোগী দেখতে হয়। এতে করে কী আমি মহিলাদের পর্দার খেলাফ করছি? কোরআন এবং হাদিসের আলোকে আমার কী করা উচিত?
উত্তরঃ আপনি ডাক্তার হিসেবে যখন সেবা দিচ্ছেন, অবশ্যই একজন রোগী হিসেবে তাকে দেখবেন, মহিলা বা পুরষ হিসেবে নয়। এজন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই তাকে দেখতে পারবেন। এর বেশি আপনি দেখবেন না, এটাই শরীয়তের বিধান।
যেসব অঙ্গ চেকাআপ মেশিনে দেখার সুযোগ রয়েছে সেসব অঙ্গ মেশিনেই দেখবেন। ডাক্তারের জন্য সেই অনুমতি শরীয়ত দিয়ে রেখেছে। তবে আমাদের দেশে সাধারণভাবে এখন যেটা হচ্ছে সেটা খুবই দুঃখজনক। দেখা যাচ্ছে যেকোন অঙ্গের অপরেশনের জন্য দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা মানুষের চুল দাড়ি সব কাটা হচ্ছে। অহেতুক এই কাজগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ইমামের পেছনে সুরা কিরাত কী পড়তে হবে?
--------------------------------------------------------
প্রশ্নঃ আকিকা না করে কোরবানি দেয়া জায়েজ কী?
উত্তরঃ আকিকা না করেও কোরবানি দেয়া যাবে তবে আগে আকিকাটা দেয়া দরকার।
প্রশ্নঃ নামাজের সময় যে হাত বাধা হয় সেটা কেউ বুকে বাধে, কেউ বাধে নাভির একটু নিচে। কোনটা সহীহ?
উত্তরঃ আমাদের দেখার অভাবের কারণে হাত বাধার ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন আসে। যেমন দেখুন ইরানের মানুষ নামাজের সময় হাতই বাধেন না। আবার আফ্রিকার অনেক দেশেও হাত বাধে না। কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা খুব ধীরস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়। তো একটা লোককে এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যে দেখে যাতে মনে হয়ে তিনি আল্লাহর প্রতি নত হয়ে নামাজ পড়ছেন। এই ভাবটা প্রকাশ করার জন্যই সম্ভবত হাত বাধার বিধান। তবে হাত বাধার বিধান নিয়ে ইমাম আবু হানিফার সময়কার অনেক ইমাম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হাত বাধার কারণে নানা ধরনের মত তৈরি হয়েছে। আসলে এটা এমন কোনও বড় বিষয় না যে এটা নিয়ে বিতর্ক করা দরকার। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে হাত অবশ্যই বুকে বাধতে হবে।
প্রশ্নঃ আমার বড় ভাইয়ের মেয়ের ঘরের নাতিকে বিয়ে করানো হয়েছে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে। এটা কী হাদিস সম্মত হয়েছে?
উত্তরঃ ভাইয়ের নাতি মানে তারও নাতি, এখানে শরীয়তের নিয়ম হলো আমি আমার ঔরসজাতকে বিয়ে করতে পারবো না। আর তাদের ওপরে যে আছে তাদেরকে বিয়ে করতে পারবো না। তো যার মেয়ে এবং যার নাতি উনার জন্য এটা নিষিদ্ধ। কিন্তু তার ভাইয়ের জন্য এটা নিষিদ্ধ না। আর আপন চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাই বোনের বিয়েতেও শরীয়তের হিসাবে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/এমকে
মন্তব্য করুন