মায়ের কোলে ফিরলেন চাঁদপুরের শাখাওয়াত
মানসিক ভারসাম্যহীন চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার শাখাওয়াত হোসেনকে (২৩) দেশে পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়াস্থ চাঁদপুর সমিতির সহযোগিতায় বুধবার বিকেলে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শাখাওয়াত।
এসময় তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেন কুয়ালালামপুর থেকে শাখাওয়াতের সঙ্গে যাওয়া মালয়েশিয়াস্থ চাঁদপুর সমিতির দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান নাঈম।
৪ বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন শাখাওয়াত হোসেন। তার বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার বালসিদ গ্রামে। বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা হোসনে আরা বেগম।
মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বিমানবন্দর থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর তারা পাগলপ্রায়। হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে এখন আনন্দে আত্মহারা এই পরিবারটি।
পরিবারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়াস্থ প্রবাসী সংগঠন চাঁদপুর সমিতি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান তারা।
মালয়েশিয়াস্থ চাঁদপুর সমিতির উপদেষ্টা আক্তার হোসেন গাজী আরটিভি অনলাইনকে জানান, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার পর গেলো মাসের সতেরো তারিখে শাখাওয়াতকে দেশে পাঠানোর জন্য কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে দিয়ে আসেন তার ভারতীয় মালিক।
ইমিগ্রেশন পার হলেও বিমানে না উঠে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যায় শাখাওয়াত।
সেই থেকে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে ৩০ অক্টোবর রাতে বুকিত বিনতাং এর রসনা বিলাস রেস্টুরেন্টে তার সন্ধান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব, মালয়েশিয়ার সভাপতি ও রসনা বিলাস রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী এস এম রহমান পারভেজ, আরটিভি প্রতিনিধি মোস্তফা ইমরান রাজু ও সময় টিভি’র মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরকে হারিয়ে যাওয়া শাখাওয়াতের সন্ধান দেয়ার জন্য চাঁদপুর সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান আক্তার হোসেন।
এদিকে, শাখাওয়াতকে দেশে ফেরত পাঠাতে সকল খরচ চাঁদপুর সমিতি বহন করেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সেলিম নুরুল ইসলাম। চাঁদপুর সমিতির পক্ষ থেকে তার হাতে স্পেশাল পাস ও টিকিট তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আক্তার হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সহ-সভাপতি এম এ কালাম ও দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান নাঈম।
এ প্রসঙ্গে কমিউনিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রহমান পারভেজ বলেন, সোমবার রাত দশটার দিকে তার রেস্টুরেন্ট রসনা বিলাসে খেতে আসেন শাখাওয়াত। তখন তার আচারণ সন্দেহজনক মনে হলে ছেলেটিকে পার্শ্ববর্তী রুমে নিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। পরে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে মানসিক ভারসমস্যহীন।
চাঁদপুর সমিতির দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান নাঈম বলেন, শাখাওয়াতকে তারাও বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিলেন। কমিউনিটি প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় তাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। চাঁদপুর সমিতির পক্ষ থেকে বিনা খরচে তাকে মায়ের কোলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসজে
মন্তব্য করুন