রোববার ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে
রোববার থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ২০তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ডোজ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে।
কর্মসূচি সফল করতে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এই কৃমিনাশক ডোজ খাওয়ানো হবে।
গত বুধবার দুপুরে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা। এ সময় রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
--------------------------------------------------------
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১ থেকে ৭ এপ্রিল দেশের সব প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন প্রদত্ত মেবেন্ডাজল-৫০০ মি. ট্যাবলেট বিনামূল্যে সরবরাহ করবে।
এ সময় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ৫ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। এছাড়া ০ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৭ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ১৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭ শতাংশ এবং ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫ শতাংশ।
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময়ও থাকে না। খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন