মুক্তামনির হাতের সব টিউমার অপসারণ
মুক্তামনির আক্রান্ত হাতের সব টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমারগুলো অপসারণ করা হয়। জানালেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় মুক্তামনির তৃতীয় অস্ত্রোপচার। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেন সাতজন ডাক্তার। পরে তাকে আইসিউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. সামন্তলাল সেন গণমাধ্যমকে জানান, আজকের অপারেশনে মুক্তামনির হাতে যতগুলো টিউমার ছিল সবগুলো অপসারণ করা হয়েছে। সে ভালো আছে। তবে তাকে আমরা এখনও একেবারে ঝুঁকিমুক্ত বলছি না। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
শরীরের আক্রান্ত অন্যান্য অংশের অপারেশন কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আরো এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন ওয়েট করবো। এ সময়টার মধ্যে অপারেশনের জন্য তাকে ফিট করতে হবে। মুক্তামনির আরো দুই কিংবা তিনটি অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।’
সাতক্ষীরার মেয়ে মুক্তামনির দেহে জন্মের দেড় বছর পর একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর সেটি গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে বড় হতে হতে ডান হাত শরীরের চেয়ে ভারী হয়ে উঠেছে। তার এই বিরল রোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।
মুক্তামনির এই রোগটিকে প্রথম বায়োপসি করার পর জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার (হেমানজিওমা) হয়েছে। পরে ১২ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার শুরু করেন ত্রিশ জনের বেশি একটি চিকিৎসক দল। অস্ত্রোপচার করে তার হাত থেকে তিন কেজি মাংসপিণ্ড ফেলে দেয়া হয়। এর পরে ২৯ আগস্ট প্রচণ্ড জ্বরের কারণে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি চিকিৎসকরা। প্রায় ২০ শতাংশ অস্ত্রোপচারের পর অপারেশন শেষ না করেই অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে তাকে বের করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।
পরে চিকিৎসকরা জানান, ঈদের ছুটির পরই অস্ত্রোপচার করবেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় অস্ত্রোপচার শেষ হলো।
এসএস
মন্তব্য করুন