• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিম্নমানের খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

মোঃ কামাল হোসেন

  ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ০৮:৫৬

খাবার জন্য ক্যান্টিনে ঢুকতেই নাকে আসবে উৎকট গন্ধ। অপরিচ্ছন্ন টেবিল ও প্লেটে খাবারের ওপর মাছি। খাবারের টেবিলগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত অপরিচ্ছন্ন-স্যাঁতস্যাঁতে ন্যাকড়া দিয়ে। এরপরেও যদি কেউ অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে ভেতরটা পরখ করতে যায় তবে দেখা যাবে ধুলোয় প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন স্যাঁতস্যাঁতে রান্নাঘর। চারপাশে বর্জ্য-ময়লা ছড়ানো-ছিটানো । এককথায় রান্না, খাবার সংরক্ষণ ও পরিবেশন সবটাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।

অবিশ্বাস্য হলেও এমন অবস্থা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু হল ক্যান্টিনের। সঙ্গত কারণেই খাবারের মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার হলের ক্যান্টিনের খাবারের যে মান তাতে আমি সন্তুষ্ট না। খাবারের মান খারাপ হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য হলের তুলনায় অনেকবেশি ব্যয়বহুল।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল ক্যান্টিনগুলোর খাবারের মানও এমনই। খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

তবে স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার হলের খাবারের মান হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, কবি জসীম উদ্দিন হলের ক্যান্টিনগুলোর তুলনায় মোটামুটি ভালো।

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার হলের খাবারের মান আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু আমাদের প্রাধ্যক্ষ স্যার খাবারের মানোন্নয়নের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়াতে এখন ভালোই বলা যায়।

মেয়েদের হলের ক্যান্টিনের খাবারে সন্তুষ্ট নয় তারা। আরটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথোপকথনের সময় এমনটাই বোঝালেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী ফরিদা পারভীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনগুলোর খাবার নিম্নমানের স্বীকার করে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষসহ কর্তৃপক্ষ যদি ক্যান্টিনগুলো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখেন, তবে কম খরচের মধ্যেই অধিক মানসম্মত না হলেও শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার খেতে পারবে।

কে/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh