‘গ’ ইউনিটে ফেল করে ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মুখেই গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক অনুষদ ভুক্ত ঘ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এই ইউনিটে পাশের হার ছিল ১৪.৩৫ শতাংশ।
মেধাতালিকায় থাকা কিছু শিক্ষার্থীর দুই ইউনিটের ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা গেছে। ঘ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে সর্বোচ্চ মেধাতালিকায় থাকা একাধিক শিক্ষার্থী গ ইউনিটের পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি। জানা গেছে, ঘ ইউনিটে মেধাতালিয়ার ১০০ তালিকার মধ্যে থাকা ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘ ইউনিটে ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে প্রথম হয়েছেন জাহিদ হাসান আকাশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাবির গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফেল করেন তিনি। ঘ ইউনিটের ১২০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত স্কোর ১১৪.৩০। বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০ পেয়েছেন তিনি। অথচ, গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮ ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০।
ভর্তি পরীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে ১২০ এর মধ্যে ১১৪.৩০ কেউ পায়নি। এছাড়া ঘ ইউনিটে বাণিজ্য শাখায় যিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ১২০ এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯৮.৪০। মেধাক্রম প্রথম থেকে দ্বিতীয় এর ব্যবধান নজিরবিহীন।
ঢাবির ঘ ইউনিটে বিজ্ঞান শাখা থেকে প্রথম হয়েছেন তাসনিম বিন আলম । ১২০ নম্বেরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৯.৫০। এই শিক্ষার্থী তার নিজের অনুষদের পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৪৩.৭৫ নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় কমিটির লোক থাকবে, বিভাগের লোক থাকবে। সবাই মিলে আমরা যাচাই-বাছাই করব। অস্বাভাবিক কোনো কিছু পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি আমার কাছে মনে হয় তখন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে আমি কোনো ছাড় দেব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, জালিয়াতি যখন যে অবস্থায় চিহ্নিত হবে, তখনই তার ভর্তি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালিয়াতি করে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন :
আরসি/এমকে
মন্তব্য করুন