৩৫ কলেজের এমপিও বন্ধের নির্দেশ
দেশের ৩৫ কলেজের এমপিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব প্রতিষ্ঠানে কোনও শিক্ষার্থীই পাস করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব প্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থী পাস করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এসজেড
মন্তব্য করুন
এইচএসসি হবে দুইবার, পাল্টাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষাও
এ বছরের জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে নতুন কারিকুলামে পাঠদান। নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসে হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশ ও দ্বাদশে দুইবার হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
নতুন কারিকুলামে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কেমন হবে এখন সবার প্রশ্ন এটাই।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে, আর নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে।
তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ এবং শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশ। একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণির মূল্যায়নও করা হবে।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে দুই শ্রেণি একসাথে পরীক্ষা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা কমবে। নতুন কারিকুলামের মূল চিন্তা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিকালি শিখবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর মুখস্থ করার চাপ কমবে, পরীক্ষার বোঝাও কমবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি সহজতর করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আসতে পারে সংস্কার।
প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি ও ২০২৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত মাদকবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার (৪ মার্চ) মাউশির সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্কুল-কলেজসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা জোরদারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি জাতীয় সংগীত শেষে নিয়মিত মাদকবিরোধী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু যেদিন
২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এবং এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের প্রথমদিকে আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির আগে আমরা সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আয়োজন করতাম। আমরা আগের সেই সূচিতে ফিরে যেতে চাই। এসএসসি পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষাও আগের সূচিতে আয়োজন করা যাবে। আগে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হতো। আশা করছি, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।
এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস প্রসঙ্গে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া। তবে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা কঠিন হওয়ায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে।
দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়।
বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।
তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি।
তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।
রমজানে প্রাথমিকের নতুন সময়সূচি
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশ দিন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু থাকবে। এ জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বুধবার (৬ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এক পরিপত্রে একটি রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিপত্রে জানানো হয়েছে, নতুন সময়সূচিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলবে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। আর জোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।
জানা গেল প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২২ মার্চকে পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করে কেন্দ্রসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বুধবার (৬ মার্চ) অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী শুক্রবার (২২ মার্চ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা .... কেন্দ্রেও অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য এর আগে এ কলেজ থেকে কেন্দ্রসচিবসহ ৩ জন কর্মকর্তার নাম পাঠানো হয়েছিল। ওই ৩ জন কর্মকর্তা আগামী ২২ মার্চ ওই কলেজে কর্মরত থাকবেন।
নাম-পরিচয় না প্রকাশের শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা অধিদপ্তরের বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি ২২ মার্চকে ঘিরে। তাই ওই দিনকেই পরীক্ষার তারিখ ধরে নিচ্ছি। আমার ধারণা, ২২ মার্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্রুতই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হলে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল ২৪ জুন, আবেদনের শেষ সময় ৮ জুলাই। তবে এ দুই বিভাগে কতজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এসব প্রার্থী পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বিভাগের ২২ জেলায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফল চলতি সপ্তাহে হতে পারে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে যা জানাল অধিদপ্তর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইন বদলির জন্য তৈরি সফটওয়্যার হালনাগাদসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষের পথে, ফলে চলতি মাসেই বদলি শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয়। যা ওই বছরের ৩০ জুন পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) উদ্বোধন হয়। এতদিন তা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে থাকায় রয়েছে বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অনলাইনে বদলি যেভাবে
বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষকরা প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। সেটি যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। সেখান থেকে তা উপজেলা কর্মকর্তা যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে সেটে আবার পাঠিয়ে দেবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। এরপর উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। বদলিপ্রত্যাশীরা অনলাইনের মাধ্যমেই সেটি জানতে পারবেন। এ জন্য তিন ধাপের কর্মকর্তা ৩ দিন করে সময় পাবেন। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, এতে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।