কওমী মাদ্রাসা : মূল ধারার বাইরে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে থাকা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গন্তব্য কেবল মসজিদ-মাদ্রাসা। এর বাইরে কর্মক্ষেত্র তৈরির সুযোগ তাদের নেই। কারণ তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে জ্ঞানার্জনের সুযোগ নেই। এমন শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎপাদন ও কর্মবিমুখ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, দেশের কয়েক হাজার মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে মূল ধারার বাইরে রেখে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
দেশের কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই লিল্লাহ্ বোর্ডিংয়ে থেকে বিনা খরচে পড়েন। লেখাপড়ার পাশাপাশি একই জায়গায় চলে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম। কাওমী মাদ্রাসায় এটিই নিয়ম।
ধর্মীয় শিক্ষার বাইরে অন্য বিষয়ে জ্ঞানার্জনের তেমন সুযোগ তাদের হয়না।
এখানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত নিজেদের তৈরি বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বই পড়ানো হয়। ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতেও ইংরেজী, বাংলা পড়ানো হয়। এর উপরের সব ক্লাসেই শুধু আরবি, ফার্সি ও উর্দুতে ধর্মীয় বই পড়ানো হয়। মাদ্রাসার কোথাও জাতীয় পতাকা নেই।
এ বিষয়ে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসুল আরাবিয়্যাহ বোর্ডে’র সহাকারি মহাপরিচালক জানালেন তাদের উদ্দেশ্য কেবল ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া। জাতীয় পতাকা উত্তোলণের বিষয়ে মাদ্রাসাগুলোকে বলা হয়েছে। কেউ পালন না করলে কিছু করার থাকে না।
শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, দেশে প্রায় ১৪ হাজার কাওমী মাদ্রাসায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এগুলো পাঁচটি বড় স্বাধীন বোর্ডসহ মোট ১৯টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বললেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল ধারার বাইরে রেখে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তার মতে, এই ধারার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও কর্ম কি হবে, তা রাষ্ট্রকে-ই ঠিক করে দিতে হবে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন