চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবিতে) এক সাংবাদিককে মারধরসহ চারটি পৃথক ঘটনায় মোট ১১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী এ তথ্য জানান।
গেল ১০ সেপ্টেম্বর চবির দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম তুহিনের উপর হামলার ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির কার্যকরী সদস্য ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রূপকে (২০১৩-১৪ সেশন) একবছর মেয়াদে বহিস্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের সাব্বির হোসেন ও রাজিবুল আলম পলাশ (২০১৬-১৭ সেশন) এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তৈমুর হোসেনকে (২০১৭-১৮ সেশন) দুইমাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়িতে শান্তুনু নাথকে এবং সালাউদ্দীনকে মারধরের ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে দুইমাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
তারা হলেন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এমাদ উদ্দিন (২০১৩-১৪ সেশন), ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাজ্জাদ (২০১৬-১৭ সেশন), লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল (১৭-১৮ সেশন) এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের লিপ্টন দাশ (২০১৭-১৮ সেশন।
৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত আবাসিক হলের ছাত্র এবং মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহিন খন্দকারের (১৫-১৬ সেশন) ল্যাপটপ ও ক্যামেরা চুরি এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে হেনস্ত করার অপরাধে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাউছার ইবনে রাশেদ (১৫-১৬ সেশন) এবং মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিফাত হাসানকে (১৫-১৬ সেশন) ছয়মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
২৯ মার্চে সোহরাওয়ার্দী হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াসউদ্দীন হিমেলকে(১৬-১৭ সেশন) মারধর ও তার অভিবাকদের উপর হামলার দায়ের দুই অভিযোগে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সামদানি রহমানকে (১৬-১৭ সেশন) এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে
আজ ২৫ সেপ্টেম্বার মঙ্গলবার থেকে তাদের বহিষ্কার মেয়াদ শুরু হবে। এবং উক্ত সময় উল্লেখিত এগারোজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ করা আদেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, এখানে অনেককে প্রথমবার হিসেবে কম শাস্তি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যদি তারা এ ধরনের কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত হয় তাহলে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলেরও সিদ্ধান্ত নিতে প্রশাসন দ্বিধা বোধ করবে না।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন