• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেন গোচারণ ভূমি!

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২০

গরু-ছাগলের অবাধ চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) পুরো ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেখা গেলেও মেলেনি তার কোনও প্রয়োগ। প্রায়শই বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের বাউন্ডারির ভেতর নিরবিচ্ছিন্নভাবে গরু-ছাগলের চলাচল এবং সেখানে থাকা গাছপালা খাবার দৃশ্য দেখা যায়।

এ দৃশ্য শুধু যে গোলচত্বরের, তা নয়। ক্যাম্পাসের চলাচলের রাস্তায়, অডিটোরিয়ামের চারপাশে, মাঠে, ধানক্ষেতে, হলের আশপাশে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমেটরিসহ সবখানেই দেখা যায় একই দৃশ্য।

এবিষয় নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গোবর পড়ে থাকে। ক্যাম্পাস আমাদের। সেটি সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখার দায়িত্বটা যেমন আমাদের তেমনি প্রশাসনের ও এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, প্রায় প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আগে অনেক টাকা খরচ করে গাছপালা লাগানো হয়। কিন্তু এ সকল গবাদিপশুর অবাধ বিচরণের ফলে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠেছে।

নোবিপ্রবি'তে কর্মরত কয়েকজন আনসার ও মালীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ঘুরাঘুরি করা এ গরুগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান এর বাংলোর। তবে উপাচার্যের বাংলোর গরুর সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউই এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি। কেউ বলে ৬টা, কেউবা ৯। কেউ আবার বলেন ৩টা।

তবে বিশেষ সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের অজান্তেই তার নাম ব্যবহার করে কিছু শ্রেণির কর্মচারি অনৈতিক উপায় টাকা উপার্জন করছে। তারা বাহির থেকে আসা গরুগুলো উপাচার্যের গরু বলে চালিয়ে দিচ্ছে এবং সেসকল গরুর মালিক থেকে দেখভাল বাবদ চাঁদা গ্রহণ করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোমিনুল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবো।

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার কিছু গরু আছে, তবে সেগুলো সবসময়ই বাধা থাকে। এগুলো কারও কোনও ক্ষতি করে না। তবে বাহিরের থেকে কিছু গরু-ছাগল ক্যাম্পাসের ভিতরে আসে। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট এন্ড হাউজিং শাখায় খোঁজ নিলে সেকশন অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, অবাধে ঘুরাঘুরি করা এ গরুগুলো বেশি ভাগই বাহিরে থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করে এগুলো ভেতরে প্রবেশ করছে। স্টেট শাখার পক্ষ থেকে ওই গেটে একজন আনসার নিযুক্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের
X
Fresh