প্রিয়ভাষিণীকে অশ্রুসিক্ত বিদায়
মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ শহিদ মিনারে আনা হয়। সবস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। এসময় রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এরপর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হয়। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর বড় ভাই সৈয়দ হাসান রুমি গণমাধ্যমকে জানান, শহিদ জননী জাহানারা ইমামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে।
গেলো মঙ্গলবার, ৬ মার্চ দুপুর দেড়টায় মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। তার ছেলে কারু তিতাস জানান, ‘গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।’
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন খ্যাতনামা এই মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর। এছাড়া ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায়। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়।
আরও পড়ুন:
পিআর/জেএইচ
মন্তব্য করুন