• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বই বিক্রির লেখক সম্মানী সাড়ে ১০ কোটি টাকা কোথায়?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ মার্চ ২০১৮, ১৫:৪৯
ছবি : সংগৃহীত

প্রকাশকদের কাছ থেকে সম্মানীর টাকা ঠিকমতো পান না বলে বিভিন্ন সময় লেখকরা অভিযোগ করে আসছেন। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।

বাংলা একাডেমির এই তথ্য যদি সঠিক হয় তবে লেখক সম্মানীর পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমন একটি প্রশ্ন তুলেছেন এ বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া লেখক শাকুর মজিদ।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘এবার বইমেলায় নাকি ৭০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। যদি বাংলা একাডেমির এই তথ্য সঠিক হয়, তবে ১৫% হারে লেখকের সম্মানী সাড়ে ১০ কোটি টাকা হওয়ার কথা। বইমেলা শেষে প্রকাশকেরা ক্যাশ বাক্সও গুছিয়ে বাড়ি চলে যাবেন। মেলার শেষে কী প্রকাশকেরা লেখকদের কাছে একটা ফিরিস্তি পাঠাবেন যে, তার এই বই এতো এতো কপি ছাপা হয়েছিল, তার এতো বই বিক্রি হয়েছে, তার মোট পরিমাণ এতো টাকা? সব মিলিয়ে যোগফল ৭০ কোটি হলে বোঝা যাবে, প্রকাশকেরা সঠিক হিসাব দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বইমেলার স্টল বরাদ্দের নিয়ন্ত্রক কোনো প্রতিষ্ঠান, যেমন এই সময়ে- বাংলা একাডেমি। তাদের কাছে মেলা শেষের এক মাসের মধ্যে যেসকল প্রকাশক এই ফিরিস্তি দিতে অপারগ বা ব্যর্থ হবেন, সেসকল প্রকাশক আগামী বই মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।’

শাকুর মজিদ দাবি করেন, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী ৯৫% প্রকাশকই লেখকদের কাছে কখনোই স্পষ্ট কোনো হিসাব দেন না। যদিও লেখকেরা কখনো কখনো তার বই ছাপিয়ে প্রকাশক তাকে ধন্য করেছেন বলেই অভিমত প্রকাশ করেন, কিন্তু পরবর্তীতে সেই লেখকই যে সেই প্রকাশককে 'ঠক' আখ্যা দিতেও কার্পণ্য করেন না, এটা হয়তো প্রকাশক মহোদয়েরা জানেন না।’

নিজের বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শাকুর মজিদ বলেন, ‘বছর চারেক আগে এক প্রকাশক আমার কাছ থেকে একটা বই নিয়েছিলেন। আমাকে ৫ কপি লেখক কপিও দিয়েছিলেন। আমি আরও ১০-২০ কপি তার কাছ থেকে কিনেও নিয়েছিলাম। এর মধ্যে তার সাথে বইমেলায় বহুবার দেখা হয়েছে। তিনি আমাকে তার স্টলে বসিয়ে চা খাইয়েছেন কিন্তু বই বিক্রির কথা কিছুই বলেন না। আমি অপরাধ বোধে ভুগি। লোকটা আমার বই ছেপে নিশ্চই লস খেয়েছে। আজ এক প্রয়োজনে একজন আমার সব বই কিনতে চাইলেন। সেই প্রকাশকের স্টলে গেলাম। প্রকাশক হাসতে হাসতে বললেন, আপনার বইটা গত মেলায়ই শেষ হয়ে গেছে। এই মেলা শেষে এটা আমরা সেকেন্ড এডিশন করব। আমি কিন্তু এখনও জানি না, বইটা তিনি কত কপি ছেপেছিলেন। আর এজন্য আমার কোনো সম্মানী পাওনা আছে কিনা?’

উল্লেখ্য শাকুর মজিদের অনুমতি নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসটি আরটিভি অনলাইন প্রকাশ করেছে।

পিআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিল্প-সাহিত্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh