• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:১৪

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ৯ আসামির বিভিন্ন মেয়োদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে ৩ জনের ১৭ বছর ও বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে আনা হয় আরো ১৮ আসামিকে।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মামলায় ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। বাকি আসামিদের ১৭ ও ১০ বছর করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা এ মামলার বিচারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আজ আমাদের আন্দোলন সফলতা পেয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট।

তিনি আরো বলেন, রায় ঘোষণার পরে উপস্থিত আসামিরা ভেঙ্গে পড়েন। তারা আদালতে কান্না করেন। এ রায়ের জন্য আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিচারককে।

সেলিনা ইসলাম বলেন, আমরা সন্তুষ্ট, সর্বোচ্চ আদালতে যেন এ রায় বহাল থাকে। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

চন্দন সরকারের মেয়ে বলেন, আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করব সর্বোচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। অপহরণের পর শীতালক্ষা নদী থেকে ৩০ এপ্রিল ভেসে ওঠে ছয়টি মরদেহ। ১ মে মেলে আরেকটি মরদেহ।

ঘটনার পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যায় ১১ মে ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন তার জামাতা বিজয় কুমার পাল।

২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল র‌্যাব-১১-এর সাবেক ২৫ জন কর্মকর্তা-সদস্যসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। এরপর ৮ মাস মামলার বিচারকাজ চলার পর গেলো ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলার রায় ঘোষণার ঠিক করেন।

৭ খুন মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন গ্রেপ্তার আছেন। এর মধ্যে ১৭ জন র‌্যাবের সদস্য।

আসামিরা হলেন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, তার সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার ও মোর্তুজা জামান (চার্চিল)। চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর।

করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান এবং নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন ও র‌্যাব ১১ এর সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক রয়েছেন।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh